‘লক্ষ্য এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত গঠন’ দেশের সুরক্ষা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছেন মোদিঃ সুশান্ত।
অনলাইন প্রতিনিধি :- প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশকে বিশ্বগুরু বানাতে এবং এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত গড়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।৭৭তম স্বাধীনতা দিবসে এবার প্রধানমন্ত্রী স্লোগান তুলেছেন সবার আগে দেশ সব সময় দেশ। সবার পূর্বে দেশকে প্রাধান্য দিতে হবে এটাই বর্তমান সরকারের মূল মন্ত্র।মঙ্গলবার জিরানীয়া মহকুমাভিত্তিক স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথাগুলো বলেন খাদ্য, পরিবহণ ও পর্যটন দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।তিনি বলেন,দেশ স্বাধীন হলেও প্রকৃত স্বাধীনতা তখনই হবে যখন সকলের বিকাশ ঘটবে।সবকা সাথ সবকা বিকাশ সবকা বিশ্বাস সবকা প্রয়াসের যে মন্ত্রে প্রধানমন্ত্রী দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তাতে প্রত্যেকের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান সহ সমস্ত সুযোগ পাচ্ছেন মানুষ।বর্তমান কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার সকলের কল্যাণে কাজ করে চলছে। মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, মোদিজির নেতৃত্ব দেশ বহু দূর এগিয়ে গেছে। অর্থনীতিতে বিশ্বের মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভারত। পঞ্চম বৃহত্তম শক্তিশালী অর্থনৈতিক দেশ হিসাবে পৃথিবীর মধ্যে যেমন স্থান করে নিয়েছে তেমনি বিজ্ঞান প্রযুক্তিতেও রয়েছে ষষ্ঠ স্থানে। তিনি বলেন,২০১৮ সালে সরকার গঠনের পর রাজ্যের মাত্র তিন শতাংশ বাড়িতে বিশুদ্ধ পানীয় জল ছিল। বর্তমান সময়ে ৬৫ শতাংশ বাড়িতে বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে গেছে। সরকারের লক্ষ্য আগামী এক বছরের মধ্যে সমস্ত বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া।মন্ত্রী বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিজ্ঞান প্রযুক্তি সহ সমস্ত বিষয়ে বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছে ভারত।তিনি বলেন, পূর্বে রাজ্যে একটি মাত্র জাতীয় সড়ক ছিল।
বর্তমানে সাতটি জাতীয় সড়ক রয়েছে।রেল, বিমান, জল পরিবহণ সহ সমস্ত দিকে এগিয়ে যাচ্ছে রাজ্য। মন্ত্রী বলেন, পূর্বে একটি ঘরের জন্য দীর্ঘ মিছিলের লাইনে হাঁটতে হতো। কিন্তু বর্তমান কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার বলছে গরিবের কোনও রং নেই। দলমত, জাতপাত, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে ঘর প্রদান করা হচ্ছে। তিনি বলেন, দেশের অভ্যন্তরে ও দেশের বাইরে একটি অশুভ শক্তি দেশকে দ্বিখণ্ডিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।এ ব্যাপারে সকলকে সজাগ দৃষ্টি রাখার কথা বলেন মন্ত্রী। তিনি জাতীয়তাবোধ ও দেশাত্মবোধে জাগ্রত হয়ে দেশের সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করার জন্য সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মহকুমাশাসক শান্তিরঞ্জন চাকমা,মহকুমা পুলিশ আধিকারিক হিমাদ্রী প্রসাদ দাস, সমাজসেবী গৌরাঙ্গ ভৌমিকসহ অন্যরা।মন্ত্রী পতাকা উত্তোলন ও অভিবাদন গ্রহণ করে বক্তব্য রাখার পর কচিকাঁচাদের দ্বারা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়।এদিকে এডিসির উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবসের মূল অনুষ্ঠান হয় খুমুলুঙস্থিত খুম্পুই একাডেমি মাঠে।জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন শিক্ষা দপ্তরের নির্বাহী সদস্য রবীন্দ্র দেববর্মা।তিনি বলেন, এডিসি এলাকার উন্নয়ন ছাড়া রাজ্যের উন্নয়ন সম্ভব নয়।তিনি জনজাতি
এলাকায় পানীয় জলের তীব্র সংকট চলছে বলে মন্তব্য করেন।স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে নির্বাহী সদস্য এডিসি এলাকার নানা সমস্যার চিত্র তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। ছিলেন মৎস্য দপ্তরের নির্বাহী সদস্য রাজেশ ত্রিপুরা, বিধায়িকা স্বপ্না দেববর্মা সহ অন্যরা।এদিকে পুরাতন আগরতলা ব্লকভিত্তিক স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান ব্লকের সামনে অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিধায়ক রতন চক্রবর্তী।