সমাবেশের মাঠ না দিলেও মানুষে ভরে যাবে আগরতলা।।

 সমাবেশের মাঠ না দিলেও মানুষে ভরে যাবে আগরতলা।।
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যে
সমাবেশের মাঠ না পেলে কী হবে। সাধারণ মানুষ, দলের কর্মী, সমর্থকরা আগামী ২৯ জানুয়ারী নিজেদের উদ্যোগে আগরতলা শহর ভরিয়ে দেবেন। এ মন্তব্য করেন সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য মানিক সরকার।
সিপিএমের ২৪তম রজ্য সম্মেলন উপলক্ষে রাজধানীর আস্তাবল মাঠে প্রকাশ্য জনসমাবেশ করার উদ্যোগ নেয় দল। মাঠে সরকারী অনুষ্ঠান থাকার অজুহাতে সমাবেশের অনুমতি দিতে রাজি হয়নি রাজ্য সরকার।গত বৃহস্পতিবার এ কথাই শুনিয়েছিলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন চৌধুরী।এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে পক্ষে-বিপক্ষে এখন পর্যন্ত তরজা অব্যাহত রয়েছে।শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. মানিক সাহা আস্তাবল মাঠে শহুরি সমৃদ্ধি উৎসবের উদ্বোধন করে বলেছিলেন, জনসভার জন্য সিপিএমকে মাঠ দেওয়া হচ্ছে না। সিপিএম নেতৃত্ব চাইলে জনসভার দিনক্ষণ পরিবর্তন করতে পারে। উমাকান্ত স্কুল মাঠও দেওয়া যাচ্ছে না ছাত্রছাত্রীদের অসুবিধার কথা ভেবে।
সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পাল্টা দিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। এ দিন কাঞ্চনমালা,গোলাঘাটি পরিদর্শনকালে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন,শাসকদলের মধ্যে ভীতি তৈরি হয়েছে তাই সিপিএমের সভা, সমাবেশ, জমায়েত, মিছিলগুলিকে এরা দাবিয়ে রাখতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। তবে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ, বিক্ষোভ, প্রতিবাদ দেখে শাসকদল হতাশ। তাই এরা জনসমাবেশের জন্য প্রায় ১ মাস আগেও মাঠের আবেদন করার পর আমাদের দিল না। এটা শাসকদলের শক্তির না, দুর্বলতার ফলন।
মানিক সরকার বলেন, ২৯ জানুয়ারী দুপুরে ২৪তম রাজ্য সম্মেলন উপলক্ষে আমাদের জনসভা হবে রাজ্যের রাজধানী শহর আগরতলায়। আমরা একটার পর একটা মাঠ চাইছি।তবে আমাদের মাঠ দিল না।এরপরও তো আমরা আগরতলায় ২৯ জানুয়ারী দুপুর ১২টায় জনসমাবেশ করবো। মাঠ না দিলে কী হবে। রাজ্যের মানুষকে তো আটকাতে পারবে না।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে, মানুষকে প্রলোভনের ফাঁদে আটকে, বিভ্রান্ত করে এরা রাজ্যে ক্ষমতা দখল করেছে।
বিজেপি সরকার ত্রিপুরায় ক্ষমতায় আসার পর মানুষ জীবনে অভিজ্ঞতা থেকে বুঝতে পেরেছেন, রাজ্যবাসীর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা হয়েছে। ২০২৩-এর নির্বাচনেও শাসকদল বিজেপি প্রকৃত অর্থে পরাজিত হয়েছে। তিপ্রা মথা যদি বিশ্বাসঘাতকতা না করতো, তবে এরা সরকারে আসতে পারতো না।
মানিক সরকারের অভিযোগ, শাসকদল দাবি করেছে এরা নাকি ৩৯টা ভোট পেয়েছে। যদিও প্রকৃত অর্থে তারা ভোট পেয়েছে ২০টা থেকে ২২টা ভোট। আর বাকি ভোটগুলি শাসকদল জবরদখল করেছে। এ কারণেই তাদের মধ্যে একটা ভীতি তৈরি হয়েছে।
মানিকবাবুর দাবি, রাজ্যবাসী বুঝতে পারছেন, তাদের ক্ষুধার জ্বালা দুর করতে হবে। আয়-উপার্জনের ব্যবস্থা করতে হবে। ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার ব্যবস্থা করতে হবে। তাই চুপচাপ ঘরে বসে থাকলে সমস্যার সমাধান হবে না। তাই সাধারণ মানুষ পথে নেমে গিয়েছেন। শুধু তাই নয়, বিজেপির সাধারণ সদস্য যাদের মধ্যে সততা, নিষ্ঠা রয়েছে, তারাও বুঝতে পারছেন, বিশ্বাসঘাতকতা কোন্ পর্যায়ে হয়েছে। তাই তারাও প্রতিবাদ জানাতে আমাদের সাথে রাজপথে নেমেছেন।এদিকে, ২৪তম রাজ্য সম্মেলন, জনসভাকে ঘিরে রাজ্যব্যাপী মিছিল, বাইক র‍্যালি, পথসভা করছে সিপিএম। পানিসাগর, শান্তিরবাজার, বিলোনীয়া, সাক্রম, উদয়পুর, ধর্মনগর, জিরানীয়া, আগরতলা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা, মহকুমায় মিছিল হচ্ছে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.