সবজির মূল্য আকাশছোঁয়া!!

 সবজির মূল্য আকাশছোঁয়া!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :- বাজারে লাগামছাড়া মূল্য বৃদ্ধির রেকর্ডগতি কোনওভাবেই থামছে না। বাজারে সবজিই হোক, আলু, পেঁয়াজই হোক ভোজ্য তেলই হোক, চাল, ডাল, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রই হোক এমনকী মাছ মাংসের মূল্যও গত কিছুদিনের মধ্যে আরও অনেকটা বৃদ্ধি পেয়ে আকাশছোঁয়ায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থায় বাজারে গিয়ে গরিব নিম্ন রোজগারের ও সাধারণ রোজগারের মানুষ পড়েছেন প্রচণ্ড বিপাকে। গরিব নিম্ন রোজগারের মানুষ বাজারে আগুন মূল্যের দরুণ ক্রয়ক্ষমতা হারিয়েছেন অনেক আগেই। কিন্তু মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আনতে ও মূল্য কমাতে রাজ্য সরকারের সেই ধরনের বাস্তব ভিত্তিক চেষ্টা নেই বলে তাসাধারণের অভিযোগ। এদিকে, বাজারে আলু পেঁয়াজের মূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে খাদ্য দপ্তরের সহযোগিতায় এবার থেকে আগরতলার বিভিন্ন বাজারে অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে আলু, পেয়াজ বিক্রির স্টল তথা কাউন্টার শুরু হয়েছে। এদিন মহারাজগঞ্জ রের সবজি ব্যবসায়ী সমিতির সবজি ও মাছ বাজারে প্রবেশের আলু পেঁয়াজ বিক্রির স্টল খোলা হয়েছে।ব্যবসায়ীদের কেন্দ্রীয় সমিতির নিচে আলু, পেঁয়াজ বিক্রির স্টলের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য দপ্তরের অধিকর্তা নির্মল অধিকারী, সদর মহকুমাশাসক মানিকলাল দাস, সদর ফুড কন্ট্রোলার প্রদীপ কুমার ভৌমিক সহ খাদ্য দপ্তরের অন্য অফিসাররা ও ব্যবসায়ী কর্মকর্তারা। এখানে প্রতিদিন প্রতিদিন প্রতি কিলো আলু ৩৩ টাকা ও প্রতি কিলো পেঁয়াজ ৪০ টাকায় বিক্রি হবে। একসঙ্গে তিন কিলো আলু কিনলে ১০০ টাকা নেওয়া হবে। সকাল ৭টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ও বিকাল ৪টা থেকে রাত ৭টা পর্যন্ত স্টল খোলা থাকবে। এদিকে, খাদ্য দপ্তরের সহযোগিতায় কিছু রেশনশপেও এই মূল্যে আলু ও পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হয়েছে সোমবার থেকে। এদিন দুর্গা চৌমুহনীর ১নং রেশনশপ, মেহের কালীবাড়ি সংলগ্ন ৬১ নম্বর রেশনশপ, কৃষ্ণনগর কদমতলার ২৪৫ নম্বর রেশন শপ ও অভয়নগর বাজার এলাকায় ৯৬ নম্বর রেশন শপে প্রতি কিলো আলু ৩৩ টাকা ও প্রতি কিলো পেঁয়াজ ৪০ টাকায় বিক্রি হবে। রেশনশপ থেকে কম মূল্যে আলু, পেঁয়াজ নিতে কোনও রেশন কার্ড লাগবে না। যেকোনও ক্রেতা বাড়ি যেকোনও জায়গায় হোক এইসব রেশনশপে এসে আলু, পেঁয়াজ কিনে নিতে পারবেন বলে খাদ্য দপ্তর ও রেশনশপ ডিলারদের তরফে জানানো হয়েছে। এদিকে খাদ্য দপ্তরের অধিকর্তা নির্মল অধিকারী ও সদর মহকুমাশাসকও রেশনশপে কম মূল্যে আলু, পেঁয়াজ বিক্রি চালু করার অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রতি ছিলেন। খাদ্য দপ্তরের তরফে জানানো হয় এদিন শুরুতে আলু ৩৫ হাজার হবে কিলো ও পেঁয়াজ ৪২ হাজার কিলো কিনলে বিক্রি হলেও বিকালে পাইকারি মূল্য কিছুটা কমায় আলুর মূল্য ৩৫ টাকার বিকাল জায়গায় ৩৩ টাকা ও পেঁয়াজ ৪০ টাকায় রেশনশপে ও মহারাজগঞ্জ বাজারের স্টলে বিক্রি হচ্ছে। খাদ্য দপ্তর থেকে আরও জানানো হয়েছে, আগরতলা ও সদরের আরও কিছু রেশনশপে ও অন্য বাজারগুলিতেও কম মূল্যে আলু, পেঁয়াজ বিক্রির জন্য স্টল খেলা হবে। এদিকে, খুচরো বাজারে আলু ও পেঁয়াজের মূল্য উর্ধ্বমুখী। আলু প্রতি কিলো কিলো ৪০ টাকা বা কোনও কোনও বাজারে আরও বেশি মূল্য নেওয়ার অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা। পেঁয়াজও খুচরো বাজারে প্রতি কিলো ৫০ টাকা ও কোনও কোনও বাজারে
আরও বেশি মূল্য নেওয়া হয়েছে সোমবারও। অসাধু ব্যবসায়ীরা নানা অজুহাতে আলু, পেঁয়াজ সহ ভোজ্যতেল, চাল, ডাল, নিত্যপণ্য কেবল বৃদ্ধি করে চলেছে। সবজির বাজারেও আগুন মূল্য। বেশ ক’দিন ধরেই সবজি বাজারে গিয়ে ক্রেতার হাত পুড়লেও আকাশছোঁয়া মূল্য কমিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনার কোনও চেষ্টা নেই প্রশাসনের। সব ধরনের সবজির মূল্যই গরিব ও সাধারণ রোজগারের ক্রেতারা কিনতে গিয়ে ক্রয় ক্ষমতা হারাচ্ছেন। কৃষি দপ্তর বাজারে বাজারে কম মূল্যে স্টল খুলে বিক্রি করার কোনও ব্যবস্থা করছে না। বাজারে সবজির মূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে কৃষি দপ্তরের নিষ্ক্রিয় ও উদাসীন ভূমিকায় ক্রেতারা ক্ষুব্ধ।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.