নূতন প্রাণ দাও প্রাণসখা আজি এই সুপ্রভাতে” লোকসংস্কৃতি গবেষকরা বাংলা নববর্ষকে এক অনন্য বৈশিষ্ট্যময় উৎসব হিসেবে অভিহিত করে থাকেন। এক্ষেত্রে তাদের যুক্তি হলো, পৃথিবীতে প্রচলিত বেশিরভাগ বর্ষপঞ্জির উৎপত্তি কোনও না কোনও ধর্মের সঙ্গে সম্পর্কিত। কিন্তু বাংলা নববর্ষের সঙ্গে ধর্মীয় অনুষঙ্গ নেই। মূলত কৃষিকাজ ও খাজনা সংগ্রহের ব্যবস্থাকে ঘিরে এর প্রচলন হয়। পরে এর সঙ্গে যুক্ত হয় ব্যবসা-বাণিজ্যের দেনা-পাওনার হিসাব মেটানো ৷ যুগ যুগ ধরে চলে আসা এই পরম্পরা আজও বহমান। আজ পয়লা বৈশাখ, বাঙালির সর্বজনীন উৎসব। যা কিছু জীর্ণ-পুরনো, অশুভ ও অসুন্দর – তা পেছনে ফেলে নতুনের কেতন ওড়ানোর দিন। আজ পয়লা বৈশাখ। বাঙালির উৎসবের দিন। আনন্দের দিন। সম্প্রীতির দিন। সৌহার্দ্যের দিন। ভালো লাগা, ভালোবাসার দিন। একে অপরকে শুভেচ্ছা বিনিময়, শুভকামনার দিন। পয়লা বৈশাখ মনে হালখাতা। পয়লা বৈশাখ মানে বিশেষ খাওয়াদাওয়া।পয়লা বৈশাখ মানে গ্রাম্য মেলা। পয়লা বৈশাখ মানে পুরাতনকে বিদায় দিয়ে নতুনকে বরণ করা। পয়লা বৈশাখ মানে নতুন ভোর,নতুন স্বপ্ন দেখা।পয়লা বৈশাখ মানে নাগরদোলা,মিঠাই,বাতাসা, পুতুলনাচ,গান,সার্কাস, মুখোশনৃত্য আরও কত কী! তবে আজকাল আয়োজনে আরও ব্যাপকতা এসেছে, এসেছে কিছুটা পরিবর্তনও। কিন্তু পয়লা বৈশাখ বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে বাঙালির আবেগ ও ভালোবাসা আছে চিরজাগরুক। শুভ নববর্ষ বলে একে অপরের শান্তি,সুখ, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনায় কোনও পরিবর্তন নেই। আর আমাদের আনন্দ মানেই তো খাওয়াদাওয়া, নতুন পোশাক পরা, দলবেঁধে ঘুরে বেড়ানো, আড্ডায় মেতে উঠা।যেখানে কোনও গণ্ডি নেই।পয়লা বৈশাখের উৎসবটা প্রকৃত অর্থেই সবার, সব বাঙালির, ধর্ম-বর্ণ
নির্বিশেষে বাঙালির উৎসব বর্ষবরণ।পুরোনো বছরকে বিদায় দিয়ে নতুন বছরকে আমরা বরণ করি এই আশা নিয়ে যে, নতুন বছরে আমরা ‘পুরাতন অপরাধ’-এর পুনরাবৃত্তি করব না। বৈশাখ চিরনতুনকেই ডাক দিতে এসেছে। আমরা নতুন করে সংকল্পবদ্ধ হবো, দুবেলা মরার আগে মরব না, আমরা ভয় করব না।আমরা মানুষ হয়ে ওঠার সাধনা করব। মনুষ্যত্বের জয়গান গাইব।কোনও অশুভ শক্তি যেন আমাদের যুক্তিবোধ ও শুভবোধকে আচ্ছন্ন করতে না পারে। আমরা যেন ভুলে না যাই — মানুষের জন্যই সব।যে কোনও পশ্চাদ্গামিতাকে প্রতিরোধ করে, আঁধারের বুকে আলো জ্বালানোর প্রতিজ্ঞা নিয়েই আমরা আবাহন করব নতুন বছরকে ১৪৩০ বঙ্গাব্দকে। শুভ নববর্ষ। জয় হোক বাঙালির। জয় হোক মুল্যবোধের।জয় হোক মানবিকতার। নতুন বছর
সকলের জন্য নিয়ে আসুক সুখ, সমৃদ্ধি ও ভালোবাসা। ‘নব আনন্দে জাগো,আজি নব রবিকিরণে, শুভ্র সুন্দর প্রীতি ও উজ্জ্বল নির্মল জীবনে।’নবরূপে নববর্ষ রাঙিয়ে দিক প্রতিটা মুহূর্ত। আগামী দিনগুলি সুন্দর হোক। দূরীভূত হোক সকল কলুষতা, জরা। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল বাঙালির প্রাণের উৎসব বৈশাখ প্রাণময় হয়ে উঠুক। সম্মান, শ্রদ্ধা, ভালোবাসায়, মিলেমিশে, স্বপ্নে, সাধনায় কাটুক নতুন বছর। নবরূপে, নব আনন্দে, নব উদ্দীপনায় হোক নতুন বছরের সূচনা। স্বপ্নগুলি সত্যি হবে নববর্ষে, সফলতা ও সুখ হোক সবার পাশে। শুভ নববর্ষের আনন্দ উপভোগ করুন সবাই একসঙ্গে। শুভ নববর্ষ ১৪৩০।
অনলাইন প্রতিনিধি :-বাংলায় চুনি, ইংরেজিতে রুবি।চুনির রং কতটা টকটকে লাল, তার উপর এই মানিকের দাম…
অনলাইন প্রতিনিধি :-চাঁদারজুলুম নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে তথাকথিত সুশাসনের রাজ্যে প্রশাসনের নির্লজ্জ দ্বিচারিতা প্রকাশ্যে এলো।…
কেন্দ্রে ১০০ দিন পূর্ণ করল তৃতীয় মোদি সরকার।যদিও বর্তমান ক্ষমতাসীন কেন্দ্রীয় সরকারকে মোদি সরকার আখ্যা…
নিগো বাণিজ্যের রমরমা চালানোর জন্যই কি ১৮ সালে রাজ্যের মানুষ বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছিলো?রাজ্যের আকাশ…
অনলাইন প্রতিনিধি :-এয়ারইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের কর্মীর চরম গাফিলতি ও উদাসীনতার কারণে রীতা বণিক (৫৯) বিমান যাত্রীর…
হরিয়ানা কি বিজেপির হাত থেকে ফসকে যাচ্ছে?শাসক বিজেপির হাবভাব দেখে তেমনটাই অনুমান করছে রাজনৈতিক মহল।প্রধানমন্ত্রী…