শাসকদলের কোন্দল রাজপথে রাজধানীতে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-এবার কমিটি দখল ঘিরে শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে।ঘটনা রাজধানী আগরতলার লেক চৌমুহনী বাজারে।এদিন প্রকাশ্যে রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে রাস্তার মধ্যে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর প্রকাশ্যে মারপিট ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠল।এ কেমন সুশাসন চলছে রাজ্যে,যেখানে শাসকদলের নেতাদের দৌলতে সাধারণ মানুষ রাজপথে চলতে পারছেন না।
শুধু তাই নয়, শাসকের দলীয় অনুশাসন ঘিরেও নানা প্রশ্ন উঠেছে। কারণ বর্তমানে প্রত্যেকদিন,রাজ্যের বিভিন্ন জেলা ও মহকুমায় শাসকদলের নেতা, কর্মী, সমর্থক, পুর পরিষদ, বিধায়ক পর্যন্ত প্রকাশ্যে মারপিটে ব্যস্ত রয়েছেন।
তবে কোনও ক্ষেত্রেই শাসকদলের রাজ্য নেতৃত্বের কোনও পদক্ষেপ নেই।এক প্রকার কুম্ভনিদ্রায় আচ্ছন্ন শাসকদলের রাজ্য নেতৃত্ব বলে অভিযোগ উঠেছে।ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে।আর এ ধরনের অপকর্মের জন্য বিপাকে পড়ছেন সাধারণ মানুষ।এক প্রকার আতঙ্কে রয়েছেন রাজ্যের মানুষ।
অভিযোগ, বর্তমানে শাসকদলের দুই গোষ্ঠী লেক চৌমুহনী বাজার অবৈধভাবে দখল করতে ব্যস্ত।কারণ একটাই, বাজার দখল করলেই মোটা অঙ্কের তোলা আদায় ও বাঁকাপথে অর্থ অ উপার্জন সম্ভব হবে।এ লক্ষ্যেই দুই গোষ্ঠীর প্রতিযোগিতা চলছে।ফলে বিপাকে পড়েছেন লেক চৌমুহনী বাজারের ব্যবসায়ীরা।তাদের অভিযোগ, বর্তমানে প্রত্যেকদিন লেক চৌমুহনী বাজার থেকে যে পরিমাণ চাঁদা তোলা হয় তার কোনও সঠিক হিসেবে নেই।শুধুমাত্র লুটপাট হচ্ছে। তাই বাজারের নির্বাচিত বৈধ কমিটি পর্যন্ত ভেঙে দিতে চাইছে বহিরাগতরা।এদিকে বাজার কমিটির অভিযোগ, এদিন বাজারে দুর্গা পুজোর সভা চলাকালীন সময়ে শ্যামল সাহা, পার্থ প্রায় সহ বেশ কিছু বহিরাগত বাজার কমিটির সদস্যদের উপর হামলা করেছে। এই হামলায় বাজার কমিটির কয়েকজন আহত হন। অন্যদিকে, বাজার কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পশ্চিম থানায় দ্বারস্থ হন শ্যামল সাহা ও পার্থ রায়। তারা দুজনই হামলার অভিযোগ খারিজ করে দেন। অবশেষে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ নিয়ে দুই পক্ষই রাজধানীর পশ্চিম আগরতলা থানার দ্বারস্থ হন। এই ঘটনা ঘিরে বাজারে থমথম পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাজারে পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।