রাজ্যে বেকারদের কর্মসংস্থান নেই চলছে সীমাহীন দুর্নীতি: জিতেন!!

 রাজ্যে বেকারদের কর্মসংস্থান নেই চলছে সীমাহীন দুর্নীতি: জিতেন!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-বিরোধী
দলের প্রতিবাদ মিছিল ও জমায়েত অর্থাৎ সিপিএম দলের কর্মসূচির বিরুদ্ধে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে মাঠে নামতে হয়েছে।তাও আবার মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্য এবং বিজেপি দলের প্রদেশ নেতৃত্বদের নিয়ে।রাজ্যের ইতিহাসে এমন ঘটনা কেউ দেখেনি বোধহয়।অন্তত আমার জন্মের পর তা দেখিনি।আমরা কখনই রাজ্য সরকারের পদত্যাগ দাবি করিনি।গদি ছাড়ো স্লোগান তুলিনি।তুলতে আসিওনি। বরঞ্চ বিজেপির ভেতরে দলের লোকেরা কেউ কেউ মুখ্যমন্ত্রীকে গদিচ্যুত করতে ষড়যন্ত্র করছে।আমরা চাই মুখ্যমন্ত্রী আরও মজবুত হয়ে বসে রাজ্যের অচল অবস্থার অবসান ঘটান।বিজেপি এবং রাজ্য সরকারের উদ্দেশে ঠিক এভাবেই সুর চড়ালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা
তথা সিপিএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী।
শনিবার বিলোনীয়ায় প্রয়াত সীতারাম ইয়েচুরির স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয় বিলোনীয়া পুরাতন টাউন হলে।সিপিআইএম বিলোনীয়া মহকুমা কমিটির উদ্যোগে এই স্মরণসভায় এদিন প্রধান বক্তা হিসাবে অংশ নেন বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী।
স্মরণসভায় বক্তব্যে এই কথাগুলি বলেন জিতেন্দ্র চৌধুরী।তিনি আরও বলেন, তিন তারিখ আগরতলায় সিপিএম দল থেকে প্রতিবাদ মিছিল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।মূলত পাঁচটি ইস্যু নিয়ে এই কর্মসূচি সিপিআইএমের ছিল।আমরা চাই রাজ্যে প্রত্যেকদিন নারীদের উপর যে ক্রমবর্ধমান আক্রমণ তা বন্ধ হোক।ধর্ষণ, অপহরণ, খুন ইত্যাদি ঘটনা বন্ধ নেই। সম্প্রতি বন্যায় রাজ্য সরকার বলছে সতেরো লক্ষ লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।আমরা বলেছি এই অবস্থায় আমরা রাজনীতি করবো না।দুহাত বাড়িয়ে সরকারের সাথে সহযোগিতা থাকবে আমাদের।আমরা দাবি করেছিলাম এই বন্যাকে জাতীয় বিপর্যয় হিসাবে ঘোষণা করা হোক।কিন্তু রাজ্য সরকার নীরব। বেকারদের কর্মসংস্থান নিয়ে আমরা সরব হয়েছি। তিনি বলেন, রাজ্যে সীমাহীন দুর্নীতি চলছে। বেকারদের কর্মসংস্থান নেই। দপ্তরে দপ্তরে অনিয়মের প্রতিযোগিতা চলছে। এর অবসান হোক। আমরা বলিনি সরকারের পদত্যাগের কথা। গদি ছাড়ো স্লোগান আমরা তুলিনি। বিজেপি বলছে ভারতীয় জনতা পার্টি সন্ত্রাসে বিশ্বাস করে না। এও বলেছে কীভাবে মোকাবিলা করতে হয় তা আমরা জানি। অর্থাৎ পরোক্ষভাবে বিরোধীদের উদ্দেশেই। জিতেন চৌধুরীর অভিযোগ, সরকার পদত্যাগ কর এ বিষয়ে আমরা একটা কথা বলিনি। আমরা বলেছি তোমরা নীতি পরিবর্তন করো। প্রতিশ্রুতি পালন করো। কিন্তু গতকাল বিজেপি দলের কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রদেশ বিজেপি সভাপতি ও অন্যরা তাদের ভাষায় যেভাবে বক্তব্য রাখা হয়েছে মনে হয়েছে এখনই ধরে ফেলবে। বিজেপি এবং আরএসএস তাদের প্রত্যেকটি কর্মসূচি চিন্তাভাবনা অর্থাৎ বিরোধীদের কন্ঠরোধ করা থেকে শুরু করে হিন্দুত্ববাদ, ধর্মনিরপেক্ষতাকে জলাঞ্জলি দেওয়া প্রাধান্য পাচ্ছে।এদিন জিতেন্দ্র চৌধুরী বক্তব্যে সীতারাম ইয়েচুরির আদর্শ ও নীতিকে সামনে রেখে দলকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, সংগঠিত করা, সাংগঠনিক আরও শক্তি অর্জন করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। স্মরণসভায় প্রয়াত নেতা সীতারাম ইয়েচুরির ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ে তার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।বিশেষ করে বলেন মেধা থাকলেই সবকিছু হয় না।সীতারাম ইয়েচুরি ও শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির পার্থক্য তুলে ধরেন। সীতারাম ইয়েচুরি ছিলেন সবাইকে নিয়ে উন্নত দেশ গঠনের চিন্তাভাবনা এবং দলকে জনকল্যাণে পরিচালনা করার ক্ষেত্রে ভূমিকা নেওয়া।অন্যদিকে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি ছিলেন মুসলিম লীগ তথা দ্বিজাতি তথ্যকে সমর্থন করা ইত্যাদি। এদিন বিলোনীয়া পুরাতন টাউন হলে স্মরণসভায় অন্যদের মধ্যে ছিলেন সিপিআইএম দক্ষিণ জেলা কমিটির সম্পাদক বাসুদেব মজুমদার,বিধায়ক দীপঙ্কর সেন, বিধায়ক অশোক মিত্র, সিপিএম বিলোনীয়া মহকুমা কমিটির সম্পাদক তাপস দত্ত প্রমুখ।
এদিন দলের পক্ষ থেকে বিলোনীয়া শহরে মিছিল বের হয় এবং পুরাতন টাউন হলে শেষ হয়।তারপরেই শুরু হয় স্মরণ সভা।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.