অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যে কৃষকদের সমস্যা নিরসন অধরা।যদিও রাজ্য সরকার কৃষকদের স্বার্থে বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণও করছে।এর মধ্যে অন্যতম হল কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান ক্রয়ের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত।এমনকী দেশের কেন্দ্রীয় সরকারও রাজ্যের কৃষক পরিবারকে বছরে আর্থিক সাহায্যও দিচ্ছে।কিন্তু এরপর রাজ্যের হাজারো কৃষক তার পরিবার পরিচালনায় ব্যর্থ হচ্ছে। কারণ রাজ্য সরকারের একাংশ আধিকারিকের দৌলতে রাজ্যের কৃষক সমাজ সরকারী সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে না।উল্টো কৃষক ও তার পরিবারকে আর্থিকভাবে বঞ্চিত করা হচ্ছে।ফলে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান ক্রয়ের সিদ্ধান্ত এখন প্রশ্নের মুখে। এমনকী কৃষক ও তার পরিবারের বিক্ষোভও চরমে উঠেছে।রাজ্য মহাকরণ সূত্রে খবর কৃষি দপ্তরের মাধ্যমে কৃষক স্বার্থে ২০১৮ সালে সরাসরি ধান ক্রয়ের সিদ্ধান্ত হয়।২০১৮ সালে রাজ্য মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত ছিল কৃষকদের কাছ থেকে মডার্ন রাইস মিলের মাধ্যমে বছরে দু’বার ধান ক্রয় করবে সরকার।শুধু তাই নয়, কৃষক স্বার্থে ৬টি মডার্ন রাইস মিল কর্তৃপক্ষকে সরাসরি ধান ক্রয় করতে কর্তৃপক্ষকে সরাসরি ধান ক্রয় করতে হবে।এই শর্তে রাইস মিল কর্তৃপক্ষকে রাজ্য সরকার ধান ক্রয় প্রকল্পের সাথে শামিল করেছিল।এ পর্যন্ত সবই সঠিক ছিল।
তবে বিগত তিন বছর ধরে মডার্ন রাইস মিল কর্তৃপক্ষ কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান ক্রয় করছে না বলে অভিযোগ।ফলে রাজ্যের হাজারো কৃষক বিপাকে পড়েছে। এমনকী স্থানীয় নেতাদের দৌলতে কৃষকরা তাদের সমস্যার কথা রাজ্য সরকারের কাছেও জানাতে পারছেন না। ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে।মহাকরণ সূত্রে খবর যেহেতু কৃষক স্বার্থে রাজ্য সরকার
দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ মিলিং চার্জ ত্রিপুরাতে কার্যকর করেছে তাই মডার্ন রাইস মিল কর্তৃপক্ষ কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান ক্রয়ে নারাজ।কারণ রাজ্য সরকারের মাধ্যমে যখন মডার্ন রাইস মিল কর্তৃপক্ষ সরাসরি ধান ক্রয়ের সময়ে সিদ্ধ চালের জন্য প্রায় ৫০ টাকা এবং আতপ চালের জন্য প্রায় ৩৫ টাকা পাচ্ছে। আর কৃষকদের কাছ থেকে তারা সরাসরি ধান ক্রয়ের মূল্য মাত্র গড়ে ২০ টাকা করে পাচ্ছে।তাই মডার্ন রাইস মিল কর্তৃপক্ষ সরকার থেকে সরাসরি ধান ক্রয়ে ব্যস্ত। কারণ এতে তাদের মোটা অঙ্কের মুনাফা হচ্ছে।
অথচ রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত ছিল, কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান ক্রয় রাইস মিল কর্তৃপক্ষকে করতে হবে। যা রাজ্যে হচ্ছে না। অভিযোগ যেহেতু রাজ্য সরকার বছরে দু’বার ধান ক্রয় করছে তাই রাজ্যের কৃষক সমাজ অন্যান্য সময়ে বাধ্য হয়ে তাদের উৎপাদিত ধান অন্যত্র বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।ফলে সরকারী সিদ্ধান্তের ফসল কৃষক পরিবার পাচ্ছে না। এমনকী দপ্তরের মন্ত্রীকে পর্যন্ত এ বিষয়ে অবিহিত করছে না আধিকারিকরা।
মহাকরণ সূত্রে খবর সম্প্রতি এই বিষয়টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের নজরেও এসেছে,কীভাবে কৃষকদের বঞ্চিত করা হচ্ছে।এখন রাজ্যে ঝড়, বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে।এরপরও যদি কৃষকদের কাছ থেকে সরকারী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাইস মিল কর্তৃপক্ষ ধান ক্রয় থেকে পিছিয়ে যান তবে এবছরও কৃষক সমাজকে বিপাকে পড়তে হবে।সরকার বছরে দুইবার ধান ক্রয় করবে।ওই সময়ে, মডার্ন রাইস মিল কর্তৃপক্ষ সরকার থেকে সরাসরি ধান ক্রয় বাবদ মুনাফা অর্জন করবে এটা স্বাভাবিক।তবে এছাড়া ধান ক্রয় করবে না রাইস মিল কর্তৃপক্ষ – তা সঠিক হচ্ছে না। তাই এখন কৃষক স্বার্থে সরকারের সিদ্ধান্ত সঠিকভাবে কার্যকর করার লক্ষ্যে পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর। মহাকরণ সূত্রে এমনই খবর।
অনলাইন প্রতিনিধি :-বর্তমান যুগে হৃদরোগ জনিত সমস্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে।এর মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক ও জীবনঘাতী…
অনলাইন প্রতিনিধি :-বর্তমানে রাজ্যেনয়টি ল্যান্ড কাস্টম স্টেশন রয়েছে।কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই নয়টি ল্যান্ড কাস্টম স্টেশনকে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-২০২৮ সালে বিধানসভা নির্বাচনেও আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারলেই, আমাদের…
অনলাইন প্রতিনিধি:-তপন স্মৃতি নকআউট ক্রিকেটের দ্বিতীয় দল হিসাবে সেমিফাইনালে হার্ভেকে নকআউট করে তপনের সেমিতে সংহতি!!খেলার…
নজিরবিহীন গরমের মুখোমুখি রাজ্য। মার্চ মাসের শেষ দিকে গরমের এই প্রকোপ এককথায় নজিরবিহীন।এজন্য আবহাওয়া দপ্তরকে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-"ঈদুল ফিতর" যার অর্থ হলউপবাস ভাঙার আনন্দ। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় দুটো ধর্মীয় উৎসবের…