অনলাইন প্রতিনিধি || সোমবার থেকে শুরু হলো রাজ্য বিধানসভার সকল সদস্য-সদস্যাদের ‘ন্যাশনাল-ই-বিধান অ্যাপ্লিকেশন’ সংক্ষেপে নেভার উপর প্রশিক্ষণ কর্মসূচি। এদিন সকালে রাজ্য বিধানসভার লবিতে আয়োজিত এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা। উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন, পরিষদীয় মন্ত্রী রতনলাল নাথ, উপাধ্যক্ষ রামপ্রসাদ পাল, বিরোধী দলনেতা অনিমেষ দেববর্মাসহ মন্ত্রিসভার সদস্য-সদস্যাগণ এবং বিধায়কগণ ৷ কর্মসূচির উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা বলেন, ডিজিটাল ইণ্ডিয়া গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একাধিক পরিকল্পনা করেছেন। ‘ন্যাশনাল-ই-বিধান অ্যাপ্লিকেশন’ সেই পরিকল্পনারই একটি অঙ্গ। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মতো ত্রিপুরা বিধানসভাকেও ই- বিধানসভা গঠনের পদক্ষেপ নিশ্চয়ই রাজ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। ই-বিধানসভা সঠিকভাবে চালু করা হলে আগামীদিনে বিধানসভার সমস্ত কাজ কাগজবিহীন (পেপারলেস) করা সম্ভব হবে। তাতে সময় যেমন বাঁচবে তেমনি অর্থেরও সাশ্রয় হবে। পাশাপাশি বিধানসভা পরিচালনার কিছুকিছু জটিল প্রক্রিয়ারও লাঘব হবে। রাজ্য সরকারও সরকারী বিভিন্ন ক্ষেত্রকে ডিজিটাইজেশন করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। রাজ্য বিধানসভায় নেভা অ্যাপ্লিকেশনের ব্যবহার শুরু হলে বিধানসভার যাবতীয় তথ্য সংরক্ষণ যেমন সহজ হবে তেমনি দ্রুত তথ্য আদান প্রদানেও সহায়ক হবে। বিধানসভা পরিচালনার খরচ কমে যাওয়ার পাশাপাশি বিধানসভার কাজও সহজ হয়ে যাবে। এছাড়া বিধানসভায় ভোটিং প্রক্রিয়াটিও অনেক সহজ হয়ে যাবে। অনুষ্ঠানে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেন, প্রধানমন্ত্রী সারা দেশেই ডিজিটাল ব্যবস্থা গড়ে তোলার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। রাজ্য সরকারও এ বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। রাজ্য বিধানসভাকে ই-বিধানসভা গড়ে তোলার ফলে সময় বাঁচবে, তথ্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে, অর্থ বাঁচবে, সহজে তথ্য আদান প্রদান করা যাবে, ই-ভোটিং সিস্টেম থাকার ফলে সহজে ও দ্রুত ভোট প্রক্রিয়া শেষ করা যাবে। বিধানসভার সমস্ত সদস্য/ সদস্যাদের আজ থেকে আগামী ২৫ জুন পর্যন্ত ‘নেভা’ অ্যাপ্লিকেশনের উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তাতে বিধায়কগণ কীভাবে ট্যাব ব্যবহার, ই-বিধানসভায় কীভাবে অংশ নেবেন, প্রশ্ন উত্থাপন, ভোটিং পদ্ধতি ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে তাদের হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। অনুষ্ঠানে বিরোধী দলনেতা অনিমেষ দেববর্মা বলেন, বিধানসভা পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রতিদিন কাগজসহ অন্যান্য জিনিসের জন্য অনেক টাকা ব্যয় হয়। ই- বিধানসভা চালু হলে বিধানসভা যেমন কাগজবিহীন পরিচালিত হবে তেমনি অর্থেরও সাশ্রয় হবে। তাই ই-বিধানসভা তৈরিতে বিধানসভার সকল সদস্য/সদস্যাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন, উপাধ্যক্ষ রামপ্রসাদ পাল এবং বিধানসভার সচিব বিষ্ণুপদ কর্মকার। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহার হাতে ট্যাব তুলে দেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন। এছাড়াও বিধানসভার সদস্য/ সদস্যাদের ট্যাব তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য অতিথিগণ।
২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের প্রথম সাত মাসে প্রত্যক্ষ বিদেশি পুঁজি (ফরেন ডাইরেক্ট ইনথবর্ষের প্রথ বা এফডিআই) যা…
অনলাইন প্রতিনিধি :-দীর্ঘদিন ধরে টি,এস,এফ দাবি করে আসছে রোমান লিপি কে স্বীকৃতি দেওয়ার।বর্তমানে যে প্রশ্নপত্র…
অনলাইন প্রতিনিধি :-কেন্দ্রীয়শিক্ষা মন্ত্রকের সর্বশেষ রিপোর্ট এও ফুটে উঠলো ত্রিপুরার স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থার বে-আব্রু চেহারা।…
অনলাইন প্রতিনিধি :-প্রধানমন্ত্রীনরেন্দ্র মোদি সবকা সাথ সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস, সবকা প্রয়াসের স্লোগান দিয়েছেন। আর…
প্রতিবেশী বাংলাদেশে গত ছয়মাস ধরে চলতে থাকা অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে একেবারে নিঃশব্দে এগিয়ে…
অনলাইন প্রতিনিধি:-প্রতিশ্রুতি দিয়ে রক্ষা করছে না সরকার। জেআরবিটির মাধ্যমে গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ নিয়ে টালবাহানা…