শরীর বুঝে খান

 শরীর বুঝে খান
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনেকেই প্রতিদিন নিয়ম করে ফল খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু সব ফলই আপন খেতে পারবেন কিনা সেটা একবার ভাল করে বুঝে নিন। তারপরেই ফল খাবেন। ঠিক যেমন ক্যালরি মেপে ফল খাওয়া উচিত। এই গরমকাল মানেই তো আম, জাম, লিচু, কাঁঠালের মরশুম। কিন্তু আম, লিচুর মতো ফলগুলিতে ক্যালরির পরিমাণ অনেক বেশি। আর ফসেই ক্যালরি আপনি শরীরে কতটা নিতে পারবেন সেটা বুঝে নেওয়া উচিত।
প্রথমেই আসা যাক আমের কথায়। আমের মধ্যে ফাইবার, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম থাকলেও গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স খুবই কম থাকে। সেজন্যই ডায়াবেটিস থাকলে খুব বেশি আম খেতে নিষেধ করা হয়। তবে আমের সঙ্গে কোন খাবারটি খাচ্ছেন তা দেখে নেওয়া জরুরি। যেমন আম দিয়ে পায়েস, সন্দেশ ইত্যাদি খাবার কিংবা দুপুরে ও রাতের খাবারের শেষে প্রতিদিন আম খাওয়ার অভ্যাসও সঠিক নয়। পরিবর্তে ব্রেকফাস্টে হাই ফাইবার খাবার যেমন ওটস, ডালিয়া ইত্যাদির সঙ্গে এক পিস আম খেতে পারেন। কিন্তু একসঙ্গে তিন চারটে আম খাওয়া একেবারেই উচিত নয়।

আম, কাঁঠাল কিংবা লিচুর মতো বেশি ক্যালোরিযুক্ত ফল খেলে খাদ্যতালিকা থেকে খাবারের পরিমাণ অনেকটাই কমাতে হবে। পাশাপাশি মিষ্টি খেতে ইচ্ছে হলে সেক্ষেত্রে বিস্কুট বা কোনও প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার চেয়ে মরশুমি ফল খাওয়া অপেক্ষাকৃত ভাল। এই ধরণের ফলে প্রাকৃতিক ফ্রুকটোজ রয়েছে যা পরিমিত খাওয়াই যায়। সাধারণত ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সারাদিনের একটি আম বা বড় কোয়া দু’পিস কাঁঠাল কিংবা চার-পাঁচটা লিচু খাওয়া যেতেই পারে।
কিডনির সমস্যায় সোডিয়াম, পটাশিয়াম এবং জল খাওয়ার বিধিনিষেধ থাকে। সারাদিনে সীমিত জল খহেতে হয় বলে স্বাভাবিক ভাবেই রোগীদের গরমে কগুবই কষ্ট হয়। সেক্ষেত্রে তালশাঁস জলের খুব ভাল বিকল্প হতে পারে। তালশাঁসে যেমন সোডিয়াম, পটাশিয়াম খুবই কম থাকে তেমনি শরীরে জলের চাহিদাও পূরণ হয়। সাধারণত যে-কেউ দিনে দু-তিন পিস তালশাঁস খেতে পারেন। এটি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ কিংবা ওজন কমাতেও সাহায্য করে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.