অনলাইন প্রতিনিধি || রাজ্য রাজনীতিতে এবার সংযোজিত হলো ‘গঙ্গাজল’। কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ শুক্রবার বিধানসভায় গঙ্গাজল ছিটিয়ে প্রবেশ করেছেন। শনিবার পাল্টা বিধায়ক শ্রীবর্মণের সরকারী আবাসে গঙ্গাজল ছিটিয়ে দিয়ে গেলো বিজেপির মহিলা মোর্চা ও যুব মোর্চা। একসময় বিহারের বাহুবলী ও মাফিয়া রাজনীতিকে কেন্দ্র করে বলিউডে মারকাটারি সিনেমা বানিয়েছিলেন রূপালি পর্দার নায়ক অজয় দেবগণ। সেই সিনেমার নাম ছিল ‘গঙ্গাজল’। তবে বলিউডের সেই গঙ্গাজল না হলেও গঙ্গার পবিত্র জলই এবার ত্রিপুরার রাজনীতিতে স্থান করে নিয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। সেটাও বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণের হাত ধরে ঘটেছে।গতকাল শুক্রবার রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে বিধায়ক শ্রী বর্মণ ছোট একটি বোতলে করে গঙ্গাজল নিয়ে বিধানসভায় প্রবেশ করেন। ভেতরে আসার সময় তিনি ট্রেজারি বেঞ্চের দিকে গঙ্গারজল ছিটিয়ে ছিটিয়ে নিজের আসনের দিকে আসেন। এমনকি ট্রেজারি বেঞ্চের সদস্য বিধায়ক রতন চক্রবর্তী এবং বিধায়ক সুরজিৎ দত্তের মাথাও গঙ্গাজল ছিটিয়ে দেন। সুদীপবাবুর এই গঙ্গাজল রাজনীতির পেছনে রয়েছে শাসক দলের বিধায়ক যাদব লাল নাথের নীল ছবি বিতর্ক। ত্রয়োদশ বিধানসভার প্রথম অধিবেশনে বিধায়ক যাদব লাল নাথ বিধানসভার ভেতরে বসেই মোবাইলে অশ্লীল ভিডিও দেখছিলেন। মিডিয়ার কল্যাণে সেই ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। এই নিয়ে তোলপাড় হয়। যদিও যাদব লাল নাথ পুরো ঘটনা অস্বীকার করেন। তার বক্তব্য মোবাইলে আচমকা এই ভিডিও চলে আসে। তার নজরে পড়তেই তিনি সেটা সরানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ঠিক মতো চালাতে পারেন না বলে,ওই অশ্লীল ভিডিও সরাতে পারছিলেন না। যদিও তার এই বক্তব্য কতটা গ্রহণযোগ্য, এই নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ যাদব লাল নাথের এই অনৈতিক কর্মকাণ্ডে বিধানসভায় পবিত্রতা, বিধানসভার মর্যাদা ও গরিমা কলুষিত হয়েছে। অশুচি হয়েছে বিধানসভা। তাই গতকাল শুক্রবার বাজেট অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ গঙ্গাজল ছিটিয়ে অপবিত্র বিধানসভাকে পবিত্র করেছেন। গঙ্গার জল ছিটিয়ে শুদ্ধ করেছেন।কিন্তু সেই পবিত্রতা বিকালেই ভেঙে খান খান হয়ে যায় সুদীপবাবুর অশ্রাব্য গালিগালাজ এবং অসংসদীয় শব্দ বাক্য ব্যবহারে। যার জেরে তাকে বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে পুরো সেশন থেকে সাসপেণ্ড হতে হয়েছে। শাসক দলই বা এই সুযোগ হাতছাড়া
করবে কেন? সুদীপের বিরুদ্ধে পাল্টা ময়দানে নামলো তার বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি মহিলা মোর্চা ও যুব মোর্চা। শনিবার বিকালে মিছিল করে মহিলারা ঘটি ভরে, আমের পল্লব সহ সুদীপবাবুর বিধায়ক আবাসে এসে হাজির হয়। গেট থেকে গঙ্গজল ছিটিয়ে বিধায়ক আবাস সহ বুদ্ধমন্দির পর্যন্ত রাস্তাকে শুদ্ধ করে। মহিলাদের বক্তব্য, সুদীপবাবু অশ্রাব্য ও অসংসদীয় ভাষা ব্যবহার করে বিধানসভাকে অপবিত্র করেছেন। তাই সুদীপবাবুর আবাসে ও রাস্তায় গঙ্গাজল ছিটিয়ে তাকেও শুদ্ধ করলাম। রাজ্য রাজনীতিতে এই নিয়ে বেশ চর্চা শুরু হয়েছে।
দিল্লী বিধানসভা ভোটকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে যেন প্রতিশ্রুতির প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ভোটারদের মন…
অনলাইন প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে যাওয়ার পথে মামিত জেলার…
অনলাইন প্রতিনিধি :- নিরাপত্তার কাজে নয়, টিএসআর জওয়ানদের খাটানো হচ্ছে আর্দালি হিসাবে। পুলিশ আধিকারিকদের ও…
অনলাইন প্রতিনিধি :- ইন্ডিগো আগরতলা- দিল্লী রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে আরও একটি বিমান চালু করছে।…
দিল্লীর বিধানসভা ভোট নিয়ে সরগরম দিল্লী। দিল্লীতে এবার এক আঙ্গিকে বিধানসভা ভোট হচ্ছে। গত পরিস্থিতির…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় উৎপাদিত" অর্গানিক বার্ড আই চিলি " স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি…