লক্ষ্য ৫০’র বেশি আসনঃ যীষ্ণু!

 লক্ষ্য ৫০’র বেশি আসনঃ যীষ্ণু!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

৫০ আসনেরও বেশি আসনে জয়ী হয়ে রাজ্যের ক্ষমতায় আসছে বিজেপি ৷ বিজেপিকে হারানোর উদ্দেশে রাজনৈতিক নীতি আদর্শ ভুলে গিয়ে ক্ষমতালোভী কংগ্রেস ও সিপিএম একমঞ্চে এসে অশুভ জোট গড়ায় বিজেপির আসন সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। শুক্রবার উত্তর চড়িলামে বাড়ি বাড়ি ভোট প্রচারের ফাঁকে সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এভাবেই বিজেপির ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন নিয়ে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন চড়িলাম কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তথা উপমুখ্যমন্ত্ৰী যীষ্ণু দেববর্মণ। শ্রী দেববর্মণ বলেন, রাজ্যের মানুষ শান্তিপ্রিয়, উন্নয়নকামী চিন্তা চেতনায় উদ্বুদ্ধ। রাজ্যের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন সচেতন মানুষ রাজ্যে আর সিপিএমের চাঁদার জুলুমবাজি, চাকরিতে স্বজনপোষণ, দুর্নীতির কালচার আর রাজ্যে ফিরিয়ে আনবেন না। শ্রী দেববর্মণ বলেন, বিজেপিকে পরাজিত করা সম্ভব নয় জেনেই রাজনৈতিক নীতি-আদর্শ জলাঞ্জলি দিয়ে কংগ্রেস-সিপিএম অশুভ জোট করতে বাধ্য হয়েছে। বিজেপিকে হারাতে জোট বাঁধায় উল্টো রাজনৈতিক নীতি ও আদর্শবান কংগ্রেস এবং সিপিএমের সমর্থকরা রাজ্যের সর্বত্রই প্রতিদিনই দলে দলে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। শ্রী দেববর্মণ বলেন, করোনার প্রকোপে দুবছর নষ্ট হয়ে গেলেও বিজেপি সরকারের সময়কালে তিনি চড়িলামেই ৩৮৭৪টি পাকা বাড়ি তৈরি করে দিয়েছেন। বাকি বাড়িগুলিকে পাকা বাড়ি নির্মাণের অনুমোদন এসে গেছে। উজ্জ্বলা প্রীতম যোজনায় ৩৮৪৫ টি পরিবারকে বিনামূল্যে গ্যাসের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। ৬৪৬টি এসএইচজি গঠন করে ঢালাও আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে। চড়িলাম বিদ্যালয়কে আধুনিক দ্বিতল বিদ্যালয়ে পরিণত করা হয়েছে। তাছাড়াও আরও তিনটি বিদ্যালয়কে পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যাজ্যোতি স্কুল চালু করা হয়েছে। খেলার সুবিধার্থে স্টেডিয়াম তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। পাড়ায় পাড়ায় পাকা রাস্তা করে দেওয়া হয়েছে। বাজারগুলির সার্বিক উন্নয়ন করা হয়েছে। কমিউনিটি হলগুলি পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। জিম চালু করা হয়েছে। মোটর নামটি স্ট্যাণ্ডের কাজও শেষ পর্যায়ে। গেস্ট হাউস হচ্ছে। বিভিন্ন দপ্তরের অফিস হচ্ছে। আশী বায়োভিলেজের মাধ্যমে গ্রামের মানুষ স্বাবলম্বী হচ্ছেন। সোলার পাম্পের মাধ্যমে কৃষি কাজের জন্য সেচের ব্যবস্থা করা হয়েছে। গ্রামীণ এলাকাগুলিতে সোলার লাইটের মাধ্যমে রাতে আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। আরও বহু উন্নয়নমুখী কর্মযজ্ঞের কাজ এগিয়ে চলেছে। মানুষ নিজেদের চোখেই চড়িলামের সার্বিক উন্নয়ন দেখে তাকে পুনরায় বিপুল ভোটে জয়ী করবেন বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মণ।