উন্নয়ন বনাম বঞ্চনা- প্রতারণার ইস্যুতে এবার সরগরম হয়ে উঠছে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতি। শাসকদল তাদের পাঁচ বছরের শাসনকালে রাজ্যব্যাপী সার্বিক উন্নয়ন হয়েছে বলে প্রচারে নেমেছে। বিরোধী দল কংগ্রেস, সিপিএম থেকে শুরু করে তিপ্রা মথা প্রচারে নিচ্ছে বিজেপি’র ভিশন ডকুমেন্টের নামে প্রতারণার বিষয়টি। নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই এবার রাজ্য নিজেদের অনুকূলে প্রচারে নেমেছে সবকটি রাজনৈতিক দল। বিজেপি প্রচারে আনছে ক্ষমতায় এসে তারা কর্মচারীদের জন্য ২.৫৭ ফ্যাক্টরে বেতন দিচ্ছে। গ্রাম-শহর মিলিয়ে আড়াই লক্ষ পরিবারকে পাকা ঘর দিয়েছে। ৩ লক্ষ ৮১ হাজার জনকে ভাতার । টাকা বাড়িয়ে ২০০০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের সংযোগ দেওয়ার কাজ দ্রুততার সঙ্গে চলছে। চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করে স্বচ্ছতা আনা হয়েছে। ৪১ হাজার পদের অনুমোদন করিয়ে ২৩ হাজার পদে চাকরি দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হয়েছে। অপরদিকে বিরোধী দল সিপিএম, কংগ্রেস, তিপ্ৰা মথা প্রচারে এনেছে বিজেপির ভিশন ডকুমেন্টের ২৯৯টি প্রতিশ্রুতির নামে রাজ্যবাসীর সঙ্গে প্রতারণা- বঞ্চনার ইস্যুটি। বিরোধীরা প্রচার করছে বিজেপি কেন্দ্রীয় সরকারের ৭ম বেতন কমিশন অনুযায়ী রাজ্যের কর্মচারীদের বেতনভাতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা কার্যকরী করেনি।বেসিকের ক্ষেত্রে ২.৫৭ ফ্যাক্টরে স্কেল দেওয়া ছাড়া কোনও আর্থিক সুযোগ- সুবিধা কর্মচারীদের দেয়নি বিজেপি। কেন্দ্রীয় হারে হাউস রেন্ট, মেডিকেল এলাউন্স, এলটিসি, গ্র্যাচুইটি এক টাকাও বৃদ্ধি করেনি। পাঁচ বছরে তিন কিস্তিতে ২০ শতাংশ ডিএ প্রদান করেছে। তারমধ্যে ১২ শতাংশ ডিএ নির্বাচনের মুখে ললিপপ হিসাবে ঘোষণা করেছে বলে বিজেপি’র বিরুদ্ধে প্রচার করছে বিরোধীরা। বিরোধীরা প্রচার করছে পাঁচ বছরে ২০ শতাংশ ডিএ দিয়ে বিজেপি বড় বড় কথা বলছে। পুনরায় ক্ষমতায় ফিরলে আগামী ৫ বছর কর্মচারীদের ভাগ্যে আর কোনও ডিএ সহ কোনও আর্থিক সুবিধা জুটবে না বলে প্রচার করছে বিরোধী দলগুলো। বিরোধীরা প্রচার করছে বিজেপি ক্ষমতায় এসে কর্মচারীদের পেনশন প্রকল্প তুলে দিয়েছে। জিপিএফ তুলে দিয়েছে। অনিয়মিত ও চুক্তিবদ্ধ কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের প্রক্রিয়া বাতিল করে দিয়েছে। চুক্তিবদ্ধ কর্মচারীদের হাউস রেন্ট, ডিএ, মেডিকেল এলাউন্স, সিএ বন্ধ করে দিয়েছে। দেড় লক্ষ মানুষের ভাতা কেটে দেওয়া।বছরে ৫০ হাজার চাকরির প্রতিশ্রুতি পালন না করা। প্রতিশ্রুতি দিয়েও ১০৩২৩ শিক্ষকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেনি। প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও এমনকী হাইকোর্টের রায়ের পরও সর্ব শিক্ষার শিক্ষক কর্মচারীদের নিয়মিত করেনি বিজেপি। নিয়মিত করা হয়নি রেগা, এনএইচএস, হোমগার্ড, এসপিও, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের। রেগার কাজ বছরে ২০০ দিন করেনি। রেগার হাজিরাও ৩৪০ টাকা করেনি বিজেপি। তাছাড়াও বিরোধীরা বিজেপি নেতামন্ত্রীদের লাগামহীন দুর্নীতি, স্বজনপোষণ নিয়ে প্রচারে ঝড় তুলেছেন। সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বিজেপি আমলে রাজ্যের গণতন্ত্র ধ্বংস করে দেওয়া ও সন্ত্রাসের রাজত্বের ইস্যু। সিপিআই(এ সব মিলিয়ে দু’পক্ষে পাশাপাশি প্রচারে জমজমাট হয়ে উঠছে নির্বাচনি প্রচার।
অনলাইন প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে যাওয়ার পথে মামিত জেলার…
অনলাইন প্রতিনিধি :- নিরাপত্তার কাজে নয়, টিএসআর জওয়ানদের খাটানো হচ্ছে আর্দালি হিসাবে। পুলিশ আধিকারিকদের ও…
অনলাইন প্রতিনিধি :- ইন্ডিগো আগরতলা- দিল্লী রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে আরও একটি বিমান চালু করছে।…
দিল্লীর বিধানসভা ভোট নিয়ে সরগরম দিল্লী। দিল্লীতে এবার এক আঙ্গিকে বিধানসভা ভোট হচ্ছে। গত পরিস্থিতির…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় উৎপাদিত" অর্গানিক বার্ড আই চিলি " স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি…
২২জানুয়ারী,২০২৪।এক বছরের ব্যবুধানে ২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি।গত বছরের মেগা ইভেন্টের আসর বসেছিল অযোধ্যায়। এবার মেগা…