অনলাইন প্রতিনিধি :-মঙ্গলবার বিকালে ক্ষণিকের ঝড়ে আগরতলা সহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি পরিকাঠামোর ক্ষেত্রেও বেশ কিছু ক্ষতি হয়েছে। খুঁটি পড়ে যাওয়া, বিদ্যুৎ পরিবাহী তারের উপর গাছ এবং গাছের ডালা পড়ে তার ছিড়ে যাওয়া, বেশ কিছু এলাকায় ট্রান্সফরমারের ক্ষতি হয়েছে। এ ব্যাপারে বুধবার রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী রতনলাল নাথকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের উপর কারও হাত নেই। তিনি বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বিদ্যুৎ নিগমের প্রকৌশলী এবং কর্মীরা মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই কাজে নেমে পড়েছে। সারারাত কাজ করার পর বুধবার দুপুর পর্যন্ত সিংহভাগ ক্ষেত্রেই বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করা গেছে। কিন্তু বুধবার সন্ধ্যায় দুই এলাকায় তেত্রিশ কেভি এবং এগারো কেভি তার ছিড়ে যাওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়। যদিও নিগমের প্রকৌশলী এবং কর্মীরা মেরামতের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। আশা করা হচ্ছে রাতের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির জন্য বিদ্যুৎ নিগমের পক্ষ থেকে জনগণের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। এ দিন বিদ্যুৎমন্ত্রী আরও বলেন, শুধুমাত্র আগরতলা শহরের মধ্যেই ৬৯৩টি অভিযোগের নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে আমতলিতে ৩৯টি, বনমালীপুর এক নম্বর ডিভিশনে ৮৫টি, বনমালীপুর দুই নং ডিভিশনে ৩৫টি, বড়দোয়ালী গ্রামীণ এলাকায় ২৭টি, বড়দোয়ালী শহর এলাকায় ৪০টি, ক্যাপিটেল কমপ্লেক্স এলাকায় ২০টি, দুর্গা চৌমুহনী এলাকায় ৬২টি, দুর্জয়নগর এলাকায় ১৩৭টি, জিবি এলাকায় ১০৫টি, আইজিএম এলাকায় ৩৮টি, যোগেন্দ্রনগর এলাকায় ৭০টি, প্রতাপগড় এলাকায় ২৪টি এবং সেকেরকোট এলাকায় ৪১টি মেরামতের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এছাড়াও তেলিয়ামুড়া বিদ্যুৎ বিভাগের অধীন বড়মুড়া, হাওয়াইবাড়ি, নেতাজীনগর, লেম্বুছড়া, কালিটিলা, শান্তিনগর, ডিএম কলোনি এবং রাজনগরে মোট এগারোটি বিদ্যুৎ খুঁটি নষ্ট হয়েছে গাছ পড়ে। বারো কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিদ্যুৎ পরিবাহী তার ছিড়ে গেছে। চাকমাঘাট, মাইগঙ্গা, কৃষ্ণপুর, হদ্রাই এলাকায় আরও নয়টি খুঁটি এবং চার কিলোমিটার তার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মান্দাই এলাকায় পাঁচটি খুঁটি এবং এক কিলোমিটার তার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এডিসি সদর দপ্তর খুমুলুঙে চারটি খুঁটি এবং দুই কিলোমিটার তার, জিরানীয়ায় তিনটি খুঁটি এবং এক কিলোমিটার তার ক্ষতি হয়েছে। রাণীরবাজারে কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। তারের উপর গাছ পড়ে যাওয়ার কারণে। মন্ত্রী জানান, প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিদ্যুৎ নিগমের কর্মীরা রাতদিন বিরতিহীনভাবে কাজ করে প্রায় আশি শতাংশ ত্রুটি সারাই করে খুঁটি বসানো এবং নতুন করে তার টানার কাজ প্রায় শেষ করে এনেছে। যত দ্রুত সম্ভব বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য কর্মীরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান বিদ্যুৎমন্ত্রী রতনলাল নাথ।এর জন্য তিনি রাজ্যবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন।
অনলাইন প্রতিনিধি :-বর্তমান যুগে হৃদরোগ জনিত সমস্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে।এর মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক ও জীবনঘাতী…
অনলাইন প্রতিনিধি :-বর্তমানে রাজ্যেনয়টি ল্যান্ড কাস্টম স্টেশন রয়েছে।কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই নয়টি ল্যান্ড কাস্টম স্টেশনকে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-২০২৮ সালে বিধানসভা নির্বাচনেও আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারলেই, আমাদের…
অনলাইন প্রতিনিধি:-তপন স্মৃতি নকআউট ক্রিকেটের দ্বিতীয় দল হিসাবে সেমিফাইনালে হার্ভেকে নকআউট করে তপনের সেমিতে সংহতি!!খেলার…
নজিরবিহীন গরমের মুখোমুখি রাজ্য। মার্চ মাসের শেষ দিকে গরমের এই প্রকোপ এককথায় নজিরবিহীন।এজন্য আবহাওয়া দপ্তরকে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-"ঈদুল ফিতর" যার অর্থ হলউপবাস ভাঙার আনন্দ। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় দুটো ধর্মীয় উৎসবের…