সমাজ বাঁচাতে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী।।

 সমাজ বাঁচাতে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী।।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-ছাত্রছাত্রী সহ সমাজের প্রত্যেকেই মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। মাদকাশক্তির ঝুঁকি থেকে সমাজকে রক্ষা করার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে সকলকেই। রাজধানী আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে সোমবার ‘জাগৃতি-২০২৫’ আন্ত:কলেজ কুইজ প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বরাবরের মতোই এ দিনও মাদকের বিরুদ্ধে কড়া মনোভাবের কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা। আহ্বান রাখলেন নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার।
আন্ত: কলেজ কুইজ প্রতিযোগিতার এই অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এ জাতীয় কুইজ প্রতিযোগিতা বর্তমান সময়ে অপরিহার্য। তিনি জানান, ছাত্র-ছাত্রীরাই হচ্ছে দেশের ভবিষ্যৎ। স্বাভাবিকভাবেই এই ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে নিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে সব অংশের জনগণকেই প্রতিরোধ গড়ে তোলা প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘আমরা নেশা মুক্ত ত্রিপুরা (ড্রাগ-ফ্রি ত্রিপুরা) গড়ে তোলার আহ্বান রেখেছি। যেখানে ত্রিপুরা পুলিশ ও অন্যান্য এজেন্সিগুলিও এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। তবে সচেতনতাও যে প্রয়োজন তা-ও জানান মুখ্যমন্ত্রী। এক্ষেত্রে আয়োজিত কুইজ প্রতিযোগিতাটি মানুষের মধ্যে আগ্রহ তৈরি করবে, তাদের অংশ নিতেও উৎসাহিত করবে। ভোক্তাদের অধিকার ও সুরক্ষা সম্পর্কিত বিষয়েও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ সম্পর্কে আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।তিনি বলেন, অনেক সময় সড়ক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে মানুষকে সঠিকভাবে হেলমটে
পরিধানকরতে দেখা যায় না। এতে মারাত্মকভাবে জখম হতে হচ্ছে আরোহীকে। দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় এ রাজ্যে দুর্ঘটনার সংখ্যা কম হলেও সতর্কতা অবলম্বন অবশ্যই করতে হবে বলে তিনি জানান। নেশার ঘোরে গাড়ি চালানো কিংবা গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন • ব্যবহার ইত্যাদি বন্ধ ব্যাপারেও গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এ ধরনের সচেতনামূলক কর্মসূচি সত্যিই এক অভিনব উদ্যোগ।খাদ্য ও পরিবহণ দপ্তরের যৌথ উদ্যোগ আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,বর্তমান সময়ে এ ধরনের সচতেনতামূলক কর্মসূচি খুবই প্রাসঙ্গিক।তার কথায়, রাজ্য সরকার নেশামুক্ত ত্রিপুরা গঠনের প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। এই অভিযানে ছাত্র-ভাত্রীদেরও সংযুক্ত করতে হবে। বর্তমান সময়ে ক্রেতা সুরক্ষা বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এ বিষয়েও ভোক্তাদের আরও বেশি করে সচেতন করে তোলার লক্ষ্যে খাদ্য দপ্তরকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। জেলা স্তরের ও রাজ্য ওরের ভোক্তা আদালত থেকে ভোক্তারা যাতে সঠিক পরিষেবা পেতে পারে সে বিষয়েও গুরুত্ব আরোপ করেন মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে পরিবহণ মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী লেন, কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের নেশার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা, সড়ক নিরাপত্তা ও ভাক্তা অধিকার সম্পর্কে সচেতন করার উদ্দেশ্যেই জাগৃতি কর্মসূচি শুরু করা য়েছিলো। এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে উদয়পুর এবং কুমারঘাটেও কলেজস্তরের ভাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে ক্যুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। অবশেষে সোমবার প্রাজধানী আগরতলায় ফাইনাল রাউন্ডের কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হলো। আগামী দিনে জাগৃতি কর্মসূচিকে বিদ্যালয়স্তরে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। জাগৃতি কর্মসূচি উপলক্ষে এ দিন ফাইনাল রাউণ্ড কুইজ প্রতিযোগিতায় মোটটি দল অংশগ্রহণ করে। এরা হলো উদয়পুরের নেতাজী সুভাষ মহাবিদ্যালয়, গোমতী জেলা পলিটকেনিক, বিলোনীয়ার ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাবিদ্যালয়, কুমারঘাটের কলেজ অব টিচার্স এডুকেশন, ধর্মনগরের আর্যভট্ট ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ে, লংতরাইভ্যালি সরকারী মহাবিদ্যালয়, ভেটেরিনারি কলেজ, আগরতলার বীরবিক্রম মেমোরিয়াল কলেজ এবং এনআইটি আগরতলা।ফাইনাল রাউণ্ড কুইজ প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে উদয়পুরের নেতাজী সুভাষ মহাবিদ্যালয়ের শ্রেয়া মোদক ও শুভজিৎ চৌধুরী। এছাড়াও দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে কুমারঘাটের কলেজ অব টিচার্স এডুকেশনের নিশান বিশ্বাস ও জয়দীপ মজুমদার এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করে ভেটেরিনারি কলেজের সৌভিক ভৌমিক ও বিশাল দেবনাথ।অনুষ্ঠানে শেষ লগ্নে অতিথিরা তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.