অনলাইন প্রতিনিধি :-৩৫তম শিল্প ও বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা বলেন, রাজ্যের গড় অভ্যন্তরীণ উৎপাদন আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে মাথাপিছু গড় আয়ে ত্রিপুরা রাজ্য বর্তমানে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। হাপানিয়াস্থিত আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণে আয়োজিত এ শিল্প ও বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই মেলা আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য হলো রাজ্যে কি ধরনের পণ্য উৎপাদন হচ্ছে তা প্রদর্শন করা। মানুষ কি ধরনের পণ্য চায় তা-ও জানা যায় এই মেলা থেকে।১৫ দিনব্যাপী এই মেলা প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। শিল্প ও বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগের তুলনায় রাজ্যে উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্যের গুণমান অনেকগুণ বেড়েছে। শিল্পোদ্যোগীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসও বেড়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বলেছেন আর আমরাও পারি এই আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি করতে। তার কথায়, সরকার চেষ্টা করছে বাইরে থেকে রাজ্যও শিল্পোদ্যোগীরা আমাদের শিল্প গড়ে তুলুক। এই মানসিকতা আগে ছিল না। কিন্তু এখন আমিও করতে পারি এই আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কর্মপ্রত্যাশী নয়, কর্মসংস্থানকারী হতে হবে। স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য রাজ্য সরকার যুবক যুবতীদের নানাভাবে সাহায্য করছে। ইতিমধ্যেই প্রায় ৫৬ হাজার স্বসহায়ক দল তৈরি হয়েছে রাজ্যে। তার উদাহরণ, সরস মেলায় দেখা গিয়েছে তাদের উৎপাদিত পণ্যের গুণমান আগের তুলনায় অনেকগুণ ভালো হয়েছে। উৎপাদিত পণ্য বহি:রাজ্যেও অনেক গুণ বেড়ে গিয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে ত্রিপুরা দ্রুত অগ্রবর্তী রাজ্য হয়ে উঠেছে। এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত এবং এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ে তুলতে সবার সহযোগিতাও এ দিন কামনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ১৫ দিনব্যাপী শিল্প ও বাণিজ্য মেলায় এ বছর ৫৭৬টি স্টল খোলা হয়েছে। এর মধ্যে স্থানীয় স্টল রয়েছে ৩৫৪টি। এছাড়াও বহি:রাজ্যের স্টল রয়েছে ১৪৪টি। আফগানিস্থান, তুর্কি এবং দুবাই থেকেও স্টল খোলা হয়েছে এ বছর। মোট ১৭টি রাজ্য থেকে স্টল খোলা হয়েছে এই মেলায়। এ বছর মেলার মূল ভাবনা ছিল ‘ডেস্টিনেশন ত্রিপুরা-ল্যান্ড অব অপরচুনিটিস।”
অনুষ্ঠানে শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী শান্তনা চাকমা বলেন, রাজ্যে শিল্প স্থাপনের জন্য রাজ্য সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করছে। রাবার, বাঁশ-বেত সহ রাজ্যে যেসব প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে তাকে ভিত্তি করে শিল্প কারখানা গড়ে তোলার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যে নতুন শিল্পনীতি গ্রহণ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। সব অংশের সহযোগিতায় শিল্প ও বাণিজ্য মেলা আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে বলেও আশা ব্যক্ত করেন তিনি। শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী বৃষকেতু দেববর্মা এ দিন বলেন, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে, শিল্প স্থাপনে উৎসাহিত করতে এ ধরনের মেলার আয়োজন করা হয়। রাজ্য সরকার চাইছে যুবক যুবতীরা যেন নিজের পায়ে নিজে দাঁড়াতে পারে। বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি দক্ষতা উন্নয়ন, ব্যাম্বু মিশনের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের কথাও তুলে ধরেন। এ দিনের অনুষ্ঠানে শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের অধিকর্তা বিশ্বশ্রী বি, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা পরিষদের সভাধিপতি বলাই গোস্বামী, ত্রিপুরা বিধানসভার উপাধ্যক্ষ রামপ্রসাদ পাল, আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, বিধায়ক মিনারাণী সরকার, টিআইডিসির চেয়ারম্যান নবাদল বণিক, শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যেও উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন প্রতিনিধি :-বর্তমান যুগে হৃদরোগ জনিত সমস্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে।এর মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক ও জীবনঘাতী…
অনলাইন প্রতিনিধি :-বর্তমানে রাজ্যেনয়টি ল্যান্ড কাস্টম স্টেশন রয়েছে।কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই নয়টি ল্যান্ড কাস্টম স্টেশনকে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-২০২৮ সালে বিধানসভা নির্বাচনেও আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারলেই, আমাদের…
অনলাইন প্রতিনিধি:-তপন স্মৃতি নকআউট ক্রিকেটের দ্বিতীয় দল হিসাবে সেমিফাইনালে হার্ভেকে নকআউট করে তপনের সেমিতে সংহতি!!খেলার…
নজিরবিহীন গরমের মুখোমুখি রাজ্য। মার্চ মাসের শেষ দিকে গরমের এই প্রকোপ এককথায় নজিরবিহীন।এজন্য আবহাওয়া দপ্তরকে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-"ঈদুল ফিতর" যার অর্থ হলউপবাস ভাঙার আনন্দ। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় দুটো ধর্মীয় উৎসবের…