এদিকে, হাতেগোনা আর দু-চারটা দিন কোনও অবস্থাতেই প্রচারে খামতি রাখতে চাইছেন না চড়িলাম বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি মনোনীত প্রার্থী তথা রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মণ। শুক্রবার সকালে চড়িলাম বিধানসভা কেন্দ্রের ২০নং বুথে উত্তর চড়িলামে বিজেপির কার্যকর্তাদের নিয়ে ভোটারদের বাড়িতে ভোট চাইতে গেলেন বিজেপি মনোনীত প্রার্থী যীষ্ণু দেববর্মণ। শুক্রবার উত্তর চড়িলাম এলাকায় ২০ নং বুথে বিজেপির কার্যকর্তাদের নিয়ে ভোট চাইতে গেলে যীষ্ণু দেববর্মণকে উলুধ্বনি, শঙ্খধ্বনি, প্রদীপ জ্বালিয়ে ফুল ছিটিয়ে বরণ করে নেন উত্তর চড়িলাম এলাকার মানুষ। উত্তর চড়িলাম এলাকায় শুক্রবার ডোর টু ডোরে টাকা বিজেপি প্রার্থীর সথে ছিলেন চড়িলাম মণ্ডল মহিলা মোর্চার সভানেত্রী কাকলি দেব, চড়িলাম মণ্ডলের মিডিয়া ইনচার্জ বিপ্লব সাহা। ছিলেন উত্তম সাহা সহ বিজেপির অন্য নেতৃত্বরা। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারী বিধানসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনে চড়িলাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে পুনরায় বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন উপমুখ্যমন্ত্রী অন যীষ্ণু দেববর্মণ। তাকে জয়ী করার আহ্বান জানিয়ে শুক্রবার উত্তর চড়িলাম এলাকায় ডোর টু ডোর অভিযানে গেলেন বিজেপি প্রার্থী। ডোর টু ডোর অভিযান দেখে মনে হয়েছে যেন বিজয় মিছিল। বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে কর্মী সমর্থকদের ব্যাপক উৎসাহের মধ্য দিয়ে ডোর টু ডোর প্রচার করেন তিনি। চড়িলাম বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথ্য উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মণ বলেন, আগামী দিনে উন্নয়নের জন্য আপনারা পদ্মফুল চিহ্নে ভোট দিন। গত পাঁচ বছরের মধ্যে দুই বছর করোনায় কেন্দ্রে কেটে যায়। তবে তিন বছরে আপনাদের সাথে নিয়েই চড়িলাম এলাকার উন্নয়ন যতটুকু করা সম্ভব হয়েছে তা করেছি। বিগত ২৫ বছরের যে সরকার ছিল সে সিপি সরকারের তুলনায় পাঁচ বছরে চড়িলাম এলাকায় উন্নয়নের চিত্র আপনাদের চোখের সামনে। সে উন্নয়নের কথা কারও কাছে বলার প্রয়োজন হয় না। কারণ এই উন্নয়নের সাক্ষী আপনারা। যীষ্ণু দেববর্মণ আরও বলেন, ২০১৮ সালে যখন আমি ক্যাম্পিংয়ে এসেছিলাম ওই সময় রাস্তাঘাটের যে করুণ অবস্থা ছিল আর বর্তমানে চড়িলামের রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে উন্নয়নের চিত্র আপনাদের সামনেই।২০১৮ সালে আমি যখন চড়িলাম এসেছিলাম তখন চড়িলাম এলাকার জনগণ চড়িলাম বিদ্যালয়টি আমাকে দেখিয়েছিলেন সেই বিদ্যালয়টিকে আধুনিক মানের করে দেওয়ার জন্য। সেই বিদ্যালয়টিকে আধুনিকমানের বিদ্যালয় শুধু নয়। সারা ত্রিপুরা রাজ্যে ১০০টি বিদ্যালয়ের মধ্যে বিদ্যাজ্যোতি আওতায় আনা হয়েছে। খেলাধুলার জন্য দীর্ঘদিনের দাবি ছিল চড়িলাম মিনি স্টেডিয়াম, সেই চড়িলামবাসীর যুবকদের কথা চিন্তা করে আধুনিকমানের পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় মিনি স্টেডিয়াম করা হয়েছে। তিনি সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেন, চড়িলাম এলাকায় আরও উন্নয়নের কাজ হবে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.