প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্রমোদীর অফিসে রাহুল গান্ধি, সঙ্গে মজুত ছিলেন দেশের প্রধান বিচারপতিও!!
রাজ্য বিজেপিতে সব ঠিক নেই বিপ্লবের মন্তব্য ঘিরে গুঞ্জন।।।।

অনলাইন প্রতিনিধি || রাজ্য বিজেপিতে সবকিছু ঠিকঠাক চলছে না।এতদিন উপরে উপরে সবকিছু ঠিকঠাক চলছে দেখানোর চেষ্টা হলেও, দলের অভ্যন্তরে ভেতরে ভেতরে রক্তক্ষয় যে অব্যাহত,তা এবার প্রকাশ্যে চলে এলো।শুধু তাই নয়, রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে যে একে অপরের সাথে নানা কারণে দূরত্ব তৈরি হয়েছে সেটা এতদিন ভেতরে চাপা থাকলেও এবার প্রকাশ্যে বেরিয়ে এসেছে।রবিবার দিল্লী থেকে রাজ্যে ফিরে নিজের সরকারী আবাসনে সাংবাদিক সম্মেলন করেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।এর আগে এ দিন সকালে একটি জাতীয় বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমে ব্রেকিং দিয়ে খবর সম্প্রচার করে যে, ত্রিপুরা বিজেপিতে এবং সরকারের বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হতে যাচ্ছে।এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পরই কেন্দ্র এবং রাজ্য বিজেপিতে তোলপাড় শুরু হয় ।এরপরই সাংসদ বিপ্লব দেবের সাংবাদিক সম্মেলন ঘিরে বিভিন্ন মহলে ব্যাপক ঔৎসুক্য তৈরি হয়।বেলা সোয়া দুটোয় সাংবাদিক সম্মেলনের সময় নির্ধারণ করা হলেও,শ্রীদেব যখন সাংবাদিকদের সামনে আসেন ততক্ষণে দুই ঘণ্টা সময় পেরিয়ে গেছে।স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল,দিল্লী থেকে শীর্ষ নেতৃত্ব হয়তো তাকে বোঝানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। প্রায় দুই ঘণ্টা পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মিনিট সাতেক যা বললেন, যতটুকু বললেন তাতে তার ক্ষোভ,অভিমান স্পষ্ট বেরিয়ে আসে।তার এই ক্ষোভ যে দলের কিছু নেতা- নেত্রীর বিরুদ্ধে তাও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে যে, সাংবাদিক সম্মেলন শেষ করেই দলের হাইকমাণ্ডের জরুরি তলবে বিকালের বিমানে ফের দিল্লী যান সাংসদ শ্রীদেব।এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, বিজেপি একটি শৃঙ্খলাবদ্ধ পার্টি। কিন্তু রাজ্য বিজেপিতে দেখা যাচ্ছে বাইরে থেকে কিছু লোক অনৈতিক হস্তক্ষেপ করছে।বিপ্লব বলেন, পার্টি আমরাই চালাবো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং জে পি নাড্ডার নেতৃত্বে। প্রধানমন্ত্রীর মার্গদর্শনেই চলবো। কিছু কিছু বাইরের লোক যেভাবে অনৈতিক হস্তক্ষেপ করছে, এই বিষয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে অবগত করিয়েছি। বিপ্লব আরও বলেন, কিছু অনুপ্রবেশকারী – অনুপ্রবেশ মানসিকতা নিয়ে চলছে। রাজ্য নেতৃত্বেরও এইসব বোঝা উচিত। বিপ্লব বলেন, দল যে দায়িত্ব তাকে দিয়েছে এবং আগামীদিনে দেবে তা আমি অক্ষরে অক্ষরে এবং আন্তরিকভাবে পালন করবো। সবই হবে প্রধানমন্ত্রীর মার্গদর্শনে। কারণ, প্রধানমন্ত্রীর স্নেহ এবং নির্দেশেই আমি রাজনীতিতে এসেছি।এরপর সাংবাদিকরা তাকে বারবার জিজ্ঞাসা করেছে ‘বাইরের লোক’ কারা ? কেন আপনার এই ক্ষোভ প্রকাশ। এই প্রশ্নগুলির জবাবে কিসব বলেন, আমি আপনাদের বলতে পারবো না। আপনারা সব জানেন। বারবার ঘুরে ফিরে তিনি প্রায় একই কথা বলেন।বিপ্লবের এই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ এবং ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্যের পরই জল্পনা তুঙ্গে উঠে। প্রত্যেকের একটাই প্রশ্ন, কী এমন ঘটলো যে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দলের অন্দরে বাইরের লোকের অনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে ক্ষোভ উগরে দিলেন।এই প্রশ্নের জবাব পাওয়া না গেলেও দলে যে সব কিছু ঠিকঠাক চলছে না,তা কিন্তু স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।এই জল শেষ পর্যন্ত কতটুকু গড়ায়, এখন সেটাই দেখার।এদিকে, বিপ্লব দেবের সাংবাদিক সম্মেলনের বক্তব্য নিয়ে একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকরা প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, বিপ্লববাবুর সাংবাদিক সম্মেলন আমিও দেখেছি। কেন তার ক্ষোভ? এই বিষয়ে তার সাথে কথা বলবো। বিপ্লব দেবও আমাদের নেতা, মানিক সাহাও আমাদের নেতা। সবাইকে নিয়েই আমরা একসাথে চলবো।