সব লড়াই শেষ, না ফেরার দেশে অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা

 সব লড়াই শেষ, না ফেরার দেশে অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

দৈনিক সংবাদ অনলাইনঃ দীর্ঘ ২০ দিনের লড়াই শেষ। জীবনদ্বীপ নিভে গেল অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার। মাত্র ২৪ বছর বয়সেই মৃত্যুর কাছে হার মানতে হলো তাঁকে। দু-দুবার ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াইয়ে জিতেও অবশেষে ব্রেন স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাক-এর কাছে হার মানতে হলো ঐন্দ্রিলাকে। শুধুমাত্র একবার নয়, পর পর ১০ বার হার্ট অ্যাটাক হয় তাঁর। হাজার চেষ্টা করেও আর কোমা থেকে ফেরানো যায়নি তাঁকে। না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী।

পয়লা নভেম্বরের রাতে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন ঐন্দ্রিলা। অভিনেত্রীকে ভরতি করা হয় হাওড়ার বেসরকারি হাসপাতালে। রাতেই হয় অস্ত্রোপচার। তারপর থেকে ভেন্টিলেশনে ছিলেন অভিনেত্রী। শনিবার রাতে অন্তত ১০ বার হৃদরোগে আক্রান্ত হন। লড়াই করতে করতে যেন হাঁপিয়ে উঠেছিল ঐন্দ্রিলা। তাঁর শরীরে যেন লড়াইয়ের আর কোনো ক্ষমতাই বাকি ছিল না। মৃত্যুর সঙ্গে তীব্র পাঞ্জা লড়ে অবশেষে চিরবিদায় নিল সে। খবর সামনে আসার পর থেকেই সর্বত্র নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে নেট দুনিয়ায়। তবে ঐন্দ্রিলার গোটা এই সময়টায় ঐন্দ্রিলার ছায়াসঙ্গী হয়ে পাশে ছিলেন সব্যসাচী চৌধুরী।

বর্তমানে যে যুগে দাঁড়িয়ে প্রায়শই ভালোবাসায় বিশ্বাসঘাতকতার কথা শোনা যায় সেখানে ঐন্দ্রিলার প্রতি সব্যসাচীর ভালোবাসা যেন প্রমান করে দেয় যে, প্রকৃত ভালোবাসা কখনোই কোনো পরিস্থিতিতেই পাশের মানুষটাকে ছেড়ে যায় না। শুরু থেকে শেষ অবধি পাশে ছিল সব্যসাচী সেনগুপ্ত। এ যেন সকলের কাছে ভালোবাসার এক অনন্য নজির। গোটা একটা জেনারেশনের কাছে যেন ভালোবাসার এক দৃষ্টান্তমূলক স্বাক্ষী হয়ে রইল সব্যসাচী ও ঐন্দ্রিলার ভালোবাসা। ঐন্দ্রিলা মৃত্যুর কাছে হেরে গেলেও তাদের ভালোবাসা হেরে যায় নি, এই ভালোবাসা চির অমর হয়ে থাকবে। এমনটাই অভিমত নেটিজেনদের।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.