সমুদ্রের নিচে পরমাণু অস্ত্রবাহী ড্রোন হামলা, পরীক্ষা সফল কিমের
সুনামি কী ? সমুদ্রের নিচে প্রবল তরঙ্গ এবং তার জেরে উপরে জলের বিস্ফোরণ! এবার সেই প্রযুক্তি কৃত্রিম ভাবে ব্যবহার করে অস্ত্র বানিয়ে ফেললেন উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক কিম-জন উন।
নতুন যে অস্ত্রের পরীক্ষা কিম জন উনের দেশ করেছে, আদতে বিষয়টা তেমনই ভয়ঙ্কর। পরীক্ষামূলক ভাবে পরমাণু অস্ত্রবহনকারী ড্রোন দিয়ে সমুদ্রের তলায় বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ফেলেছে উত্তর কোরিয়া। পিয়ংইয়ং দাবি করেছে, তাদের এই পরীক্ষা সফল হয়েছে। সমুদ্রের নিচ দিয়ে হামলা চালাতে সক্ষম তাদের তৈরি ড্রোন। এই অস্ত্রের পোশাকি নাম ‘হায়েলি-২’। উত্তর কোরীয় ভাষায় ‘হায়েলি’ শব্দের অর্থ সুনামি! ঘটনা হল, মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে চাপে রাখতে একের পর এক চাঞ্চল্যকর যুদ্ধাস্ত্রের পরীক্ষা করে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করে চলেছে কিম জন উনের দেশ। সম্প্রতি পরমাণু অস্ত্রবহনকারী ড্রোনের সাহায্যে তাঁরা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে সমুদ্রের তলায়। প্রিয়ংইয়ং প্রশাসন বিবৃতি জারি করে দাবি করেছে, সমুদ্রের নিচ দিয়ে হামলা চালাতে পারবে তাদের ড্রোন ‘হায়েলি-২’। এর আগে ‘হায়েলি-১’ ড্রোনের সফল পরীক্ষা করেছিল তারা।
তার এক সপ্তাহের মধ্যেই ‘হায়েলি-২’ ড্রোনের পরীক্ষা চালাল তারা। জানা গিয়েছে, ৪-৭ এপ্রিলের মধ্যে কোনও একটা সময় এই পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। অনেকদিন ধরেই সমুদ্রের নিচ দিয়ে হামলা চালানোর ক্ষেত্রে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধির চেষ্টা করে আসছে পিয়ংইয়ং। অবশেষে তা সাফল্যের মুখ দেখল। ‘হায়েলি ২’ ড্রোনের রেঞ্জও বাড়ানো হয়েছে। সূত্রের খবর, এটি ৭১ ঘণ্টা ৬ মিনিটে ১০০০ কিলোমিটার দূরত্বের লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করতে পারবে। সমুদ্রের জলের নিচে কালো রঙের টর্পেডোর আকারে তৈরি করা হয়েছে এই ড্রোনটি। সামুদ্রিক ড্রোনের পরীক্ষার পরই জোর আলোচনা চলছে, তা হলে কি ইতিমধ্যেই সমুদ্রে এই ধরনের ড্রোন মোতায়েন করেছে কিমের দেশ? জানা গিয়েছে,যদি উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে কোনও রকম হামলার চেষ্টা করা হয়, তা হলে তা রুখে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। এবং সেজন্য পুরোপুরি প্রস্তুত তারা। দিনকয়েক আগে স্বল্প পাল্লার পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র এবং ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল (আইসিবিএম) উৎক্ষেপণ করেছিল তারা। এবার করল ড্রোন ‘হায়েলি-২’। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলের আশঙ্কা, তা হলে কি এবার সুনামিকে অস্ত্র করে যুদ্ধের মহড়া শুরু করল কিমের দেশ? নাকি নামটির অন্য ব্যঞ্জনা আছে?