রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারী মাসে করার উদ্যোগ!!
সমালোচনার শাস্তি, ব্রিটিশ সংস্থায় চাকরি ‘গেল’ এআই চ্যাটবটের!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-নিজের সংস্থার সমালোচনা করে মানুষের চাকরি যেতে শুনেছেন। এবার সেই ‘অপরাধে’ চাকরি ‘গেল’ কৃত্রিম মেধাসম্পন্ন (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স তথা এআই)চ্যাটবটের।উল্লেখ্য, চ্যাটবট হল এক ধরনের রোবট। যে রোবট চ্যাটিংয়ে অভ্যস্ত। অর্থাৎ,যে রোবটের কাজ গ্রাহকের লিখিত প্রশ্নের তৎক্ষণাৎ লিখিত জবাব দেওয়া।দুনিয়াজুড়ে সব মালিক ও প্রতিষ্ঠানই চায় অনুগত কর্মী। এতে কাজে যেমন সুবিধা হয়, তেমন রক্ষা হয় ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক মানসম্মান-সুনাম। আনুগত্য নিয়ে প্রশ্ন উঠলে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ এনে কর্মী ছাঁটাই করার ঘটনাও ঘটে।তবে ব্রিটেনের পার্সেল পরিষেবা সংস্থা ডায়নামিক পার্সেল ডিস্ট্রিবিউশন (ডিপিডি) এ ক্ষেত্রে যা করেছে,তা কার্যত নজির।গ্রাহকদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য ওই সংস্থার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার(এআই) একটি চ্যাটবট ছিল।সেই চ্যাটবট একটি ‘গণ্ডগোল’ করে ফেলে।এক গ্রাহকের কাছে প্রতিষ্ঠানের গুণকীর্তন করার বদলে দুর্বলতার কয়েকটি দিক তুলে ধরে। সেখানেই শেষ নয়,কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করে এক গ্রাহককে কবিতা লিখে দেয় ওই চ্যাটবট।এর পরেই সংস্থা নিয়েছে চরম পদক্ষেপ।ওই এআই চ্যাটবটকে কম্পিউটার ব্যবস্থা থেকেই অচল করে দিয়েছে ডিপিডি।ঘটনার শুরু একটি পার্সেল ‘নিখোঁজ’ হওয়ার ঘটনা নিয়ে।পার্সেলটি করেছিলেন অ্যাশলি বিচ্যাম (৩০) নামের এক তরুণ। পার্সেলটির কোনও হদিস পাচ্ছিলেন না তিনি।এ নিয়ে সংস্থায় যোগাযোগ করেও তেমন সদর্থক সাড়া পাচ্ছিলেন না।পরে প্রতিষ্ঠানটির এআই চ্যাটবটের তিন মাধ্যমে তিনি এ বিষয়ে জানার চেষ্টা করেন।তারপর কী হল? লন্ডনের বাসিন্দা অ্যাশলি বলেন,’এটি (চ্যাটবট) আমাকে পার্সেল সম্পর্কে কোনও তথ্য দিতে পারছিল না।এ ছাড়া অন্য কোনও মানুষের সঙ্গেও আমার যোগাযোগ করিয়ে দিতে ক পারছিল না।এরপর আমি ভাবি, দেখি এটিকে দিয়ে কাজের কাজ কিছু করিয়ে নেওয়া যায় কিনা।’অ্যাশলি প্রথমে চ্যাটবটকে একটি কৌতুক পাঠাতে বলেন।চ্যাটবট কৌতুক পাঠায়।এরপর অ্যাশলি ডিপিডির সেবার মান নিয়ে কবিতা লিখতে বলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই চ্যাটবট থেকে অনেকগুলি কবিতা আসে, যেগুলোর বিষয়বস্তু ছিল ‘সেবার মান নির্ভর করার মতো নয়’। অ্যাশলি জানান,এরপর তিনি আরও কিছু জিজ্ঞাসা করলে একে একে ডিপিডির দুর্বল পরিষেবা নিয়ে অনেক বিষয় স্বীকার করে চ্যাটবট।অ্যাশলি চ্যাটবটের সঙ্গে তার কথোপকথনের একটি ভিডিয়ো সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করলে দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে।অনেকে এ নিয়ে মন্তব্য শুরু করেন।বিষয়টি নজরে এলে ডিপিডি কর্তৃপক্ষ তাদের কম্পিউটার ব্যবস্থা থেকে চ্যাটবট সরিয়ে নেওয়ার কথা ঘোষণা করে।শেষে বলতেই হচ্ছে, বেচারা এআই!