রাণীরবাজারের কুম্ভ মেলা একদিন শ্রেষ্ঠ স্থান নেবে: সুশান্ত!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরেশ্বরী কুম্ভমেলা পরিষদ
ও রাণীরবাজার কুম্ভকালী মন্দিরের যৌথ উদ্যোগে আসাম পাড়াস্থিত কুম্ভনগরী কুম্ভ তীর্থ দশমীঘাটে আগামী পঁচিশ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে কুম্ভমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব।চলবে পয়লা জানুয়ারী পর্যন্ত।সপ্তাহব্যাপী এই মেলার প্রস্তুতি ঘিরে বুধবার জিরানীয়া মহকুমাশাসকের কার্যালয়ের হলঘরে এক প্রশাসনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পৌরোহিত্য করেন খাদ্য পর্যটন ও পরিবহণ দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।তিনি বলেন, ভারতবর্ষের কুম্ভমেলা বিশ্ববিখ্যাত। উত্তরপ্রদেশে এই মেলায় লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর সমাগম হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে সবাই বিশেষ নজর রাখেন মেলার।
নিত্যনতুন ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে হয় মেলা।রাজ্যে ও রাণীরবাজারে গত তিন বছর যাবৎ কুম্ভমেলা হচ্ছে। এই মেলাও একদিন শ্রেষ্ঠ স্থান নেবে। মন্ত্রী মেলাকে সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সমাপ্ত করার জন্য প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের যার যার দায়িত্ব পালনের কথা বলেন।তিনি মেলাকে কেন্দ্র করে কোথাও যেন নেশা ও জুয়ার আসর না বসে সেদিকে পুলিশকে বিশেষ নজর রাখার কথা বলেন। তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা অক্ষুণ্ণ রাখা, পানীয় জলের সুব্যবস্থা করা, এলাকাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা সহ সবদিকে প্রশাসনকে নজর রাখার কথা বলেন। সরকারীভাবে আগামীদিনে যেন এই মেলার আয়োজন করা যায় সে ব্যাপারেও তিনি উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলে জানান। মন্ত্রী কোনও অবস্থাতেই প্রশাসন ও সরকারের যাতে বদনাম না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখার কথা বলেন। মেলার চব্বিশ ঘন্টা নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন, চিকিৎসকের ব্যবস্থা, অ্যাম্বুলেন্স, দমকল বাহিনী এবং স্বেচ্চাসেবক রাখারও কথা বলেন তিনি। জানা গেছে, কুম্ভমেলার উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এখনও সবুজ সঙ্কেত আসেনি। মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যপাল ইন্দ্রসেনা রেড্ডি নাল্লু, মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা, খাদ্য পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী সহ অন্যরা। প্রায় খাওয়া-থাকারও সুবন্দোবস্ত করার কথা বলেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।মেলাকে ঘিরে ইতিমধ্যে এলাকার রাস্তাঘাট সংস্কার কাজ সহ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার কাজ চলছে।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য পুলিশ টিএসআরের পাশাপাশি সাদা পোশাকে মোতায়েন থাকবে পুলিশ।নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য বসানো হবে সিসি ক্যামেরা।
সপ্তাহব্যাপী এই মেলার সমাপ্ত হবে পয়লা জানুয়ারী। ওইদিন বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা হবে এলাকায়।বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিধায়িকা স্বপ্না দেববর্মা, জিরানীয়া নগর পঞ্চায়েতের চেয়ারম্যান রতন দাস, রাণীরবাজার নগর পঞ্চায়েতের ভাইস চেয়ারম্যান প্রবীর দাস, জিরানীয়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান প্রীতম দেবনাথ, সমাজসেবী গৌরাঙ্গ ভৌমিক, প্রশাসনের আধিকারিক সহ সাধু সন্ন্যাসী প্রমুখ।