শেষদিনে ২২৮, রাতেই ৩০৫ঃ মনোনয়ন দাতার জন্য নিরাপত্তা
ত্রিপুরা বিধানসভার ত্রয়োদশ নির্বাচনে মনোনয়ন জমার শেষদিনে ২২৮টি মনোনয়ন জমা পড়েছে। এর আগে ২৭ জানুয়ারী অবধি ৭৭ টি মনোনয়ন জমা পড়েছিল। সাকুল্যে ৩০৫টি মনোনয়ন জমা পড়েছে। সন্ধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক কিরণ গিত্যে এ তথ্য দিয়ে বলেন, ত্রিপুরার নির্বাচনের ইতিহাসে একদিনে এতগুলো মনোনয়ন পড়ার ঘটনা তার জানা নেই । সারা রাজ্যে এদিন সব প্রার্থী মিছিল করে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। কোথাও কোনও সংঘাত, সংঘর্ষের খবর নেই। কোনও প্রার্থী কোথাও বাধা, হুমকি পেয়েছেন বলে অভিযোগ নেই। গিত্যে দাবি করেন, এটিই জিরো পোল ভায়োলেন্স।
যারা এদিন মনোনয়ন জমা দিলেন, রাত থেকেই তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে মনোনয়ন প্রত্যাহারের পর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন ২৯৭ জন প্রার্থী। এ বছর সেই সংখ্যা আরও অনেক কমতে পারে। এদিন সিপিএম ও ফরোয়ার্ড ব্লক মিলে ১৯ আসনে প্রার্থী দিয়েছে। বাম-কংগ্রেস সমর্থিত নির্দল প্রার্থী মনোনয়ন দিলেন এক আসনে। কংগ্রেস ষোল আসনে মনোনয়ন দিয়েছে। বিজেপি- আইপিএফটি জোটের পক্ষে ষাট আসনে ৬১ জন মনোনয়ন দেন। তিপ্রা মথা ৪২ আসনে এবং তৃণমূল কংগ্রেস ২৮ আসনে মনোনয়ন দিল। কিরণ গিত্যে নির্বিঘ্নে বিশাল সংখ্যক মনোনয়ন জমার ঘটনায় বিভিন্ন দল যে শৃঙ্খলার পরিচয় দিয়েছে তার জন্য
ধন্যবাদ জানিয়েছেন ।
প্রসঙ্গত, ত্রিশ জানুয়ারী মনোনয়ন জমার পর্যায় শেষ হবার পর ৩১শে, মঙ্গলবার মনোনয়ন স্ক্রুটিনির কাজ শুরু হচ্ছে। মনোনয়নদাতা এবং তার প্রস্তাবককে স্ক্রুটিনির সময় ডেকে নেওয়া হবে।
ভারতের নির্বাচন কমিশন মনোনয়নের স্ক্রুটিনির যে মান ও নিয়ম নির্ধারণ করে দিয়েছে তা যথাযথ পালন হচ্ছে কিনা দেখার জন্য রাজ্যে ২৫ জন স্ক্রুটিনি পর্যবেক্ষক এসে পৌঁছেছেন। নিরাপত্তাব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে আসছেন আরও আট পুলিশ পর্যবেক্ষক। আবার এর মধ্যেই শিলং ঘুরে রাজ্যে ফিরে এসেছেন বিশেষ পর্যবেক্ষকেরা। তিন বিশেষ পর্যবেক্ষক বর্তমানে ঊনকোটি ও উত্তর জেলায় রয়েছেন পরিস্থিতি পর্যালোচনায়।
উল্লেখ্য, ৩১ জানুয়ারী স্ক্রুটিনির পর মনোনয়ন প্রত্যাহার করা যাবে ২ ফেব্রুয়ারী বেলা তিনটা অবধি। বেলা তিনটার পর যে কোনও মনোনয়ন বাতিল অযোগ্য বলে ধরা হবে। এদিন বেলা তিনটার মধ্যে যারা রিটার্নিং অফিসারের ঘরে পৌঁছে যেতে পেরেছেন তাদের মনোনয়নগুলিই শুধু গৃহীত হয়েছে। সেই কাজগুলি সন্ধ্যায়ও শেষ করে ওঠা যায়নি। ফলে সন্ধ্যার সাংবাদিক সম্মেলনে দলভিত্তিক মনোনয়নের হিসেব দিতে পারেনি সিইওর অফিস। তবে গিত্যে জানান, বিভিন্ন কেন্দ্রে মনোনয়নপত্রের সংখ্যা ২ থেকে আট অবধি রয়েছে। অধিকাংশ কেন্দ্রে চার থেকে পাঁচটি মনোনয়ন জমা পড়েছে। জিরো পোল ভায়োলেন্স যে মিশন সে সম্পর্কে আশাবাদী গিত্যে বলেন, এখনও কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে। প্রয়োজনে আরও আসবে। যারা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তাদের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা হিসেবে রাত থেকেই নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।