রোমান হরফে ককবরক ফের উত্তপ্ত বিধানসভা!!

 রোমান হরফে ককবরক ফের উত্তপ্ত বিধানসভা!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্য বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনের তৃতীয় দিনও রোমান হরফে ককবরক বিষয়ের পরীক্ষা দেওয়া নিয়ে উত্তপ্ত হয়েছে বিধানসভা।এ নিয়ে প্রায় আধঘন্টা শাসক ও প্রধান বিরোধী দল তিপ্রা মথা বিধায়কদের দাবি,পাল্টা দাবিতে উত্তপ্ত হয় বিধানসভা। শেষে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পুনরায় সিবিএসই-কে চিঠি দেওয়া হবে। সিবিএসই কী বলে দেখি।তারপরই সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর অবশ্য সভা শান্ত হয়ে যায়।উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিধানসভার শূন্যকালে বিরোধী দলনেতা বিষয়টি
উত্থাপন করে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।তিনি এই ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেন।তিনি বলেন,এই জটিলতায় রাজ্যের পাঁচ হাজার জনজাতি ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। তাদের ভবিষ্যৎ কী হবে? জানতে চান বিরোধী নেতা অনিমেষ দেববর্মা।তার দাবি, রাজ্যে যারা ককবরকে পড়াশোনা করেছে, তারা যাতে বাংলা এবং রোমান লিপিতে পরীক্ষা দিতে পারে। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, যেসব ছাত্র-ছাত্রী শুরু থেকেই ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করে এসেছে, তাদের যদি হঠাৎ করে বাংলা মিডিয়ামে পড়তে এবং লিখতে বলা হয়, তাহলে তাদের কী অবস্থা হবে?যারা শুরু থেকেই ককবরকে পড়াশোনা করেছে তাদের হঠাৎ করে বাংলা মিডিয়ামে পড়তে লিখতে বললে তাদের কী অবস্থা হবে?মুখ্যমন্ত্রী বলেন,এই ব্যাপারে বিরোধী নেতা আমার সাথে ব্যক্তিগতভাবেও কথা বলেছেন। আমরা একটি কমিটি গঠন করেছি ডা. অতুল দেববর্মার নেতৃত্বে। তিনজনের ওই কমিটি রিপোর্ট দিলেই আমরা সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরই সভা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিরোধী নেতা বলেন, ওই কমিটি কবে রিপোর্ট দেবে? কবে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে? ততদিন ওই ছাত্র– ছাত্রীদের কী হবে? তাদের ভবিষ্যতের কী হবে। কে নেবে তাদের ভবিষ্যতের দায়িত্ব? রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আপনার কী কোনও দায়িত্ব নেই? মনে হচ্ছে আপনার কোনও চিন্তাই নেই। আপনাকে বলতেই হবে। মথার সকল বিধায়ক বিধায়িকা একসাথে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করতে থাকেন। এর মধ্যে সিপিএম বিধায়ক জিতেন্দ্র চৌধুরীও প্রধান বিরোধী দলের পক্ষ নিয়ে বলেন, ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করার জন্যই এটা করা হয়েছে।এতে সভা আরও উত্তপ্ত হয়। ট্রেজারী বেঞ্চের সদস্যরাও তখন পাল্টা সরব হন।এরপর মুখ্যমন্ত্রী পুনরায় সিবিএসই-কে চিঠি দেওয়ার কথা হাউসে জানলে সভা শান্ত হয়।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.