রোগীদের সুবিধার্থে একসাথে ৩ এলএসির সূচনা মুখ্যমন্ত্রীর।।

অনলাইন প্রতিনিধি :-গোমতী জেলার অমরপুর মহকুমা হাসপাতাল, ধলাই জেলার গণ্ডাতুইসা মহকুমা হাসপাতাল এবং দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার বিলোনীয়া মহকুমা হাসপাতালে এখন থেকে সুবিধা নিতে পারবেন এইডস কিংবা এইচআইভি আক্রান্ত রোগীরা। এই হাসপাতালগুলি থেকে এখন থেকে এইচআইভি আক্রান্ত রোগীরা তাদের প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রাদিও গ্রহণ করতে পারবেন। মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা শুক্রবার এই সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে মহাকরণ থেকে একযোগে ভার্চুয়ালি এই তিনটি মহকুমা হাসপাতালে তিনটি লিংক আর্ট সেন্টারের (এলএসি) উদ্বোধন করেন। মহাকরণে ত্রিপুরা এইডস কন্ট্রোল সোসাইটির আঠারোতম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয় এদিন। সভা থেকে এই সেন্টারগুলির সূচনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তিরা মহকুমা হাসপাতালের এই সেন্টারগুলি থেকে তাদের প্রয়োজনীয় ওষুধগুলি সংগ্রহ করতে পারবেন। সভা শেষে মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা পতাকা নেড়ে একটি মোবাইল আইসিটিসি ভ্যানেরও সূচনা করেন।একই সাথে তিনি বলেন, মারণব্যাধি এইচআইভি কিংবা এইডস প্রতিরোধে সমাজের সকল অংশের মানুষকেই এগিয়ে আসতে হবে। এই কাজে জনপ্রতিনিধিদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। জনপ্রতিনধিদের নিয়ে ত্রিপুরা এইডস কন্ট্রোল সোসাইটিকে এইডস প্রতিরোধে সচেতনতামূলক প্রচারাভিযানের উদ্যোগ নিতে হবে বলেও তিনি জানান। তিনি বলেন, এই ব্যাধি প্রতিরোধে সব অংশের নাগরিকদেরই সচেতন হতে হবে। রাজ্যের বিভিন্ন সামাজিক সংস্থাগুলিকেও এইডস প্রতিরোধ সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজের সাথে যুক্ত করতে হবে।
সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী এদিন এইডস কিংবা এইচআইভি শনাক্তকরণের জন্য স্বাস্থ্য দপ্তরকে তিন মাসের কর্মসূচি হাতে নিয়ে একটি বিশেষ অভিযান করার পরামর্শ দেন। এইডস প্রতিরোধে প্রচার অভিযানের অঙ্গ হিসাবে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন, বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমে টক শো, সাংবাদিক সম্মেলন,বিভিন্ন ক্যাবল চ্যানেলে বিজ্ঞাপন, স্কুল-কলেজে লিফলেট বিতরণের উপরও গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী বিশেষ করে বহিঃরাজ্য থেকে আসা ট্রাক ড্রাইভারদের পর্যবেক্ষণ করা এবং তাদের রক্ত পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়ার জন্য পরামর্শ দেন সোসাইটিকে। একই সাথে এইডস আক্রান্ত রোগীদের পর্যবেক্ষণের জন্য ত্রিপুরা এইডস কন্ট্রোল সোসাইটিতে একটি কল সেন্টার স্থাপন করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
সভায় জনজাতি কল্যাণমন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা রাজ্যের বিভিন্ন জেলা ছাত্রাবাসগুলিতে শিবির করে রক্ত পরীক্ষা করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এছাড়াও এদিন স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে ত্রিপুরা এইডস কন্ট্রোল সোসাইটির উল্লেখযোগ্য কর্মসূচিগুলি নিয়ে আলোচনা করেন এই সভায়। ত্রিপুরা এইডস কন্ট্রোল সোসাইটির প্রকল্প অধিকর্তা ডা. সমর্পিতা দত্ত এইডস /এইচআইভি শনাক্তকরণ ও প্রতিরোধে সোসাইটির উদ্যোগগুলির কথা তুলে ধরেন। আয়োজিত সভায় এদিন অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিভিন্ন জিলা পরিষদের সভাধিপতি, ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদের কার্যনির্বাহী সদস্য কমল কলই, ত্রিপুরা মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি এবং শিক্ষা, সমাজকল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা।