রাষ্ট্রপতির হাতে উদ্বোধন হতে চলা ট্রেনের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন
আগরতলা কলকাতা, কলকাতা-আগরতলা বিশেষ এক্সপ্রেস ট্রেনের চলাচলের মেয়াদ সাত মাসেরও কম। দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত ধরে উদ্বোধন হতে চলা ট্রেনটি ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চলাচল করবে। উত্তর- পূর্ব সীমান্ত রেলের তরফে এই তথ্য জানানো হয়েছে। সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ কথা জানান। তিনি বলেন, ১৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে নয়টায় আগরতলা স্টেশন থেকে এর যাত্রা শুরু করবেন দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। রাষ্ট্রপতি একই সঙ্গে আগরতলা থেকে জনশতাব্দী এক্সপ্রেসের যাত্রাপথ বৃদ্ধির আনুষ্ঠানিক সূচনা করবেন। সূচনা করবেন জনশতাব্দীর সঙ্গে তিনদিকে কাচে ঘেরা ভিস্তা ডোম নামের বিশেষ ধরনের কোচের সংযুক্তিকরণের। সীমান্ত রেলের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুসারে আগরতলা-কলকাতা, কলকাতা-আগরতলা বিশেষ এক্সপ্রেস ট্রেনের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। তাছাড়া ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সপ্তাহে মাত্র একদিন করে উভয় দিকে চলাচল করবে ট্রেনটি। আগরতলা থেকে প্রতি বুধবার সকাল ৭.৩০ মিনিটে আগরতলা থেকে কলকাতার উদ্দেশে যাত্রা করবে। বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটায় একত্রিশ ঘণ্টা ত্রিশ মিনিটের যাত্রাপথ শেষে কলকাতা স্টেশনে পৌঁছবে। উল্টোপথে প্রতি রবিবার রাত ১.৪০ মিনিটে কলকাতা থেকে রওয়ানা দিয়ে আগরতলা আসবে মঙ্গলবার ভোর ৫.১৫ মিনিটে। যাত্রাপথে সময় নেবে একত্রিশ ঘণ্টা পঁচিশ মিনিট। সেই দিক থেকে রাষ্ট্রপতির হাত ধরে সূচনা হতে চললেও এতে রাজ্যবাসীর খুব বেশি একটা লাভ হবে না বলে বিভিন্ন মহলের বক্তব্য। বিশেষত বিশেষ এক্সপ্রেস ট্রেন হিসেবে চলাচল করবে বলে এর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। কেননা বিশেষ প্রয়োজনে যাত্রী চাপ সামলাতে নির্দিষ্ট সময়ভিত্তিক এই ট্রেন চলাচল করে থাকে। সাধারণত ১, ২ অথবা ৩ মাস করে মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয় বিশেষ ট্রেনের। উল্লেখিত বিশেষ ট্রেনটির ক্ষেত্রে অবশ্য এক সঙ্গে প্রায় সাড়ে ছয় মাস চলাচলের সীমা নির্দিষ্ট করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির হাত দিয়ে আগরতলা মুম্বাইর মতো কোনও নিয়মিত এক্সপ্রেস ট্রেনের উদ্বোধন করা যেতো বলে একাধিক রেল সূত্রের বক্তব্য। এর পরিবর্তে বিশেষ এক্সপ্রেস ট্রেনের উদ্বোধনের মাধ্যমে বিষয়টির গুরুত্ব কমিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তাদের বক্তব্য। রাষ্ট্রপতির মতো দেশের প্রথম নাগরিকের মর্যাদা এতে ক্ষুণ্ণ হয়েছে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। এই ক্ষেত্রে অন্য কোনও গুরুত্বপূর্ণ ও নিয়মিত ট্রেনের উদ্বোধন স্বচ্ছন্দে করা যেতো বলেই অনেকে মনে করেন। তবে উল্লেখিত ট্রেনের পাশাপাশি রাষ্ট্রপতির হাতে জনশতাব্দীর যাত্রাপথ বৃদ্ধি করা হবে। আগরতলা থেকে মণিপুরের আসাম সংলগ্ন জিরিবামের বদলে আরও প্রায় ৫৫ কিলোমিটার দূরের খোঙসাঙ পর্যন্ত চলাচল করবে জনশতাব্দী এক্সপ্রেস। এর সঙ্গে অত্যাধুনিক লিঙ্ক হফম্যান বুশ কোচ জুড়বে। জুড়বে রেলপথের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যাত্রীদের উপভোগ করার সুবিধার্থে তিনদিকে কাচে ঘেরা একটি ভিস্তা ডোম কোচ।