বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় রামগড় – সাব্রুম চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপার কার্যক্রম চালু হতে পারে । এ জন্য দ্রুতবেগে চলছে বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণকাজ । ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে রামগড় চেকপোস্টে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম উদ্বোধন হওয়ার কথা । শেখ হাসিনা প্রায় তিন বছর পর পাঁচ সেপ্টেম্বর ভারত সফরে যাচ্ছেন । তখন যাত্রী পারাপারের মধ্য দিয়ে এই সীমান্তে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালুর চেষ্টা চলছে । তবে ভারতের অনাপত্তিপত্র না পাওয়ায় স্থলবন্দরের প্রশাসনিক ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনার নির্মাণকাজ ঝুলে আছে । তাই আমদানি – রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হতে আরও সময় লাগবে । জানা গেছে , বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঁচ সেপ্টেম্বর ভারত পৌঁছাবেন । পরদিন তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন । সাত সেপ্টেম্বর ভারতের চেম্বার অব কমার্সের ব্যবসায়ীদের বৈঠকে বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর । সফরে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি সই হওয়ার কথা আছে । একই সময়ে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে রামগড় স্থলবন্দর প্রাথমিকভাবে উদ্বোধন হতে পারে । সূত্রের খবর বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেকটিভিটি প্রকল্প – ১ – এর আওতায় নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় রামগড় স্থলবন্দর নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে । প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় ১২৫ কোটি টাকা । প্রকল্পটির জন্য ঠিকাদির প্রতিষ্ঠান মনিকো লিমিটেডের সঙ্গে গত বছরের ২৮ অক্টোবর নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের চুক্তি হয় । এরপর ওই বছরের ডিসেম্বরে কাজ শুরু হয়েছিল । ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা । সংবাদমাধ্যমকে প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী রুহুল আমিন জানিয়েছেন , টার্মিনাল ভবনের নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে । এর মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে যাত্রী পারাপারের কাজ চিন্তাভাবনা চলছে । প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর , এই মুহূর্তে দশ একর জমিতে এই স্থলবন্দর বাস্তবায়িত হচ্ছে । আরও ষোল একর জায়গা অধিগ্রহণ করা হবে । স্থলবন্দরের জন্য যাত্রী টার্মিনালের পাশাপাশি , কাস্টমস , ইমিগ্রেশনসহ আরও কিছু দপ্তর এবং প্রশাসনিক ভবন দরকার । সীমান্তের ১৫০ গজের ভেতর হওয়ায় এসব স্থাপনা নির্মাণের জন্য ভারতের অনাপত্তিপত্র দরকার হচ্ছে । আর সেটি না পাওয়ায় নির্মাণকাজ নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে । তার আগে যাত্রী টার্মিনালের মধ্যে কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন দপ্তর বসিয়ে আপাতত যাত্রী পারাপারের ব্যবস্থা করা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান । রামগড় অংশে স্টিলের স্থাপনার ওপর নির্মিত হচ্ছে একতলা টার্মিনালটি । এই স্থলবন্দর চালুর লক্ষ্যে ফেনী নদীর ওপর ভারত একটি চার লেনের সেতু নির্মাণ করেছে । যার দুই দেশের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে । এছাড়া ভারতের দিকে সব রকম স্থাপনা নির্মাণও প্রায় শেষ হয়েছে । এমনটিই জানিয়েছেন , প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা । স্থলবন্দরটি চালু হলে যাত্রী পারাপারের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্ভাবনা বাড়বে বলে মনে করছেন খাগড়াছড়ি চেম্বার নেতারা । ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন , চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রায় ১১২ কিলোমিটার দূরত্বে এই স্থলবন্দরের অবস্থান । এটি ব্যবহার করে মাত্র তিন ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ট্রান্সশিপমেন্টের পণ্য যেতে পারবে ভারতে । ত্রিপুরাসহ উত্তর – পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হবে এই বন্দর দিয়েই । একইসঙ্গে রামগড় স্থলবন্দর ব্যবহার করে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে পণ্য পরিবহণ করতে পারবেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা ।
অনলাইন প্রতিনিধি :-বর্তমান যুগে হৃদরোগ জনিত সমস্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে।এর মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক ও জীবনঘাতী…
অনলাইন প্রতিনিধি :-বর্তমানে রাজ্যেনয়টি ল্যান্ড কাস্টম স্টেশন রয়েছে।কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই নয়টি ল্যান্ড কাস্টম স্টেশনকে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-২০২৮ সালে বিধানসভা নির্বাচনেও আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারলেই, আমাদের…
অনলাইন প্রতিনিধি:-তপন স্মৃতি নকআউট ক্রিকেটের দ্বিতীয় দল হিসাবে সেমিফাইনালে হার্ভেকে নকআউট করে তপনের সেমিতে সংহতি!!খেলার…
নজিরবিহীন গরমের মুখোমুখি রাজ্য। মার্চ মাসের শেষ দিকে গরমের এই প্রকোপ এককথায় নজিরবিহীন।এজন্য আবহাওয়া দপ্তরকে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-"ঈদুল ফিতর" যার অর্থ হলউপবাস ভাঙার আনন্দ। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় দুটো ধর্মীয় উৎসবের…