নজিরবিহীন গরমের মুখোমুখি রাজ্য। মার্চ মাসের শেষ দিকে গরমের এই প্রকোপ এককথায় নজিরবিহীন।এজন্য আবহাওয়া দপ্তরকে রাজ্যবাসীর জন্য সতর্কবার্তা দিতে হয়েছে।গত বছর ছিল পৃথিবীর ১৫০ বছরের ইতিহাসে উষ্ণতম বছর।এই বছরে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা অন্তত ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপর বেড়েছে।এটা শুধু ভারতেই সমস্যা নয়, গোটা বিশ্বের জলবায়ুজনিত সমস্যা এটি।কিছুদিন পরপরই বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতারা জলবায়ু সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে সম্মেলনে বসেন। একটি প্রস্তাব পেশ হয়। কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। জলবায়ু পরিবর্তন একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা।সুতরাং এটি নিয়ে প্রতিটি দেশের ভাবনাচিন্তা করা প্রয়োজন।
আমাদের এই ত্রিপুরা রাজ্যে কথাই যদি ধরা হয়, তাহলে দেখা গেছে, গত কয়েক বছরে তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে। গত বছর এপ্রিলের শেষদিকে এসে প্রচণ্ড গরম পড়েছিল।ফলে রাজ্য সরকার স্কুল কলেজ ছুটি দিতে বাধ্য হয়েছিলো।
এ বছর মার্চ মাসের শেষদিকে প্রচণ্ড গরমের মুখোমুখি হতে হয়েছে রাজ্যকে। এর নানাবিধ কারণও রয়েছে। একদিকে রাজ্যজুড়ে গাছ নির্বিচারে নিধন করা হচ্ছে। পাহাড়ে এক প্রকার বননিধন চলছে। সমতলে গাছপালা নেই বলেই চলে। গণহারে পুকুর বোজানো হচ্ছে। পরির্বতে শুধু বহুতল অট্টালিকা হচ্ছে। নদীনালাতে জল নেই। এরপর গাড়িঘোড়া প্রচুর পরিমাণে বাড়ছে। এ রাজ্যে গাড়িঘোড়ার সংখ্যা অনেক বেশি। সব কিছুর প্রভাব পড়ছে পরিবেশে। পরিবেশে গরম বাড়ছে। বাতাস ক্রমশ গরম হচ্ছে। আর্দ্রতা বাড়ছে। সর্বোপরি গরম বাড়ছে। এবং এই অবস্থা দিনদিন বাড়ছে বৈ কমছে না। সুতরাং এ নিয়ে গভীর ভাবনাচিন্তা প্রয়োজন পরিবেশবিদদের।
বিশ্বের প্রথম ২৫টি দূষিত শহরের মধ্যে অন্তত ১০ টি ভারতে অবস্থিত। অর্থাৎ বায়ুদূষণে ভারত গত কয়েকবছরে বিশ্বের অনেক দেশকে ছাড়িয়ে গেছে। এই অবস্থায় পরিবেশবিদরা উদ্বিগ্ন।গত কয়েকবছর ধরে রাজধানী দিল্লীর দূষণ চূড়ান্ত অবস্থায় রয়েছে। দিল্লীর দূষণ নিয়ে উদ্বিগ্ন সুপ্রিম কোর্টও। এই অবস্থায় পরিবেশের উপর যেমন এর প্রভাব পড়ছে তেমনি প্রভাব পড়ছে গরমেও। গরম দিনদিন বাড়ছে।
এ বছর গরমের শুরুতেই অবশ্য কেন্দ্রীয় আবহাওয়া অফিস সতর্কতা শুনিয়ে রেখেছে যে,এ বছর গরম বেজায় অনুভূত হবে দেশে।ইতিমধ্যেই এর ইঙ্গিত ও মিলছে। মার্চ মাসেই একপ্রকার রীতিমতো গরমে বেসামাল। একসময় এদেশে জম্মুকাশ্মীরে, সিমলা, দার্জিলিং, সিকিম, শিলং, মাউন্ট আবু সহ শৈলশহরগুলিতে সারা বছর পর্যটকদের ভিড় থাকতো। কেননা ওই সমস্ত শৈলশহরগুলিতে সারাবছরই পারদ থাকত ক্রমশ নীচের দিকে। ফলে গরমের সময় পর্যটকরা এই সমস্ত শৈলশহর ভিড় জমাতেন একটু ঠাণ্ডার খোঁজে। কিন্তু গত কয়েকবছরে পরিসংখ্যান বলছে, পারদ ওই সমস্ত শহরগুলিতে দিনদিনই ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। গরমের প্রভাব, পরিবেশে গ্রিণ হাউসের এফেক্ট হচ্ছে। ফলে দিনদিনই গোটা দেশ, গোটা বিশ্বের সাথে আমাদের রাজ্যেও গরম বাড়ছে। সম্প্রতি রাজ্যের আবহাওয়া অফিস রাজ্যে ৫ দিনের গরমের সতর্কতা জারি করেছে। মার্চ মাসে গরমের এই প্রাদুর্ভাব এককথায় নজিরবিহীন। অবলম্বনের এই অবস্থায় সকলকেই সাবধানতা অবলম্বনের জন্য বলা হয়েছে। গরমে সতর্ক থাকাই বাঞ্ছনীয়। সতর্কতা অবলম্বন করলেই সকলের জন্য ভালো। না হলে বিপদ। এইতো সবে শুরু। আরও অন্তত ৫/৬ মাস গরমের প্রকোপ সহ্য করতে হবে রাজ্যবাসীকে,দেশবাসীকে।সুতরাং গরমে পরিত্রাণের জন্য একমাত্র অবলম্বন হচ্ছে সাবধানতা।
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল এপ্রিল মাসের শেষে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজে ছাত্রছাত্রীদের পাস করিয়ে দেবার নাম করে ডা. সোমা চৌধুরী নামে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্য ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা টিএফএর সংবিধান সংশোধন করার নামে নিজেদের অধিকার কেড়ে নেওয়ার…
অনলাইন প্রতিনিধি :-এডিসির ৩০২ টি স্কুলে শিক্ষক ১ রয়েছে।জাতীয় স্তরে প্রাথমিক স্কুলে ছাত্র- শিক্ষকের অনুপাত…
অনলাইন প্রতিনিধি :-বামফ্রন্টের টানা ২৫ বছরে রাজ্যের পর্যটন শিল্পের কোনও উন্নয়নই হয়নি। সম্পূর্ণ অন্ধকারে ডুবে…
একা রামে রক্ষা নেই, সুগ্রীব দোসর। কথাটা বোধহয় এক্ষেত্রে একেবারে যথার্থভাবে ধ্বনিত হয়।গত কয়দিন ধরেই…