আগরতলা শহরের বিস্তীর্ণ এলাকার বিদ্যুৎ ভোক্তাদের নাজেহাল হতে হয়েছে দিনভর। সোমবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত বহু এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে আছে। রাত সাড়ে নয়টায় সংবাদ লেখার সময় পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন অংশে স্বাভাবিক হয়নি পরিস্থিতি। জানা গেছে, সোমবার দুপুরে ঝড় সহ বৃষ্টি হওয়ার পর থেকেই বেহাল হয়ে পরেছে শহরের বিদ্যুৎ পরিষেবা। নিগম সূত্রের হাল সবচেয়ে বেহাল হয়ে পড়েছে শহরের মূল এলাকা হিসাবে পরিচিত অংশে। মূলত রাজ্য বিদ্যুৎ নিগমের স্থানীয় বনমালীপুর ও ৭৯ টিলাস্থিত ১ এবং ৩ নম্বর বিভাগের অবস্থা কাহিল হয়ে পড়েছে ঝড়-বৃষ্টির জেরে।
কল্যানী, কলেজটিলা আদর্শ পল্লী, যোগেন্দ্রনগর, প্রতাপগড়, ধলেশ্বর, রেশমবাগান, চন্দ্রপুর, বড়জলা, দূর্জয়নগর, ইন্দ্রনগর, অভয়নগর, জগৎপুর এবং সন্নিহিত এলাকায় ঝড় বাদলের কারণে ভেঙে পড়েছে বহু গাছ ও গাছের ডাল। গোড়া থেকে অথবা মাঝামাঝি অংশে ভেঙে পড়েছে কয়েকশো সুপারি গাছ। বিভিন্ন গাছ ও গাছের ডাল ভেঙে পড়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার প্রচন্ড ক্ষতি হয়েছে। কোথাও কোথাও ছিঁড়ে গেছে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী তার।
ক্ষতি হয়েছে বেশ কিছু বৈদ্যুতিক খুঁটির। প্রায় দেড় ঘন্টার ঝড়-বৃষ্টিতে প্রায় লন্ডভন্ড অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে আগরতলা শহরের বিভিন্ন অংশে। পরিস্থিতি নাকাল হতে হয়েছে বিদ্যুৎ নিগমের মাঠ পর্যায়ের প্রকৌশলী ও কর্মীদের। সেসঙ্গে চরম দুর্ভোগ সইতে হয়েছে ভোক্তাদের।
বৃষ্টি থামতেই বিভিন্ন এলাকা থেকে বেহাল বিদ্যুতের খবর আসতে থাকে নিগমে। তার জেরে রাজ্য বিদ্যুৎ ত্রুটি সারাই ব্যবস্থা এফআরটি মুখ থুবরে পড়ে. এই ব্যবস্থার জন্য নির্দিষ্ট ফোন নম্বর ১৯১২ হয়ে পড়ে পুরোপুরি অকেজো। ঘন্টার পর ঘন্টা এই নম্বরে ফোন করলে শুধু ‘অপেক্ষা করুন’ (ওয়েইট) শব্দ ভাসতে থাকে। দুর্ভোগগ্রস্ত ভোক্তাদের বক্তব্য অন্তত এমনই। তবে এর মধ্যেও রাত প্রায় পৌনে দশটায় সংবাদ লেখার সময় পর্যন্ত নিগমের মাঠ পর্যায়ের প্রকৌশলী, করমীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তৎপর রয়েছেন। তারা ময়দানে পড়ে রয়েছেন বলে খবর।
তবে নিগমের প্রধান কার্যালয় কর্পোরেট হাউসের ঠান্ডা ঘরে বসে থাকা ব্যক্তিরা যথারীতি সমস্যা নিয়ে উদাসীন বলে খবর। তারা পরিস্থিতির নিরিখে নিগমের মাঠে ব্যস্ত থাকা প্রকৌশলী, কর্মীদের মনোবল বাড়ানোর কাজে লিপ্ত হওয়ারও প্রয়োজন বোধ করেননি বলে জানা যায়। জানা যায়, বিপদ সঙ্কুল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাস্তবানুগ পরামর্শ দেওয়ারও উদ্যোগ নেয়নি নিগম কর্তৃপক্ষ। অথচ নিগম সূত্রের বক্তব্য নিগম কর্তৃপক্ষের দায়সারা মনোভাবের কারণেই এদিন বিদ্যুৎ যন্ত্রণা সইতে হয়েছে ভোক্তাদের। কর্তৃপক্ষের কারণে এবার নিয়মমাফিক প্রাক্ বর্ষা সংস্কার পর্যন্ত করা হয়নি। তার জের ভোক্তাদের আরও সইতে হবে বলে বিভিন্ন মহলের আশঙ্কা। এনিয়ে আগে প্রকাশিত আশঙ্কামূলক সংবাদ সোমবার সত্যে পর্যবসিত হয়েছে বলে মনে করেন মহলগুলির সঙ্গে যুক্তরা। সেসঙ্গে তারা সাবধান করে দেন প্রায় গায়ে হাওয়া দিয়ে বেড়ানো এবং তুঘলকিপনায় ব্যস্ত নিগম কর্তৃপক্ষের অকর্মণ্যতার কারণে দুর্ভোগ সৃষ্টির আশঙ্কা আরও বাড়বে বলে।
মার্কিন অনুদান নিয়ে ট্রাম্পের একের পর এক।বিস্ফোরক মন্তব্য ঘিরে ভারতীয় রাজনীতিতে চাপানউতোর এখন তুঙ্গে।ট্রাম্পের এই…
কোন ও চাওয়া যখন পথের থেকে বেশি সংখ্যায় পথবন্ধক কে তৈরি করে, তাকে পরিত্যাগ করাই…
অনলাইন প্রতিনিধি :-আট উইকেটের বড়সড় জয় দিয়েই সিনিয়র মহিলাদের একদিবসীয় আমন্ত্রণমূলক ক্রিকেটের সুপার সিক্সে নিজেদের…
অনলাইন প্রতিনিধি :- উড়ান আয়োজিত ত্রিপুরা লিটারেচার ফেস্টিভ্যালের তৃতীয় দিনেও রাজ্যের সাহিত্যপ্রেমী মানুষের উপচে পড়া…
মার্কিন অনুদান নিয়ে ট্রাম্পের একের পর এক। মাঘি বিস্ফোরক মন্তব্য ঘিরে ভারতীয় রাজনীতিতে চাপানউতোর এখন…
অনলাইন প্রতিনিধি :-জেলা,মহকুমা ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির দৈন্যদশায় রাজ্যের প্রধান সরকারী হাসপাতাল জিবিতে রোগীর অস্বাভাবিক চাপ…