রাজ্যে ৪১ কোচিং সেন্টার চালু রাখার ঘোষণা ক্রীড়া দপ্তরের।
অনলাইন প্রতিনিধি :-বাছাইকৃত রাজ্যের ৪১ টি কোচিং সেন্টারের জন্য ১২৭ জন পিআই-এর বদলির আদেশ জারি করলো ক্রীড়া দপ্তর।সোমবার পিআই-দের বদলির আদেশ জারি করেছেন ক্রীড়া দপ্তরের অধিকর্তা এসবি নাথ। আগামী ১৭ জুনের মধ্যে পি-আই-দের নতুন কর্মস্থলের অধীনস্থ জেলা ও মহকুমা দপ্তরে গিয়ে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে। ক্রীড়া দপ্তরের অধীনস্ত রাজ্যের যে দুই শতাধিক কোচিং সেন্টার রয়েছে তা ঠিকঠাকভাবে চলছে না বলে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ উঠেছিল।এমনকী ক্রীড়া দপ্তরের এই কোচিং সেন্টারের এই ধরনের কাজকর্ম নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজেও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। মাসখানেক আগেই ক্রীড়া দপ্তরের সাথে এক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা কোচিং সেন্টারের কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলে কোচিং সেন্টারের সংখ্যা কমিয়ে আনার কথা বলেন। তারপরেই ক্রীড়া দপ্তর কোচিং সেন্টার নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা শুরু করে।ক্রীড়া দপ্তর রাজ্যের ২০৬ টি কোচিং সেন্টার থেকে ৪১ টি কোচিং সেন্টারকে ডেডিকেটেড সেন্টার হিসেবে চিহ্নিত করে। যে কোচিং সেন্টারগুলোতে ঠিকঠাক খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ চলছে এবং একটা ভালো সম্ভাবনা রয়েছে,আর এই ৪১ টি ডেডিকেটেড কোচিং সেন্টারে এখন ১২৭ জন পিআই-কে বদলি করা হয়েছে।প্রতি মহকুমায় একটি বা তার অধিক এবং প্রত্যেক জেলা হেডকোয়ার্টারে একটি করে কোচিং সেন্টার রাখা হয়েছে এই তালিকায়।যদিও এমন অনেক কোচিং সেন্টার বাদ দেওয়া হয়েছে যেখানে ভালোভাবে কাজ চলছিলচ খেলোয়াড়দের সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছিল ও গত কয়েক বছরে অনেক সাফল্য ও এসেছে।যার ফলে অনেকের মধ্যেই ক্ষোভ দেখা দিয়েছে বিশেষ করে খেলোয়াড় ও অভিভাবক মহলে।
এদিকে নতুন কোচিং সেন্টারের তালিকায় পুরাতন আগরতলা কোচিং সেন্টারের নাম না থাকায় হতাশ ৬ টি গেমের খেলোয়াড় সহ এলাকার অভিভাবকরা। সাঁতার, জুডো, ভলিবল, খো খো, কাবাডি এবং অ্যাথলেটিক্স এই ৬ টি ইভেন্টে নিয়মিত প্রশিক্ষণ চলত ওল্ড আগরতলা কোচিং সেন্টারে ।প্রতি বছর জাতীয়স্তরে বহু খেলোয়াড় এই কোচিং সেন্টার থেকে প্রতিনিধিত্ব করে।সাঁতারের পরিকাঠামো থাকা সত্ত্বেও তা বন্ধ হওয়ার আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন অভিভাবক সহ খেলোয়াড়রা। পশ্চিম জেলার মধ্যে সর্বাধিক ইভেন্টে( ৬টি) নিয়ে প্রশিক্ষণ চলতো এই সেন্টারে।প্রসঙ্গত শতাধিক খেলোয়াড় প্রশিক্ষণ নেয় ৬ টি ইভেন্টে।