সব ঘরে রোজগার পৌঁছে দেওয়াই লক্ষ্য: চন্দ্রশেখর!!

এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনায় রাজ্যে দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি এবং প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনায় গুরুকা সম্মান অনুষ্ঠানের সূচনা করে শুক্রবার কেন্দ্রীয় বৈদ্যুতিন ও তথ্য প্রযুক্তি, দক্ষতা বিকাশ,শিল্প উদ্যোগ এবং জলশক্তি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর বলেন,ঘরে ঘরে রোজগার পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।

এজন্য বিভিন্ন কর্মসূচিও রূপায়ণ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশিত দিশাতেই ঘরে ঘরে রোজগার পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এই কর্মসূচি রূপায়ণ করার ক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়া হচ্ছে।দেশের অসংগঠিত ক্ষেত্রের সঙ্গে যারা যুক্ত রয়েছেন,তাদের দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে রোজগারের সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য কেন্দ্রীয় দক্ষতা উন্নয়ন এবং উদ্যমশীলতা মন্ত্রকও এখন কাজ করে চলেছে।

রাজধানী আগরতলার টাউন হলে এদিন ত্রিপুরা রাজ্যের দুটি বিশ্বকর্মা কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে গুরুকা সম্মান অনুষ্ঠানেও যোগ দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব
চন্দ্রশেখর।অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় দক্ষতা উন্নয়ন,শিল্প উদ্যোগ এবং জলশক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, উত্তর পূর্বাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার পাশাপাশি উপযুক্ত পরিকাঠামো না থাকার দরুন বিগত দিনগুলিতে এই অঞ্চলে সে রকম কোনও উন্নয়ন পরিলক্ষিত হয়নি।২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্ষেত্রে দায়িত্বভার গ্রহণের পর দেশের এই অনুন্নত অংশের পরিকাঠামোগত উন্নয়নেই সবচেয়ে বেশি জোর দেন।

কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর আরও বলেন, বর্তমান সময়ে এ দেশে রোজগারের অবাধ সুযোগ রয়েছে।একই সাথে সেগুলিকে অর্জন করতে হলে যুব সমাজকে অবশ্যই পরিশ্রমী হওয়ার পাশাপাশি দক্ষতা উন্নয়নেরও বার্তা দেন তিনি।রাজ্যে দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রী কুশল বিকাশ যোজনা৪.০ এর প্রথম পর্যায়ে১০ হাজার ৪০০ জনকে দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।এই কর্মসূচিতেই আগামী তিন বছরে রাজ্যের ৪৮ হাজার যুবক যুবতীকে দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা ভার্চুয়ালি রাজ্যের দুটি বিশ্বকর্মা কেন্দ্রেরও সূচনা করেন।

এরপরই পিএম বিশ্বকর্মা যোজনায় বিভিন্ন পেশার সাথে যুক্ত রাজ্যের মোট পাঁচজনকে গুরুকা সম্মানে সম্মানিত করা হয়। এছাড়াও পিএম জনমন যোজনায় প্রথম পর্যায়ে গোমতী জেলার ১৭০ জন অতি পিছিয়ে পড়া জনজাতি অংশের প্রশিক্ষিত যুবক যুবতীদের মধ্যে দশ জনকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠান উপলক্ষে রাজ্যে দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে আইআইই’র সাথে এনআইটি ও টিটিএএডিসি এবং এনআইইএলআইটি এর সাথে এনআইটি আগরতলা ও টিআইটি আগরতলার একটি মৌ স্বাক্ষরিত হয়।

কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক বলেন,গত বছরের অক্টোবর মাসে ডিলস্টে নামক একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির সহযোগিতায় শুরু হওয়া হার্টল্যাণ্ড ত্রিপুরা কর্মসূচির প্রথম পর্যায়ে মোট ৬৩ জনকে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।আগামী কিছুদিনের মধ্যেই তাদের মধ্য থেকে ৫০ জনকে এই কোম্পানিতে নিযুক্তিপত্র দেওয়া হবে। ত্রিপুরার মতো রাজ্যের ক্ষেত্রে এটি একটি বড় পাওনা। আগামীদিনেও এমন আরও ৩৫০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।তিনি বলেন,অনুষ্ঠানে মাইক্রোসফট,ফ্লিপকার্ট এবং সিসকোর মতো আন্তর্জাতিক মানের কোম্পানির প্রতিনিধিরাও উপস্থিত হয়েছেন।যারা আগামীদিনে রাজ্যের যুবক যুবতীদের প্রশিক্ষিত করার মাধ্যমে সে সকল সংস্থায় নিয়োগের ব্যবস্থা করবে।তিনি বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই আগামীদিনে ভারতবর্ষ একটি বৈভবশালী রাষ্ট্রে পরিণত হবে।আরও বলেন,রাজ্যে মেধার অভাব নেই।কিন্তু অবশ্যই তাদের মানসিকতার পরিবর্তন চাই আমরা।শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের মন্ত্রী শান্তনা চাকমা এদিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র ক মোদির দিশায় রাজ্য সরকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচি রূপায়ণ করে চলেছে। আমাদের সকলকেই এই কর্মসূচি রূপায়ণের কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন এনআইইএলআইটি-এর ডিরেক্টর জেনারেল ড. মদন মোহন ত্রিপাঠি সহ মাইক্রোসফট, ফ্লিপকার্ট, সিসকোর বিভিন্ন প্রতিনিধিরা। অনুষ্ঠানে মন্ত্রকের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচি সংবলিত বেশ কয়েকটি তথ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী জল জীবন মিশনের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে গান্ধীগ্রাম স্কুল সংলগ্ন ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। এদিন রাহুল গান্ধী,লালু যাদব এবং মমতা ব্যানার্জিকে এক সুতোয় বেঁধে শানিত আক্রমণ করলেন।তিনি বলেন,দেশের মানুষ খুব বুদ্ধিমান।তারা বুঝে গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মানুষের জীবনের কত বড় পরিবর্তন এনে দিয়েছেন আর্থিক এবং সামাজিক অগ্রগতি ক্ষেত্রে।মানুষ বুঝে গেছে তাদেরকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।তাছাড়া রাহুল,লালু এবং মমতারা বহু বছর ধরে দেশের মানুষের সাথে যে খেলা করেছে তা বুঝে গিয়েছে।জল জীবন মিশন এর অগ্রগতি দেখতে এসে গান্ধীগ্রামে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের কার্যকরিতার বিষয়ে উপস্থিত ডিডব্লিউএস আধিকারিকদের থেকে বিশদ জানেন।পাশে ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণধন দাস, বামুটিয়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান শীলা দাস সেন, ডিডব্লিউএস দপ্তরের অধিকর্তা রাজীব মজুমদার সহ অন্যরা।কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী রাজীশ চন্দ্রশেখরের জোরালো দাবি এবং অভিমত আগামী জুন জুলাই মাসের মধ্যে রাজ্যে জল জীবন মিশনের কাজ একশ শতাংশ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।

Dainik Digital

Recent Posts

মুখ্যমন্ত্রীর মুখ বাঁচাতে পুলিশ প্রশাসনের নির্লজ্জ দ্বিচারিতা!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-চাঁদারজুলুম নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে তথাকথিত সুশাসনের রাজ্যে প্রশাসনের নির্লজ্জ দ্বিচারিতা প্রকাশ্যে এলো।…

20 mins ago

কাজের বাজারে মন্দা!!

কেন্দ্রে ১০০ দিন পূর্ণ করল তৃতীয় মোদি সরকার।যদিও বর্তমান ক্ষমতাসীন কেন্দ্রীয় সরকারকে মোদি সরকার আখ্যা…

50 mins ago

নিগো – অন্ধ প্রশাসন!!

নিগো বাণিজ্যের রমরমা চালানোর জন্যই কি ১৮ সালে রাজ্যের মানুষ বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছিলো?রাজ্যের আকাশ…

1 day ago

বিমানযাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু নিয়ে পুলিশের তদন্ত শুরু!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-এয়ারইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের কর্মীর চরম গাফিলতি ও উদাসীনতার কারণে রীতা বণিক (৫৯) বিমান যাত্রীর…

1 day ago

হরিয়ানাঃ পাল্লা কার পক্ষে?

হরিয়ানা কি বিজেপির হাত থেকে ফসকে যাচ্ছে?শাসক বিজেপির হাবভাব দেখে তেমনটাই অনুমান করছে রাজনৈতিক মহল।প্রধানমন্ত্রী…

2 days ago

রাজধানীতে চাঁদার জুলুমে অতিষ্ঠ মানুষ!!

অনলাইন প্রতিনিধি:-মুখ্যমন্ত্রীডা. মানিক সাহার নির্বাচনি এলাকার আপনজন ক্লাবের চাঁদার নামে বড় অঙ্কের তোলাবাজির অভিযোগের রেশ…

3 days ago