শাসকদলের বোমাবাজি, হামলা হুজ্জতি, হুমকি, সন্ত্রাসের পরও রাজ্যের নব্বই শতাংশ মানুষ ভোটদান করলেন। ভোটদানের আগের রাতে ভোর তিনটা পর্যন্ত শাসকের দুর্বৃত্তপনা চলে। কিন্তু লন এরপরও ভোর চারটা বাজতেই শাসকের রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে মহিলা,পুরুষ, যুবক যুবতী সহ বৃদ্ধরা দল বেঁধে নির্বাচনি কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে যান। অভূতপূর্ব মানসিকতার পরিচয় দিলেন রাজ্যবাসী। যার জন্যে রাজ্যের জনগণকে কুর্নিশ জানালেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন চৌধুরী।সোমবার মেলারমাঠে পশ্চিম জেলা অফিসে প্রয়াত মোহনলাল দাসের স্মরণসভায় বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার বলেন, শাসকের কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না। কারণ এরা নানা ষড়যন্ত্র করছে। তাই রাজ্যের রাজধানী শহর আগরতলা সহ প্রত্যেক জেলা ও মহকুমায় শান্তি সম্প্রতি রক্ষার আহ্বান জানান তিনি।সভায় জিতেন চৌধুরী আরও বলেন,১৬ ফেব্রুয়ারীর ভোটের দিন যে পরিমাণ ইভিএমের গোলোযোগ ধরা পড়েছে তা অন্য সময়ের থেকে অনেক বেশি। কিন্তু এরপরও মানুষ ধৈর্য হারাননি। রাত ১১টা পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিলেন। এই কারণেই শাসকদল হতাশ।এরা এখন ভোটদানের অপরাধে নিরীহ মানুষ এবং তাদের বাড়িঘরে হামলা চালাচ্ছে। কারণ শাসকদল আতঙ্কগ্রস্ত। শ্রীচৌধুরী আরও বলেন, রাজ্যে শুভদিন আসছে। জিতেনবাবু প্রশ্ন তুলেন দৃঢ় গতিতে ভোটগ্রহণ তা অস্বাভাবিক মনে হয়েছে। এমনকী ইভিএমের বিপ আওয়াজ কেন দেরিতে হলো? একি ষড়যন্ত্র নাকি?এই বিষয়েও এখনই কিছু উপণিত হওয়া যাচ্ছে না। তার পিছনে কী কারণ আছে তা পরে বোঝা যাবে। তবে এক সময় রাজ্যে মনে হয়,সব শেষ হয়ে গিয়েছে। আর ঘুরে দাঁড়ানো যাবে না। মানুষ বোধহয়, তাদের দমনপীড়ন,লাগাতর যে সন্ত্রাস চলছে আর মাথা তুলে দাঁড়াবেন না। মানুষ আর করবেন না। তবে রাজ্যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিগত পাঁচ বছর ধরে রাজপথে ছিলেন বামফ্রন্ট নেতৃত্ব। আর মানুষও তাদের মোকাবিলায় তৈরি ছিলেন।এই কারণেই এখন শাসকদল দিশাহারা ও কোণঠাসা হয়ে গিয়েছে।এদিকে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলী এক বিবৃতি বলছে ১৬ ফেব্রুয়ারী ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হয়েছে।২ মার্চ ভোট গণনা হবে। মাঝের সময় চলবে জল্পনাকল্পনা।একে ভিত্তি করে কোথাও কোথাও অনভিপ্রেত উত্তেজনা সৃষ্টি হচ্ছে। দৈহিক আক্রমণ, খুন, অগ্নি সংযোগ, বাড়িঘরে আক্রমণ, পরিবার প্রতিপালনের উৎসকে বিনষ্ট করে দেওয়া, মিথ্যা মামলা রুজু বিরোধী দলের নেতা, কর্মী, সমর্থক, শুভাকাঙক্ষীদের বিপদগ্রস্ত ও বিপন্ন করার চেষ্টা চলছে।এই পরিস্থিতিতে শাসক দলের তরফ থেকে পরিবেশ পরিমণ্ডল স্বাভাবিক রাখতে বিশেষভাবে সদর্থক ভূমিকা থাকা দরকার। প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন, পুলিশ প্রমুখকে নিরপেক্ষভাবে সদা সতর্ক দৃঢ় ভূমিকা গ্রহণ করা দরকার।ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি, মার্কসবাসীর ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে ত্রিপুরার সকল অংশের নাগরিকদের প্রতি আবেদন জানানো হচ্ছে, দলমত নির্বিশেষে আপনারা নিজ নিজ এলাকায় শান্তি-সম্প্রীতি সুরক্ষা করার জন্য সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে এগিয়ে আসুন।এই মর্মে পুলিশ-প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করুন।বিশেষভাবে মার্কসবাসী কমিউনিস্ট পার্টিসহ বামফ্রন্টের নেতা,সংগঠক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের শান্তি-সম্প্রীতি রক্ষায় অবশ্যই রাজ্যের সর্বত্র সদর্থক ভূমিকা গ্রহণে এগিয়ে আসতে আহ্বান জানাচ্ছি। কোনও প্ররোচনার ফাঁদে কেউ যাতে না পা বাড়ান এবং নিজেরাও এমন কোনও কাজ করবেন না যা প্ররোচনা সৃষ্টির শামিল হতে পারে। তার জন্য সজাগ, সচেতন থাকতে আহ্বান জানাচ্ছি। আইন যাতে কেউ হাতে না নেন সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। পুলিশ-প্রশাসন নির্বাচন কমিশনকে সাহায্য ও সহযোগিতা করতে হবে।শান্তি-সম্প্রীতি রক্ষায় তাদের দায়িত্ব যথাযথ প্রতিপালনে।
অনলাইন প্রতিনিধি:- বাংলাদেশ থেকে কাঞ্চনপুর মহকুমার ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে মিজোরামে যাওয়ার পথে মামিত জেলার…
অনলাইন প্রতিনিধি :- নিরাপত্তার কাজে নয়, টিএসআর জওয়ানদের খাটানো হচ্ছে আর্দালি হিসাবে। পুলিশ আধিকারিকদের ও…
অনলাইন প্রতিনিধি :- ইন্ডিগো আগরতলা- দিল্লী রুটের উভয় দিকে যাতায়াতে আরও একটি বিমান চালু করছে।…
দিল্লীর বিধানসভা ভোট নিয়ে সরগরম দিল্লী। দিল্লীতে এবার এক আঙ্গিকে বিধানসভা ভোট হচ্ছে। গত পরিস্থিতির…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরায় উৎপাদিত" অর্গানিক বার্ড আই চিলি " স্হানীয় ভাষায় যাকে বলা হয় ধানি…
২২জানুয়ারী,২০২৪।এক বছরের ব্যবুধানে ২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি।গত বছরের মেগা ইভেন্টের আসর বসেছিল অযোধ্যায়। এবার মেগা…