অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যে বিমানযাত্রীদের বিড়ম্বনা বাড়ছে। এই প্রসঙ্গে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে চিঠি দিলেন বিরোধী দলনেতা জিতেন চৌধুরী। বৃহস্পতিবার তিনি তার চিঠিতে বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার বিমানের ভাড়া আকাশ পথে দূরত্ব অনুযায়ী কত টাকা পর্যন্ত ঊর্ধ্বসীমায় নেওয়া যাবে।সে বিষয়ে কোনও গাইডলাইন ও বিধিনিষেধ চালু রাখেনি।আর এই সুযোগে বিমান সংস্থাগুলি অসহায় যাত্রীর গলাকাটা জারি রেখেছে। জিতেনবাবু বলেন, ইন্ডিগো ও এয়ার ইন্ডিয়া-এই দুটি বিমান সংস্থার বিমান আগরতলা-কলকাতা রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে চালু রয়েছে।শুধু তাই আগরতলা থেকে তাদের চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, নয়াদিল্লী, গুয়াহাটি, হায়দ্রাবাদে বিমান পরিষেবা চালু আছে।তবে সব রুটের রাজ্যে বিমান ভাড়া বাবদ পকেট কাটা হচ্ছে।ফলে রাজ্যের মানুষের দিশাহারা অবস্থা।অথচ এক্ষেত্রে রাজ্য সরকার নীরব ভূমিকায়।
তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে তার চিঠিতে বলেছেন, এই দুটি বিমান সংস্থা এই রুটে বিমান পরিষেবা দিতে গিয়ে অসহায় যাত্রীর পকেট যথেচ্ছভাবে কাটার জন্য যেন প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছে।কলকাতা থেকে আগরতলায় আসতে এয়ার ইন্ডিয়া ও ইন্ডিগো যাত্রীর নাগালের বাইরে গলাকাটা ভাড়া নিচ্ছে।এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে আগরতলায় আসতে ভাড়া তথা টিকিটের মূল্য সাধারণ ‘ওয়াই’ ক্লাসে নেওয়া হচ্ছে ১৭,৩২৮ টাকা।কলকাতা থেকে ইন্ডিগোর ১৮০ আসনের বিমানে আগরতলায় আসতে সাধারণ ক্লাসের ভাড়া প্রায় ১৫ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে।ইন্ডিগোর কলকাতা থেকে ৭২ আসনের একটি এটিআর বিমান আগরতলায় আসবে। এই এটিআর বিমানের কোনও টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না।সকালের দিকে ইন্ডিগো গত ৩১ মার্চ থেকে বিমান উড়ান কমিয়ে দেওয়ায় তারপর থেকেই সকালের দিকে বিমান স্বল্পতায় এই রুটে যাতায়াতে বিমান সংস্থাগুলি ভাড়া যথেচ্ছ ও মর্জিমাফিক নিচ্ছে বলে বিমানযাত্রীদের অভিযোগ। কলকাতা থেকে আগরতলা আসতে আকাশপথের দূরত্ব মাত্র ৩২৭ কিলোমিটার।আর কলকাতা থেকে স্থলপথে আগরতলায় আসতে দূরত্ব হলো ১৫৬৫ কিলোমিটার।আকাশপথে কলকাতা থেকে আগরতলায় আসতে মাত্র ৩২৭. কিলোমিটার। বিমানে উড়ান টাইম লাগছে অনেক কম। ন্যূনতম চল্লিশ মিনিটেই বিমান কলকাতা থেকে আগরতলায় পৌঁছানো যায়। বিমানে আগরতলা থেকে কলকাতায় পৌঁছতেও আকাশে ন্যূনতম চল্লিশ মিনিট লাগছে।কিন্তু বিস্ময় ও পরিতাপের ব্যাপার হলো, আকাশপথের স্বল্প দূরত্বে ও স্বল্প উড়ান টাইম সত্ত্বেও বিমান ভাড়া অস্বাভাবিক।
জিতেন চৌধুরীর অভিযোগ, আকাশপথে যেভাবে অস্বাভাবিক উচ্চ ভাড়া নেওয়া হয়,গোটা দেশের আর কোনও স্বল্প দূরত্বের আকাশপথে এত অস্বাভাবিক উচ্চ ভাড়া নেওয়া হয় না।বিমান সংস্থাগুলি আগরতলা সেক্টরে একটু সামান্য যাত্রীভিড় দেখা দিলে ভাড়ায় খড়গহস্তে যেন অসহায় যাত্রীর গলা কাটছে। দিনের পর দিন এই অবস্থা চললেও তা দেখার যেন কেউ নেই।কেন্দ্রীয় সরকারের এ বিষয়ে দেখার দায়িত্ব থাকলেও কেন্দ্রীয় সরকার নীরব দর্শক। ফলে রাজ্যের মানুষ বিপাকে পড়েছেন। তিনি অবিলম্বে এই সমস্যা সমাধানের, বিমান ভাড়া হ্রাসের জন্য এবং কলকাতা-আগরতলা রুটে বিমানের পরিমাণ বৃদ্ধির দাবি জানান।
অনলাইন প্রতিনিধি :-বাংলায় চুনি, ইংরেজিতে রুবি।চুনির রং কতটা টকটকে লাল, তার উপর এই মানিকের দাম…
অনলাইন প্রতিনিধি :-চাঁদারজুলুম নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে তথাকথিত সুশাসনের রাজ্যে প্রশাসনের নির্লজ্জ দ্বিচারিতা প্রকাশ্যে এলো।…
কেন্দ্রে ১০০ দিন পূর্ণ করল তৃতীয় মোদি সরকার।যদিও বর্তমান ক্ষমতাসীন কেন্দ্রীয় সরকারকে মোদি সরকার আখ্যা…
নিগো বাণিজ্যের রমরমা চালানোর জন্যই কি ১৮ সালে রাজ্যের মানুষ বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছিলো?রাজ্যের আকাশ…
অনলাইন প্রতিনিধি :-এয়ারইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের কর্মীর চরম গাফিলতি ও উদাসীনতার কারণে রীতা বণিক (৫৯) বিমান যাত্রীর…
হরিয়ানা কি বিজেপির হাত থেকে ফসকে যাচ্ছে?শাসক বিজেপির হাবভাব দেখে তেমনটাই অনুমান করছে রাজনৈতিক মহল।প্রধানমন্ত্রী…