আগামী লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ইন্ডিয়া’ জোটের অন্যতম বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ শরিক কংগ্রেস এটা বিলক্ষণ বুঝতে পারছে যে তারা অন্য কোনও শরিক দলের সাথে আগে থেকে কোনও ঝামেলায় যাবে না। কেননা, শরিক দলগুলির সাথে বার্গেন’ করলে আখেরে এতে জোটেরই ক্ষতি হবে। তাই প্রাথমিকভাবে কংগ্রেস মনে করছে তারা কিছু আসনকে টার্গেট করে ভোটে নামবে। কেননা, যদি কংগ্রেস প্রধান দল হতে চায় তাহলে তাদেরকেই বেশি আসন নিয়ে ফিরে আসতে হবে।তাই প্রাথমিকভাবে কংগ্রেস স্থির করেছে দেশে অন্তত ১৫০টি আসনকে টার্গেট করে তারা এগোবে। অর্থাৎ ১৫০টি আসন কংগ্রেসকে জিততে হবে যদি ইন্ডিয়া জোটকে ক্ষমতায় আসতে হয়।এরপর রাজ্যে রাজ্যে শরিক দলগুলির সাথে আসন সমঝোতায় তারা প্রথমে বুঝে নিতে চাইবে যে শরিক দলগুলি কংগ্রেসকে কতটা আসন ছাড়তে চাইছে। আপাতত কংগ্রেস শিবিরের প্ল্যান এটাই।মুম্বাইয়ে ইন্ডিয়া জোটের সর্বশেষ বৈঠকে একটি কো-অর্ডিনেশন কমিটি গঠিত হয়।এই কো-অর্ডিনেশন কমিটির কাজ হবে রাজ্যে রাজ্যে শরিক দলগুলির মধ্যে আসন ভাগাভাগি কী রূপ নেবে। এছাড়া র্যালি, প্রচার কর্মসূচি ঠিক করা ইত্যাদি নিয়েও সিদ্ধান্ত হবে কো- অর্ডিনেশন কমিটির বৈঠকে। যার প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বুধবার। তবে এর আগে থেকেই কংগ্রেস এটা টার্গেট করে এগোতে চাইছে যে, ইন্ডিয়া জোটকে যদি ক্ষমতায় আসতে হয় তাহলে ন্যূনতম ১৫০টি আসন একাই কংগ্রেসকে জিততে হবে। সম্প্রতি এ লক্ষ্যে এআইসিসির সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপালের মধ্যে একটি বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে এ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে।সেখানেই মোটামুটি কংগ্রেস ঠিক করেছে যে তারা অন্তত ১৫০টি আসনে জেতাকে টার্গেট করবে। এজন্য রাজ্য ইউনিটগুলিকেও লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।অর্থাৎ কংগ্রেস চাইছে তারা যদি এককভাবে ১৫০টি আসন জিততে না পারে তাহলে বিরোধী ইন্ডিয়া জোটকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে অসুবিধা হতে পারে।৫৪৩ আসনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে ২৭২টি আসন জেতা চাই। ইন্ডিয়া জোটও মোটামুটি টার্গেট করেছে তাদের ঝুলিতে ২৭৫টির মতো আসন আসতে চলেছে।তাই রাজ্য ইউনিটগুলিকে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের নির্দেশ বর্তমানে কংগ্রেসের যে লোকসভার আসন তা বাড়িয়ে অন্তত তিনগুণ করতে হবে।কংগ্রেস প্রাথমিকভাবে ছত্তিশগড়, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, হিমাচল,উত্তরাখণ্ড, গোয়া, কর্ণাটক, আসাম, গুজরাটের মতো রাজ্যগুলিকে টার্গেট করে এগোচ্ছে। যেখানে বিজেপির সাথে কংগ্রেসের সরাসরি ফাইট হচ্ছে সেই সমস্ত রাজ্যগুলি থেকে কংগ্রেস যত সংখ্যক বেশি আসন জিততে পারে সেই টার্গেট করে কংগ্রেস নেতৃত্ব এগোচ্ছে। কংগ্রেসের ‘তিন মাথা’র মধ্যে সাম্প্রতিক যে বৈঠক হয়েছে তাতে আরও আলোচনা হয়েছে যে, তারা অন্যান্য রাজ্যগুলিতে আগে দেখে নিতে চাইবে শরিক দলগুলি তাদের জন্য কত আসন বরাদ্দ করে। অর্থাৎ শরিক দলগুলি কংগ্রেসকে কত আসন ছাড়ে।তাই বৈঠকের নির্যাস হচ্ছে, জোট ধর্ম বজায় রাখার জন্য আসন সমঝোতায় জেদাজেদির কোনও দরকার নেই। আগে কংগ্রেস দেখে নিতে চাইছে পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, পাঞ্জাব, দিল্লী, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যে শরিক দলগুলি কংগ্রেসের জন্য কতটা আসন ‘তোলা’ রাখে। এক্ষেত্রে রাহুল গান্ধীর পরামর্শ, কংগ্রেসকে শরিক দলগুলির উপর কৌশলে চাপ সৃষ্টি করতে হবে প্রয়োজনে। কংগ্রেস জেদাজেদি করতে রাজি নয়।কারণ কংগ্রেস নেতৃত্ব বিলক্ষণ জানে যে, কংগ্রেসের সাথে বিজেপির সরাসরি টক্কর হচ্ছেএমন রাজ্যের সংখ্যা বেশি। আর সেসব রাজ্যে কংগ্রেস যদি অন্যান্য শরিক দলগুলির সমর্থন পায় তাহলে কংগ্রেসের জয়ের সম্ভাবনা প্রবল হবে। অন্যদিকে, আঞ্চলিক দলগুলির চাপের কাছে যদি কংগ্রেস নতিস্বীকার করে অন্য সমস্ত রাজ্যে কতটা কী করতে পারবে তা কংগ্রেস আগে বুঝে নিতে চাইছে। পরে আসন সমঝোতা বা ভাগাভাগির বিষয়টি নিয়ে ভাবা যাবে।কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মত এবং পরামর্শ হচ্ছে মূল টার্গেট বিজেপি হঠানো। সে জন্য আসন নিয়ে জেদাজেদি নয়। দেশের স্বার্থে সেই টার্গেট পূরণ করতেই হবে। দেখা যাক কংগ্রেস শেষ পর্যন্ত তাদের লক্ষ্যে সফল হতে পারে কিনা।
দিল্লী বিধানসভা ভোটকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে যেন প্রতিশ্রুতির প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ভোটারদের মন…
অনলাইন প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে যাওয়ার পথে মামিত জেলার…
অনলাইন প্রতিনিধি :- নিরাপত্তার কাজে নয়, টিএসআর জওয়ানদের খাটানো হচ্ছে আর্দালি হিসাবে। পুলিশ আধিকারিকদের ও…
অনলাইন প্রতিনিধি :- ইন্ডিগো আগরতলা- দিল্লী রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে আরও একটি বিমান চালু করছে।…
দিল্লীর বিধানসভা ভোট নিয়ে সরগরম দিল্লী। দিল্লীতে এবার এক আঙ্গিকে বিধানসভা ভোট হচ্ছে। গত পরিস্থিতির…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় উৎপাদিত" অর্গানিক বার্ড আই চিলি " স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি…