বিভৎস ট্রেন দুর্ঘটনা, ছিটকে গেল চলন্ত তিনটি মালগাড়ির কামরা!!
শীঘ্রই আবহাওয়া পর্যবেক্ষণে নয়া রাডার রাজ্যে: মুখ্যমন্ত্রী।।

অনলাইন প্রতিনিধি :-কবে কখন কোথায় কী ধরনের আবহাওয়া থাকবে, বৃষ্টিপাত হবে কি না কিংবা কি ধরনের বৃষ্টিপাত হতে পারে – এমন সব খবর আগে থেকে সুনির্দিষ্টভাবে জানতে খুব শীঘ্রই রাজ্যে বসতে চলেছে অত্যাধুনিক রাডার। এই রাডারের মাধ্যমে অনেক আগে থেকেই সুনির্দিষ্টভাবে খবর জানার সুযোগ থাকবে। স্বাভাবিকভাবেই দুর্যোগকালীন আবহাওয়ার পূর্বাভাসে প্রশাসনের কাছেও আগে থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করার সুযোগ থাকবে। রবিবার কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং ভূ-বিজ্ঞান মন্ত্রী ডা: জিতেন্দ্র সিংয়ের সাথে সাক্ষাতের সময় মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহাকে এই আশ্বাস দেন তিনি। পরে সামাজিক মাধ্যমে নিজেই একথা জানান মুখ্যমন্ত্রী।মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে রাজ্যে আবহাওয়ার উন্নত পূর্বাভাস ব্যবস্থা ছাড়াও প্রশাসনিক বিষয় এবং বাঁশ শিল্পের সমৃদ্ধি সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক বিষয় সম্পর্কে অবহিত করেন। বৈঠকে আগরতলা-আখাউড়া রেলওয়ে সংযোগ নিয়েও আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও উত্তর-পূর্ব ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সংযোগকে আরও জোরদার করার বিষয়েও গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি গত বছর ত্রিপুরায় অস্বাভাবিক হারে যে ভারী বর্ষণ হয় তাতেই তিনি উদ্বেগের কথা তুলে ধরেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সামনে। বৃষ্টিপাতের দরুণ আবহাওয়ার উন্নত পূর্বাভাস ব্যবস্থাপনা এবং দুর্যোগ প্রস্তুতির জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তার কথা জানানোর পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আগামী এক বছরের মধ্যে রাজ্যকে অত্যাধুনিক রাডার প্রদানের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন। এটি বৃষ্টিপাত ও ঘূর্ণিঝড়ের জন্য যথাযথ সময়ে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেবে এবং প্রতিকূল আবহাওয়া মোকাবিলায় বিশেষভাবে সহায়তা করবে বলে তিনি জানান।
রাজধানী দিল্লীতে অবস্থানকালে শনিবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা। একই সাথে
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জেপি নাড্ডা এবং এমন আরও অন্য কেন্দ্রীয় নেতার সাথে কথা বলে এ দিন রাজ্যকে এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ার ব্যাপারে নানা টিপস রপ্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই রবিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডা. জিতেন্দ্র সিংয়ের সাথে সাক্ষাৎ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে ত্রিপুরা রাজ্যের বাঁশ ক্ষেত্র নিয়েও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সাথে সবিস্তারে আলোচনা হয় মুখ্যমন্ত্রীর। তাকে আশ্বস্ত করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, জৈব প্রযুক্তি ও বাঁশ ক্ষেত্রে গবেষণার জন্য থাকা আসাম (জোড়হাট) ও মণিপুরের বিশেষ প্রতিষ্ঠানগুলি বাঁশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে বৃদ্ধি করতে ত্রিপুরা সরকারের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করবে। বৈঠকটি প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, প্রশাসনিক সমন্বয় এবং উন্নত আঞ্চলিক সংযোগের মাধ্যমে ত্রিপুরার বিকাশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের একটি অন্যতম উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হয়ে থাকবে বলে মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী।