অনলাইন প্রতিনিধি ;-রাজ্যের বর্তমান
বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকার সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিক বান্ধব বলে মুখে মুখে প্রচার এবং দাবি করলেও বাস্তবে নানা ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে এর উল্টোটা। বুধবারও এমন একটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত (সার্কুলার) প্রকাশ্যে আসার পর, রাজ্যের সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিক মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।এই নিয়ে দৈনিক সংবাদ অনলাইন সহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেই বিতর্কিত সার্কুলার প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয় রাজ্য সরকারের অর্থ দপ্তর।প্রশ্ন উঠেছে,কে বা কাদের সিদ্ধান্তে প্রথমে এই বিতর্কিত সার্কুলার জারি করলো রাজ্য অর্থ দপ্তর? আবার চাপে পড়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেই বিতর্কিত সার্কুলার প্রত্যাহার করে নিতে হলো? প্রশ্ন উঠেছে, এই ব্যাপারে কি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা এবং অর্থমন্ত্রী প্রাণজিৎ সিংহ রায় কিছুই জানতেন না? যদি তর্কের খাতিরে ধরেও নেওয়া হয় যে মুখ্যমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী এই বিষয়ে কিছুই জানতেন না, স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠবে, মুখ্যমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীকে অন্ধকারে রেখে এমন একটি বিতর্কিত সার্কুলার জারি করার ঔদ্ধতা এবং সাহস আমলারা পায় কি করে? যদিও পরে অর্থমন্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সার্কুলারটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহার নজরে বিষয়টি আসার সাথে সাথেই তাকে সার্কুলারটি প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য বলেছেন।
উল্লেখ্য, গত ১ মার্চ ২০২৫ ইং রাজ্য সরকারের অর্থ দপ্তর থেকে No.F.SAB(SAB-1)-Fin(EXPDT-I)/2019 এই সেহামূলে একটি মেমোরেন্ডাম ইস্যু করা হয়। মেমোরেন্ডামে স্বাক্ষর করেছেন পৃথ্বীরাজ দেবনাথ নামে রাজ্য সরকারের একজন ডেপুটি সেক্রেটারি।ওই মেমোরেন্ডামে স্পষ্টভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এখন থেকে সরকারী টেন্ডার সংক্রান্ত কোনও বিজ্ঞাপন সংবাদপত্রে না দেওয়ার জন্য। এই বিতর্কিত মেমোরেন্ডামটি বুধবার প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যের সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এই নিয়ে সাথে সাথে দৈনিক সংবাদ অনলাইন সহ বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হতেই বিভিন্ন মহলে ব্যাপক গুঞ্জন এবং সমালোচনা শুরু হয়। যার জেরে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেই মেমোরেন্ডাম প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, রাজ্য সরকারের একাংশ আমলা নানাভাবে সরকারকে বিপদে এবং সমালোচনার মুখে ফেলতে এমনকী সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের সাথে সরকারের দূরত্ব তৈরি করতে নানাভাবে চক্রান্ত ও কলকাঠি নেড়ে যাচ্ছে। ওই একাংশ আমলা দীর্ঘ বাম আমলে সরকারের হয়ে নানাভাবে অভারটাইম খেটেছে। এরাই এখন বর্তমান বিজেপি জোট সরকারকে বিপদে ফেলতে, সরকারের বদনাম করতে সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি করতে অতি সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এরাই সরকারকে নানাভাবে ভুলপথে পরিচালনা করার ষড়যন্ত্র করে চলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের একটাই উদ্দেশ্য, যেভাবেই হোক বর্তমান সরকারকে কালিমালিপ্ত করার। সবথেকে বিস্ময়কর ঘটনা হলো, বিগত বাম সরকারের আমলেও এই ধরনের বিতর্কিত মেমোরেন্ডাম ইস্যু করা হয়নি বা সাহস পায়নি।
ত্রিপুরা একটি ছোট রাজ্য। নানাবিধ কারণে এই রাজ্যে মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সীমিত। এমনিতেই এই রাজ্যে সংবাদপত্র শিল্প নানা আর্থিক সংকটে খুঁকছে। অধিকাংশই হলো ছোট। তারপরেও এই রাজ্যে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে দশ হাজারের উপর পরিবার সংবাদপত্র শিল্প এবং বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের উপর নির্ভরশীল। বিজ্ঞাপন কোনও দয়া নয়। এটা জনকল্যাণকামী সরকারের নীতি। সারা দেশেই এই বিজ্ঞাপন নীতি চালু আছে সংবাদপত্র ও বৈদ্যুতিন সংবাদ চ্যানেলের জন্য। ত্রিপুরা এর বাইরে নয়। সংবাদপত্রগুলিতে প্রতিদিন যে সরকারী বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়, তার মধ্যে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশই হচ্ছে বিভিন্ন দপ্তর, কর্পোরেশন এবং সরকারের অধীনস্থ সংস্থার টেন্ডার। সেই টেন্ডারের বিজ্ঞাপনই যদি বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে সংবাদপত্র শিল্প বাঁচবে কি করে? আর তার উপর নির্ভরশীল এতগুলি পরিবারের জীবন জীবিকার কি হবে?
সরকারের কাজ যাতে স্বচ্ছতার সাথে হয়, তার জন্য অধিক সংখ্যক সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। এর জন্য বাজেটে পৃথকভাবে অর্থ বরাদ্দ করা হয়। কেন্দ্রীয় সরকারও এই অর্থ মঞ্জুরি দেয়। এভাবেই চলে। কিন্তু কিছু আমলা এখন সরকার এবং সংবাদমাধ্যমের সাথে ষড়যন্ত্র করে চলেছে বলে অভিযোগ। এখন যত টেন্ডার প্রকাশিত হবে, সবই প্রকাশিত হবে সরকারী ই-পোর্টালে। যাতে করে মুষ্টিমেয় কিছু লোকেই শুধু এই বিষয়ে জানতে পারে। অধিক মানুষের কাছে যাতে সরকারের কাজ কর্মের তথ্য না পৌঁছায়। সরকারের স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা যাতে নষ্ট হয়। তার জন্যই এই বিতর্কিত সার্কুলার বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, প্রভাবশালী নিগো মাফিয়ারাই ই-পোর্টাল নিয়ে বেশি উৎসাহিত। কারণ এতে করে নিগো বাণিজ্য রমরমা হয়ে উঠবে। বাড়বে দুর্নীতি। নষ্ট হবে সরকারের ভাবমূর্তি। অথচ কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর উপর গুরুত্ব দিচ্ছেন। আর এই রাজ্যে একাংশ আমলা সরকারকে ভুলপথে পরিচালিত করছে।
বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশাসন চলিতেছে। একটি গণ অভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় সেই দেশে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-আবারও ক্ষতি হলো পাইপলাইন গ্যাসের পরিবহণ ও সরবরাহ ব্যবস্থার।আবারও বিপর্যয় ঘটলো আগরতলায়।বিপাকে পড়লো…
অনলাইন প্রতিনিধি :-মণিপুরে বিরাট প্রতারণা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ছেলে সেজে বিধায়কদের সাথে প্রতারণার ফাঁদ।…
অনলাইন প্রতিনিধি :-বড়সড় ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ভারতের আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ। বুধবার সকাল ১১টা ১২ মিনিটে…
অনলাইন প্রতিনিধি :- অফিসাররা দেশের চালিকাশক্তি। তাদেরকে বাদ দিয়ে কোনও দেশ বা সমাজ উন্নত হবে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-এবারেরকেন্দ্রীয় বাজেট ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারত গঠন করার যে সংকল্প প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র…