লাগবে বিদ্যুতে র ঝটকা! অ্যান্টি-রেপ জুতো বানিয়ে তাক লাগাল স্কুল ছাত্রী
যদি এমন কোনও জুতো হতো, মেয়েরা যা পরে থাকলে কোনও বর্বর তার কাছে ঘেঁষার সাহস পর্যন্ত পেত না কারণ, ওই জুতো আদতে বিদ্যুৎবাহী! ধর্ষণ হোক বা শ্লীলতাহানি, মহিলাদের বিরুদ্ধে যৌন অপরাধ
রুখতে এমনই বিস্ময় আবিষ্কার করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে দশম শ্রেণির এক ছাত্রী। কর্নাটকের কালবুর্গির বাসিন্দা এই ছাত্রীর নাম বিজয়লক্ষ্মী বিরাদার। কালবুর্গির এসআরএন মেহতা স্কুলের ছাত্রী সে। বিজয়লক্ষ্মী ধর্ষণ কিংবা শ্লীলতাহানির মতো
মহিলাদের বিরুদ্ধে সংগঠিত যৌন অপরাধ রুখতে তৈরি করে ফেলেছে ‘অ্যান্টি-রেপ ফুটওয়্যার’। ‘অ্যান্টি-রেপ ফুটওয়্যার’। সহজ কথায় ধর্ষণ প্রতিরোধকারী জুতো। যে জুতো তার গঠন বৈশিষ্ট্যে বাজারচলতি জুতোর চেয়ে আলাদা। এই জুতোর মধ্যে থাকছে অত্যাধিক জিপিএস প্রযুক্তি। কোনও মহিলা ওই জুতো পরে থাকলে যদি কেউ তাকে যৌন নিগ্রহ করতে আসে, তবে সে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যেতে পারে! ইতিমধ্যেই এই ‘অ্যান্টি-রেপ
ফুটওয়্যার’ একাধিক পুরস্কার জিতে নিয়েছে। পুরস্কারের তালিকায় অন্যতম গোয়ায় অনুষ্ঠিত ‘ইন্টারন্যাশনাল ইনভেনশন অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো অ্যাওয়ার্ড’। এই জুতোর মধ্যে থাকছে কাটিং-এজ জিপিএস প্রযুক্তি।
জুতোটি ব্যাটারি পরিচালিত। এখন কেউ যদি ধর্ষণ করার চেষ্টা করে, ওই জুতো পরা পায়ে তাকে জোরে আঘাত করলেই কুমতলবে আসা ব্যক্তিটি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হবে। ব্যাটারি
থেকে আসবে ওই বিদ্যুৎ। ফলে সে আহত হবেই। আর সেই সুযোগে দুষ্কৃতীর হাত ছাড়িয়ে পালাতে সক্ষম হবেন নিগৃহীতা। পাশাপাশি, জিপিএস থাকায় ওই নিগৃহীতার ইমারজেন্সি কনট্যাক্টসে যার যার নাম্বার থাকবে, তাদের সবার কাছে একটি অ্যালার্টও
পৌঁছে যাবে। যা বুঝিয়ে দেবে যে সেই মেয়েটি বিপদে পড়েছে। পাশাপাশি, নিগৃহীতার লাইভ লোকেশনও তার ইমারজেন্সি কনট্যাক্টসে থাকা সবার সঙ্গে শেয়ার হয়ে যাবে। নিজের উদ্ভাবন প্রসঙ্গে বিজয়ালক্ষ্মী সংবাদমাধ্যমকে বলে, ‘আক্রমণের সময় মেয়েরা এই অ্যান্টি-রেপ জুতো পরে থাকলে ধর্ষকের গুরুতর আঘাত করতে সক্ষম হবে।’ নারী নিরাপত্তার প্রশ্নে বিজয়ালক্ষ্মীর আবিষ্কৃত এই জুতো যে
অনেকখানি সাহায্য করবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।