সরকারকে ৫০ হাজার জরিমানা
দীর্ঘ ৩৭ বছর ধরে একের পর এক মামলা চালিয়েও স্বস্তিতে নেই জমির প্রকৃত মালিক জনৈকা মিলন রাণী পাল ও অন্যান্য ওয়ারিশানগণ । প্রায় সোয়া ছয় গণ্ডা জায়গা নিয়ে এয়ারপোর্ট থানা দখল ছাড়তে নারাজ হওয়ায় একের পর এক মামলার উত্থান । শেষে মাননীয় ত্রিপুরা হাইকোর্টের এক কড়া নির্দেশে এবং সদর দেওয়ানি আদালতের ( জুনিয়র ডিভিশন ) এক আদেশ মোতাবেক গত ৫ সেপ্টেম্বর মামলার প্রকৃত মালিকদের প্রায় সোয়া ছয় গণ্ডা জায়গার দখল দেওয়ার জন্য এয়ারপোর্ট থানায় আদালত নিযুক্ত কর্মীরা কাজ শুরু করতে গেলে পর থানা চত্বরে তুমুল বাধার মুখে পড়ে । স্থানীয় কিছু স্বঘোষিত নেতা ও লোকজন থানার অফিসারদের সামনে আদালতের কাজে বাধা দেয়।সেই সময় থনার অফিসাররা আদালতের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে কোনওরকম সহায়তা করেনি । পরে পুরো ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট ছবি সহ আদালতে জমা দেওয়া হয় । এ ব্যাপারে আদালতে শুনানি চলছে । এদিকে , থানা রাজ্য সরকার মাননীয় ত্রিপুরা হাইকোর্টে একটি রিভিউ পিটিশন দাখিল করে বিগত ১৯ / ৪ / ২০২১ – এর অর্ডার পুনর্বিবেচনার জন্য । প্রসঙ্গত ওই তারিখেই মাননীয় ত্রিপুরা হাইকোর্ট তার এক কড়া নির্দেশে মামলাকারীদের জমির দখল দেওয়ার নিমিত্তে সদর দেওয়ানি আদালতকে ( জুনিয়র ডিভিশন ) প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আদেশ দিয়েছিল ।এই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত নিযুক্ত কর্মীরা থানার অফিসারদের চূড়ান্ত অসহযোগিতা ও স্থানীয় কিছু স্বঘোষিত নেতা ও লোকজনদের প্রবল বাধার মুখে পড়ে আদালতের আদেশ কার্যকর করতে পারেনি । বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারের ওই রিভিউ পিটিশনের উপর শুনানি হয় । হাইকোর্ট রাজ্য সরকারের বক্তব্যে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে এবং এই রিভিউ পিটিশনটি আদালতের সময়ের অপচয় বলে আদেশে উল্লেখ করে । এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করলো মাননীয় ত্রিপুরা হাইকোর্ট । পাশাপাশি হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে সতর্ক করে দেয় আদালতের রায় কার্যকর করার ক্ষেত্রে সহায়তা না করা আইনের অপব্যবহার । গোটা এই মামলাটি পরিচালনা করছেন আইনজীবী হিল্লোল লস্কর সুদীপ্তশেখর দেবনাথ ।