সন্তান সেহে গাছ জড়িয়ে ধরে বিশ্ব রেকর্ড করলেন ঘানার যুবক!!

 সন্তান সেহে গাছ জড়িয়ে ধরে বিশ্ব রেকর্ড করলেন ঘানার যুবক!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-পিতা যেমন তার সন্তানকে ভালবাসেন,আফ্রিকার দেশ ঘানার ২৯ বছরের যুবক আবুবকর তাহিরু অবিকল সে ভাবেই গাছ ভালবাসেন।যে কোনও গাছ তার কাছে সন্তানসম।গাছ লাগানো,গাছ বাঁচানো, গাছের ব্যাপারে চারপাশের মানুষকে সচেতন করা-এই তার নিজস্ব ভুবন। শেষ পর্যন্ত গাছ জড়িয়ে ধরেই আবুবাকার গড়ে ফেললেন নতুন বিশ্ব রেকর্ড।

১ ঘণ্টায় ১ হাজার ১২৩টি গাছ জড়িয়ে ধরে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন তিনি।এমন কীর্তিতে তার নাম উঠেছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের পাতায়।
আবুবকরের এ বিশ্ব রেকর্ড নিয়ে গিনেস বুকের ওয়েবসাইটে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, আমেরিকার আলাবামা অঙ্গরাজ্যে ফরেস্ট্রিতে পড়াশোনা করেন আবুবকর। আলাবামার টাস্কেগি জাতীয় বনাঞ্চলে একের পর এক গাছকে আলিঙ্গন করে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন তিনি। গিনেসের তরফে জানানো হয়েছে,১ ঘণ্টায় ১,১২৩টি গাছকে জড়িয়ে ধরা আবুবকর গড়ে প্রতি মিনিটে গড়ে প্রায় ১৯টি গাছ জড়িয়ে ধরেছেন।
ঘানার টেপা এলাকায় আবুবকর তাহিরুর বাড়ি। তার সম্প্রদায়ের মানুষেরা প্রধানত কৃষিজীবী।তাই প্রকৃতি, গাছ, বনের সঙ্গে আবুবকরের ঘনিষ্ঠতা শৈশব থেকে।গাছ ও প্রকৃতিকে ভালবেসেই পড়াশোনার জন্যও তিনি বেছে নিয়েছেন প্রকৃতিঘেঁষা একটি বিষয়। আবুবকর আলাবামার আবার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে ফরেস্ট্রি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন।এই পর্যায়েই বিশ্ব রেকর্ড গড়ার ঝোঁক চাপে তার।বেছে নেন গাছ জড়িয়ে ধরার মতো অপ্রচলিত একটি বিষয়। বিশ্ব রেকর্ড গড়ার ক্ষেত্র হিসাবে নিজেই পছন্দ করেছিলেন আলাবামার জাতীয় বনাঞ্চল।
দুই হাত বাড়িয়ে জড়িয়ে ধরেন বড় বড় সব গাছ।১,২, ১০ কিংবা ২০টি নয়; আবুবকর একে একে ১ হাজার ১২৩টি গাছ জড়িয়ে ধরেছেন।এতে সময় নেন মাত্র এক ঘণ্টা।আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, নির্ধারিত ওই এক ঘণ্টায় একটি গাছকে একাধিকবার জড়িয়ে ধরেননি তিনি।একটি গাছ জড়িয়ে ধরার পর দ্রুত জায়গা বদল করেছেন।
পাশের অন্য একটি গাছের সামনে ছুটে গিয়ে সেটি জড়িয়ে ধরেছেন।সেটি
ছেড়ে আবার পরের গাছের কাছে গেছেন।এভাবেই বিশ্ব রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন। গিনে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ বলেছে, নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়তে আবুবকরকে ১ ঘণ্টায় ন্যূনতম ৭০০ গাছ জড়িয়ে ধরতে হতো।কিন্তু তিনি সহজেই সে লক্ষ্য ছাড়িয়ে যান। গাছ ও পরিবেশ সংরক্ষণের বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে তিনি এমন উদ্যোগ নিয়েছেন।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.