লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থীর ভোটের সংখ্যা বেঁধে দিলেন বিপ্লব!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-আগামী
লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের পূর্ব ও পশ্চিম দুই আসনেই বিজেপি প্রার্থীদের জয়ের ব্যবধানের সাথে সাথে বিরোধী প্রার্থীর ভোটের সংখ্যাও বেঁধে দিলেন,রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, সাংসদ তথা পশ্চিম লোকসভা আসনের বিজেপি প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব। শুক্রবার রাজধানীর টাউন হলে আয়োজিত দ্বিতীয় বিজেপি সরকারের প্রথম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে শ্রীদেব উপস্থিত দলের রাজ্য নেতৃত্ব, মন্ত্রী, বিধায়ক এবং সকল স্তরের কার্যকর্তাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, রাজ্যের দুই কেন্দ্রেই বিরোধী প্রার্থীর ভোট যাতে এক লাখের নিচে থাকে,সেই লক্ষ্য নিয়ে সকলকে কাজ করতে হবে। শুধু তাই নয়, প্রতিটি বিধানসভায় বিরোধী প্রার্থীর ভোট তিন হাজারের নিচে রাখতে হবে।সেই লক্ষ্য নিয়েই প্রতিটি কার্যকর্তাকে কাজ করার নিদান দিলেন শ্রীদেব।উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন পর ফের একবার রাজ্য রাজনীতির লাইমলাইটে এসে ভোটের ময়দানে অবতীর্ণ হয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।দ্বিতীয় বিজেপি সরকারের প্রথম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে দলের নেতা-নেত্রী এবং কার্যকর্তাদের যেভাবে তিনি উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেছেন,তা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।বিশেষ করে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থীর ভোটের সংখ্যা বেঁধে দেওয়ার নিদান উল্লেখযোগ্য। তার এই রক্তব্য নিয়ে বিরোধীরা হয়ত প্রশ্ন তুলবে, কিন্তু দীর্ঘদিন পর রাজ্য রাজনীতি মঞ্চে বিপ্লব কুমার দেবকে দেখা গেলো একেবারে স্বমহিমায় পুরোনো মেজাজে।
এদিন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শ্রীদেব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা এবং তার মন্ত্রিসভার সদস্যদেরও ভূয়শী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, বামেদের বিদায়কালে রাজ্যের বাজেট ছিলো চৌদ্দ হাজার কোটি টাকা। মাত্র ছয় বছরে বিজেপি সরকার এই বাজেট প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি হয়ে এখন সাড়ে সাতাশ হাজার কোটিতে পৌঁছেছে।এটাই রাজ্যের উন্নয়ন।তিনি বলেন, কমিউনিস্টরা মন থেকেই চাইতো না রাজ্যের জনগণ স্বাবলম্বী হোক।মানুষকে গরিব করে রাখাই কমিউনিস্টদের মূল নীতি। কারণ, যতদিন গরিব থাকবে ততদিন কমিউনিস্ট থাকবে। এটাই কমিউনিস্টদের মূল বৈশিষ্ট।শ্রীদেব বলেন,ত্রিপুরা রাজ্যকে পরিচিতি দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার।বাম আমলে এক মুখ্যমন্ত্রী এবং একটি পার্টির পরিচয় শুধু ছিলো।বিপ্লব বলেন, দল পশ্চিম আসনে আমাকে আবার প্রার্থী করেছে।আমি আপনাদের সামনে এসেছি।আপনাদের ছেলে। আমি যেমন ছিলাম তেমনই আছি। নিজেকে বদলাতে পারবো না, বদলও করবো না। কার্যকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, যে কোনও ভোটে জয়ের জন্য চাই জোশ, আত্মবিশ্বাস এবং রণকৌশল।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতো ব্যক্তিত্ব, অমিত শাহের মতো রণকৌশলী এবং নাড্ডার মতো সুসংগঠক বিশ্বের আর কোনও দলে নেই।একমাত্র ভারতীয় জনতা পার্টিতেই রয়েছে।গোটা দুনিয়া আজ মোদিকে সেলাম দিচ্ছে। গোটা দুনিয়া আজ ভারতের কথা বলছে।তাই প্রত্যেক বুথে গিয়ে মানুষকে বলতে হবে প্রধানমন্ত্রী মাদি আপনাদের আশীর্বাদ চেয়েছেন।এই কাজটি করতে হবে প্রতিটি কার্যকর্তাকে। জয়ের চাবিকাঠি তাদেরই হাতে রয়েছে। শ্রীদেব এদিন বলেন, আমি দলের প্রতিটি কার্যকর্তার কাছে যাবো। তাদের নিজের কথা, তাদের মনে ভাব জানতে হবে আমাকে। তার বক্তব্যে এদিন উপস্থিত দলীয় নেতা-নেত্রী এবং কার্যকর্তাদের মধ্যে বেশ উৎসাহ পরিলক্ষিত হয়। এদিন সিপিএম দলকেও তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।