বিভৎস ট্রেন দুর্ঘটনা, ছিটকে গেল চলন্ত তিনটি মালগাড়ির কামরা!!
সকালে পদোন্নতি, বিকেলেই অবসরে ৮ জন এএইচএম

অনলাইন প্রতিনিধি:- রাজ্য শিক্ষা দপ্তরে একেবারে তুঘলকি কাজ কারবার চলছে। বর্তমানে পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে যে, মনে হয় দপ্তরটি অভিভাবকহীন। যখন খুশি, যেমন খুশি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হচ্ছে। কে বা কারা এই ধরনের তুঘলকি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, এ নিয়েও জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। এমনিতেই গত ১২ বছর ধরে বিদ্যালয়গুলিতে ত্রিপুরা পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের নিয়মিত পদে সরাসরি নিয়োগ নেই। বর্তমানে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদ রয়েছে ৩৬৪ টি। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষক ১৩৮ টি এবং সহকারী প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদ হচ্ছে ২২৬ টি। দীর্ঘ টালবাহানার পর গত ৩১ শে জানুয়ারি ২০২৫ ইং রাজ্য সরকারের শিক্ষা দপ্তর ৭৬ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে সহকারী প্রধান পদে অ্যাড হক প্রমোশন দিয়েছে। অবাক করার বিষয় হলো, প্রমোশনপ্রাপ্ত এই ৭৬ জন সহকারী প্রধান শিক্ষকের মধ্যে ৮ জন সেদিনই অবসরে চলে গেছেন। অর্থাৎ এই ৮ জন ৩১ জানুয়ারি সকালে সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদে জয়েন করে এদিন বিকালেই অবসরে চলে গেছেন বলে দপ্তর সূত্রে খবর। জানা গেছে, বাকিদের চাকরির মেয়াদ রয়েছে আগামী ২ থেকে ৫ বছর। শুধু তাই নয়, যে ৭৬ জনকে অ্যাড হক প্রমোশন দেওয়া হয়েছে, এরা কিন্তু কেউই পেনশনকালীন কোনও আর্থিক সুবিধা পাবেন না। প্রশ্ন হচ্ছে, এই প্রমোশনের কী যুক্তি রয়েছে। অথচ এই ৭৬ টি পদে যদি টিপিএসসির মাধ্যমে সরাসরি নিয়োগ করা হতো, তাহলে কেউই আর্থিকভাবে বঞ্চিত হতেন না। এখানেই শেষ নয়, সহকারী প্রধান আওতাভুক্ত স্কুলগুলিতে ছয় মাসের ডিএলএড ট্রেনিংপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে প্রমোশনে অযোগ্য মনে করায় বহু স্কুলে কর্মরত শিক্ষক শিক্ষিকাদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। বর্তমানে গ্র্যান্ট ইন-এইড আওতাভুক্ত স্কুলগুলিতে কর্মরত প্রায় সকল শিক্ষক শিক্ষিকাদের ছয় মাসের ডিএল এড ট্রেনিং রয়েছে। খুঁজলে হয়তো কয়েকজন পাওয়া যাবে, যাদের এক বছরের বিএড ট্রেনিং রয়েছে। কিন্তু তাঁরা অনেক জুনিয়র। ত্রিশ বছর শিক্ষক পদে চাকরির পরও শুধুমাত্র ছয় মাসের ট্রেনিং থাকার কারণে এরা পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ফলে প্রশ্ন উঠেছে সরকারের এই দ্বিমুখী নীতি ও সিদ্ধান্ত নিয়ে। ছয় মাসের ট্রেনিং নিয়ে সরকারী স্কুলে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি হলেও, গ্র্যান্ট-ইন এইড স্কুলের ক্ষেত্রে সরকারের ভিন্ন নীতি কেন?