পাঁচ বছর আগের কোভিড স্মৃতি আবার একটু একটু করে গোটা দুনিয়া জুড়ে চর্চার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।গত কিছুদিন ধরেই বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন স্থানে করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া যাচ্ছিল।এবার হংকং, চিন, সিঙ্গাপুরের পর ভারতেও লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলেছে করোনার গ্রাফ।২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দফায় দফায় ভয়াবহ করোনার তাণ্ডবে গোটা বিশ্বজুড়ে মানবসভ্যতা কার্যত কেঁপে উঠেছিল। তিন বছর বাদে আবার সেই করোনার চোখরাঙানি আমাদের দেশেও চিন্তার কারণ ছড়াচ্ছে।কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য বলছে, দেশে এরই মধ্যে অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়েছে। মহারাষ্ট্র ও বেঙ্গালুরু থেকে করোনায় আক্রান্তের মৃত্যুর খবর এসেছে। উত্তরাখণ্ডের ঋষিকেশের এইমসে বেশ ক’জন করোনা রোগীর পজিটিভ পাওয়া গেছে। দিল্লী, মুম্বাইয়ে এরই মধ্যে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অন্ধপ্রদেশ সরকারও সতর্কতামূলক গাইডলাইন জারি করেছেন।
এখনও পর্যন্ত ভারতে দুটি করোনা ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান পাওয়া গেছে। একটি হল NB.1.8.1 এবং অন্যটি হল এলএফ ডট সেভেন।পাশাপাশি রয়েছে জে এন ডট ওয়ান।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এইসব ভ্যারিয়েন্ট তেমন বিপজ্জনক নয়।তবে এদের উপর নজর রাখা হচ্ছে। তবে দেশে এখনও পর্যন্ত যত স্যাম্পল টেস্ট করে পজিটিভপাওয়া গেছে, তাদের অর্ধেকই হল ভ্যারিয়েন্ট JB.1 ভ্যারিয়েন্ট।ইতিমধ্যেই দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্টJN.1 কোভিড – ১৯ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।যদিও ২ বছর আগে ২০২৩ সালেই এই ভ্যারিয়েন্টের প্রথম হদিশ পাওয়া যায়।এই ভ্যারিয়েন্টের পোশাকি নাম পিরোলা।চিকিৎসকরা বলছেন, এই পিরোলার সংক্রমণ হলে রোগীর শরীরে যে সব উপসর্গ দেখা যায় তা হল-সর্দি, জ্বর, স্বাদ ও ঘ্রাণশক্তি চলে যাওয়া, মাথাব্যথা এবং চোখের যন্ত্রণা। এসবের পাশাপাশি গলায় ব্যাথা, বমি বমি ভাব, পেশিতে যন্ত্রা, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপসর্গগুলোও থাকে। স্বাভাবিক কারণেই গোটা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে চিকিৎসকরা এবং দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রক বলছেন, এখনই এই নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কিছু ঘটেনি। তাই বলে বিষয়টিকে অবহেলা করেও দেখতে নেই। নিশ্চয়ই এই নিয়ে ভাবার দরকার রয়েছে। কিন্তু প্যানিক করার কোন প্রয়োজন নেই। ২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’ এবং আমাদের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক একটা বিষয় বেশ স্পষ্ট করেই বলে দিয়েছিল, কোভিড থাকবে।এর সঙ্গেই এখন আমাদের বাস করতে হবে।বছর বছর ঘুরে আসবে, আবার চলেও যাবে।অর্থাৎ করোনা ভাইরাস যাই যাই করেও যে পুরোপুরি চলে যাবে না,বরং নিয়মিত রূপ বদল করে যেন থেকে যেতে চাইবে-একথাটা আমাদের জানাই ছিল।আমরা আগেই করোনার নতুন ধরন যেমন অমিক্রন দেখেছিলাম। ধীরে ধীরে অমিক্রনের উপশাখা বেরিয়ে আসছে। গত ২ বছর আগে চিনে অমিক্রনের উপশাখা BF.7 নামের নতুন ভ্যারিয়েন্টের সন্ধ্যান পাওয়া গিয়েছিল।এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের ক্ষমতা, আমাদের দেখা করোনার চেয়ে সাড়ে চার গুণ বেশি শক্তিশালী ও প্রভাব বিস্তারকারী।তাই করোনা চলে যায়নি,একথা আমাদের মাথায় রাখতে হবে। বরং নতুন নতুন উপধরনে সেটা প্রকাশিত হবে। এবার এর প্রকাশভঙ্গি ও বিস্তার কেমন হবে- সেটা যখন তার সংক্রমণের প্রকোপ দেখাবে তখনই স্পষ্ট হবে। তাই সতর্ক থাকাই একমাত্র বিকল্প। কোভিডের সম্ভাব্য নতুন ঢেউয়ের মোকাবিলায় প্রশাসন সর্বতোভাবে প্রস্তুতির কথা জানালেও, মনে রাখতে হবে কোভিড এখন অনেকটাই সাধারণ রোগের মতো হলেও, অগ্রাহ্য করলে তা মারাত্মক হতে পারে। তাই আতঙ্ক না বাড়িয়ে সচেতনতা ও সতর্কতায় গুরুত্ব দিতে হবে।
অনলাইন প্রতিনিধি,:-প্রয়াত দেশের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা শিরোমণি আকালি দলের বর্ষীয়ান নেতা সুখদেব সিং ধিন্দসা। বুধবার…
অনলাইন প্রতিনিধি :- সারা দেশের সাথে রাজ্যেও শুরু হচ্ছে কৃষি জাগরণে কেন্দ্র ও রাজ্যের সর্ববৃহৎ…
অনলাইন প্রতিনিধি :-কমপক্ষে ৩০ জন মানুষ৷ জমি থেকে ৫০ ফুট উপরে উঠে শূন্যে ভাসমান অবস্থায়…
অনলাইন প্রতিনিধি :-অর্থনীতিতে বিশ্বের মধ্যেচতুর্থ স্থানে ভারত। আগামীদিনে জার্মানিকে পেছনে ফেলে বিশ্ব অর্থনীতিতে তৃতীয় স্থানে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি আশ্রম প্রাঙ্গণের সামনে প্রবল জলোচ্ছ্বাস। দৈত্যাকার ঢেউ আঁচড়ে পড়ছে উপকূলে। তীরবর্তী…
অনলাইন প্রতিনিধি :-স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনকারীদের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন ৷ মার্কিন…