রেশনে ডাল আটা নেই!
দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি || এপ্রিল মাসের সতেরো তারিখ অতিক্রান্ত হলেও সরকারী ন্যায্যমূল্যের দোকানে এখনও ভোক্তার ডাল, চিনি, আটা আসেনি। প্রতিদিন ভোক্তারা রেশন কার্ড ও ব্যাগ হাতে নিয়ে ন্যায্য মূল্যের দোকানে রেশন সামগ্রী নিতে এসে না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
যদিও নতুন খাদ্য মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী ন্যায্য মূল্যের দোকানে ভোক্তারা যাতে নিয়মিত সঠিক সময়ে রেশন সামগ্রী পান সেই বিষয়ে খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে উদ্যোগ নিয়েছেন।
এদিকে চলতি মাসে আগরতলা পুর নিগম এলাকায় এখন পর্যন্ত শুধু ন্যায্য মূল্যের দোকানে চাল এসেছে। তাই ভোক্তারা চাল নিয়েছেন। খাদ্য গুদাম সূত্রে জানা গেছে, দরপত্রে বরাত পাওয়া ঠিকাদার সংস্থা গুদামে মসুরি ডাল এখনও পৌঁছায়নি। খাদ্যগুদাম ডালশূন্য। কবে গুদামে ডাল ঢুকবে ও কবে ভোক্তারা মাসের বরাদ্দের ডাল পাবেন তা খাদ্য দপ্তরের কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। অভিযোগ, দরপত্রে বরাত পাওয়া সংস্থা ডালের বরাত পাওয়ার পর থেকেই ভোক্তার ডাল পৌঁছাতে চরম গাফিলতি ও বিলম্বিত করছেন। সেই কারণে বহুদিন ধরেই ন্যায্যমূল্যের দোকানে ভোক্তারা ডাল পেতে বিড়ম্বনায় পড়ছেন বলে অভিযোগ। এদিকে ন্যায্যমূল্যের সব দোকানে চিনিও চলতি মাসে এখনও পৌঁছায়নি।
দরপত্রে বরাত পাওয়া চিনির ঠিকাদার সংস্থাও বিলম্ব করে খাদ্য গুদামে চিনি পৌঁছানোয় ভোক্তারা এই সমস্যায় পড়েন।তবে খাদ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ষোল এপ্রিল থেকে ন্যায্যমূল্যের দোকানে চিনি পৌঁছানো শুরু হয়েছে। আগরতলা পুর নিগম এলাকায় পঞ্চাশ শতাংশ ন্যায্যমূল্যের দোকানে সোমবার চিনি পৌঁছানো হয়েছে বলে খাদ্য দপ্তর সূত্রে সংবাদ। বাকি ন্যায্যমূল্যের দোকানে দু’তিনদিনের মধ্যে চিনি পৌঁছে যাবে বলেও খাদ্য দপ্তর দাবি করেছে। এদিকে অভিযোগ উঠেছে, গুদাম থেকে ন্যায্যমূল্যের দোকানে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছাতে খাদ্য দপ্তরের দরপত্রে বরাত পাওয়া সংস্থার গাফিলতি ও অবহেলা রয়েছে।
পরিবহণ ঠিকাদারের অবহেলার কারণে ন্যায্যমূল্যের দোকানে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছাতে বিলম্বিত হচ্ছে। এদিকে ন্যায্যমূল্যের দোকানে চলতি মাসে এখনও ভোক্তার বরাদ্দের আটাও পৌঁছেনি। ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যের দোকানে আটা নিতে এসে না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। এদিকে, এ বিষয়ে খাদ্য দপ্তরের অধিকর্তা নির্মল মজুমদারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে জানান তিনি এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে দেখবেন।