শীতে হোমিওকেয়ার!!
শীত ঋতুতে হাতের কাছে কিছু হোমিওপ্যাথি ওষুধ রেখে দিলে সর্দি-কাশি- জ্বর থেকে শুরু করে টনসিল বা গলা ব্যথার সমস্যা,এমনকী পেটের অসুখ থেকেও সহজে আরোগ্য লাভ সম্ভব।একেবারে প্রাথমিক অবস্থাতে সর্দি-কাশি হলে একোনাইট ৬, ৩০ খেলে উপকার পাওয়া যায়।বেলেডোনা,ব্রায়োনিয়া খেলেও কাজ হয়।হঠাৎ ঠান্ডা লেগে খিল ধরা বা শরীরের কোনও অংশ অবশ হওয়ার সমস্যা হলে কস্টিকাম ৩০ কার্যকারী।গলা ও টনসিলের ব্যথা, সঙ্গে জ্বর থাকলে বেলেডোনা ৩০,২০০ ছাড়াও ক্যাল কার্ব, মার্কবিন আয়োড, মার্কপ্রোটোআয়োড দেওয়া যেতে পারে।সব ওষুধের মাত্রা ৩০ হবে।সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে দূরে থাকতে ফেরাম ফস ৬x,কেলি মিউর ৬X, জাস্টিসিয়া ১X ইত্যাদি ব্যবহার করা যায়।অনেক সময় সর্দির সঙ্গে পুঁজ বা রক্ত পড়ে।এরকম অবস্থায় হেমামেলিস ৩০,ফেরাম ফস ৬X কার্যকরী।হাঁপানির সঙ্গে বমি পর্যায়ক্রমে ইপিকাক ৩০ উপকারী।হাঁপানির সমস্যায় যদি বমি করার পর আরাম লাগে তাহলে কিউগ্রাম মেট ৩০ দেওয়া প্রয়োজন।নাকে ধুলো ঢুকে অ্যালার্জিজনিত হাঁপানি হলে ইপিকাক, পোথোসকোটিভাস উপকারী। ওষুধের মাত্রা ৩০ হবে।টনসিলের প্রদাহ, জ্বালাভাব, সাদা রঙের প্রলেপ দেখা দিলে ফাইটোলক্কা ৩০ কার্যকরী।বাতের ব্যথা বাড়লেই যদি হাঁপানি দেখা দেয় তাহলে লিডাম ৩০, ভিসকাম এন্থা ৩০ ব্যবহার করলে ভাল ফল পাওয়া যায়।সর্দি-কাশির সঙ্গে জ্বর থাকলে পালসেটিলা,বেলেডোনা, ব্রায়োনিয়া দিতে হবে।সবই ৩০ মাত্রায় হবে।পেটের সমস্যা হলে নাক্সভম, পালসেটিলা, ইপিকাক ইত্যাদি ওষুধ ৩০ মাত্রায় খেলে উপকার পাওয়া যায়।বেশি মশলাযুক্ত খাবার খেয়ে অম্বল, অজীর্ণ হলে কার্বোভেজ ৩০ কার্যকারী।