রূপচর্চাও প্রযুক্তি আর বিজ্ঞানের অঙ্গ নয়া দিশায় ১০০ কোটি বিনিয়োগ আইআইটি দিল্লিতে!!

 রূপচর্চাও প্রযুক্তি আর বিজ্ঞানের অঙ্গ নয়া দিশায় ১০০ কোটি বিনিয়োগ আইআইটি দিল্লিতে!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-প্রযুক্তি মানেই কি কেবল যন্ত্র তৈরি? সেই ট্যাবু ভেঙে এবার মহিলাদের রূপচর্চাকেও প্রযুক্তি-গবেষণার অঙ্গ করে তুলল দিল্লির আইআইটি। স্টার্ট-আপ পদ্ধতিতে প্রযুক্তি বিকাশে সাফল্য এসেছে দেশের নামী কেন্দ্রীয় প্রযুক্তি-গবেষণা প্রতিষ্ঠানে। সেই পথেই এবার বাণিজ্যিক সাফল্যের হাতছানিকে অগ্রাহ্য করতে পারল না আইআইটি। দিল্লির স্টার্ট-আপ সংস্থা ‘স্ন্যাফি’র সঙ্গে যৌথ গবেষণার ফসল হিসাবে সামনে আনল মহিলাদের রূপচর্চার প্রসাধনী।’গ্লাইকোকেয়ার টেকনোলজি’ অর্থাৎ মানবশরীরের চামড়ার ওপরের অংশে যে পোড়া ত্বকের আস্তরণ থেকে যায় তাকে সরিয়ে জেল্লাদার ত্বকের কৌশল বাতলালো এই প্রযুক্তি।আইআইটি’র কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স রিলেশনশিপের ডিন প্রীতিরঞ্জন পান্ডা এই অভিনব কৌশলের প্রযুক্তিগত ব্যাখ্যা শোনালেন।তিনি বললেন,নয়া এই প্রযুক্তিতে আলফা-হাইড্রক্সি অ্যাসিড এবং বিটা-হাইড্রক্সি অ্যাসিডকে এমন ভাবে মেশিনে হয়েছে যাতে,চামড়ার ওপরের স্তরে থাকা পোড়া কোশগুলি পুরোপুরি উঠে যায়।আর ভিতর থেকে তরতাজা কোশ ওপরে উঠে আসে।’যে দু’টি হাইড্রক্সি গ্রুপের অ্যাসিডকে ব্যবহার করা হয়েছে সেই অ্যাসিডও রসায়নগারে প্রস্তুত নয় বলে দাবি প্রীতির।সম্পূর্ণ ভেষজ পদ্ধতিতে বিটা এবং আলফা গ্রুপের হাইড্রক্সি গ্রুপের অ্যাসিডকে বের করা হয়েছে বলেও দাবি তার।যদিও কোন গাছ বা কোন ফুল বা ফল থেকে এই হাইড্রক্সি গ্রুপের অ্যাসিডকে বার করা হয়েছে তা জানাতে চাননি তিনি।এর আগেও একাধিক সংস্থা রাসায়নিক বিহীন প্রসাধনীর বিজ্ঞাপন দিয়ে আইনি জটিলতায় জড়িয়েছে।সে ব্যাপারে অবশ্য প্রীতি বলেছেন,’আমরা বিজ্ঞাপন দিয়ে নয়,বিজ্ঞপ্তি জারি করে ক্রেতাদের সচেতন করব।’ ইতিমধ্যে রাসায়নিক পণ্যহীন প্রসাধনী উৎপাদনে স্ন্যাফি’র তরফে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে।এই টাকার অর্ধেকটাই রাসায়নিক পণ্য ছাড়া প্রসাধনী কিভাবে তৈরি করা যাবে সেই খাতে ব্যয় করা হবে বলে জানান ‘স্ন্যাফি’র প্রতিষ্ঠাতা অর্চিত আগরওয়াল এবং হ্যারি শেরওয়াত।গবেষণা লব্ধ ফলকে ‘যুগান্তকারী সাফল্য’ বলে ব্যাখ্যা করে অর্চিত বলেছেন,’কোনও ভুয়ো বিজ্ঞাপন দিয়ে নয়, জনসেচতনতার মধ্যে দিয়েই রাসায়নিক পণ্যহীন প্রসাধনীর প্রচার চালানো হবে।আইআইটি’র মতো প্রযুক্তি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যে কোনও বিজ্ঞান শাখার পড়ুয়াদের স্বপ্ন।এখনও মনে করা হয় দেশের যেকোনো আইআইটি বা এনআইটি থেকে যদি স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পাঠক্রম উত্তীর্ণ হওয়ার সুযোগ মেলে তাহলে কেরিয়ার গড়ার পথ অনেকটাই প্রশস্ত হবে।সেই প্রযুক্তি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও কি এবার কেরিয়ারমুখী পাঠক্রমের বদলে বাণিজ্যমুখী শিক্ষার ওপর জোর দিচ্ছে? এই প্রশ্নের উত্তরে প্রীতি বর্তমান যুগোপযোগী শিক্ষার বিষয়টই তুলে ধরেছেন।তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন, প্রসাধনী ব্যবসার বাড়বাড়ন্তে প্রযুক্তিগত শিক্ষার পাশে বাণিজ্যমুখী হওয়ার ঝটকা লেগেছে দেশের সবকটি আইআইটিতে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.