সরকারী চাকরি ইস্যুতে তথ্য জালিয়াতি বিজেপির!!

এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

রাজ্য সরকার একের পর এক তথ্য জালিয়াতির নজির গড়ে চলেছে। এক্ষেত্রে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী,তথ্যমন্ত্রী কেউ পিছিয়ে নেই। সরকারী চাকরি প্রদানের পরিসংখ্যান ইস্যুতে মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে।২০১৯ সাল থেকে রাজ্য যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে চাকরি প্রদান ঘিরে চলছে এই জালিয়াতি। রাজ্য সরকার মহাকরণে বসে তথ্যের জাদু দেখিয়ে বিভ্রান্ত করছে রাজ্যবাসী, যুবসমাজকে। ২৯ ডিসেম্বর মহাকরণে বসে সাংবাদিক সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী পুনরায় একই চেষ্টা করলেন। তবে সরকারের এই প্রয়াস আর সফল হচ্ছে না। শনিবার মেলারমাঠ ছাত্রযুব ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে সরকারী চাকরির পরিসংখ্যান ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুললেন বাম ছাত্রযুবরা। পলাশ ভৌমিক, কুমুদ দেববর্মা, শান্তনু ভট্টাচার্য, কৌশিক দেববর্মাকে পাশে বসিয়ে ডিওয়াইএফআইর রাজ্য সম্পাদক নবারুণ দেবের অভিযোগ, তথ্যমন্ত্রীর পরিসংখ্যানে প্রমাণিত হলো ইতিপূর্বে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীর তরফে ঘোষণা করা সরকারী চাকরির সংখ্যা সম্পূর্ণ মিথ্যানির্ভর তথ্যের নিদর্শন। কারণ তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, রাজ্য অর্থ দপ্তর নাকি ৪১৯৪৯টি বিভিন্ন পদের চাকরির অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে নিয়মিত এবং স্থায়ী বেতনে ১৭৬৮৭টি পদ, ডাই-ইন হারনেস ১৩২৯টি পদ, চুক্তিবদ্ধ ৮০১৭টি পদ, আউট সোর্সিং ৫৮৭৯টি পদ সহ আরও অন্যান্য পদ রয়েছে। তথ্যমন্ত্রীর শুধুমাত্র এই পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে অনুমোদিত পদের সংখ্যা ৩৩৫১২টি। তবে তথ্যমন্ত্রী কোন পরিসংখ্যানে বললেন পাইপলাইনে নাকি ১৮ হাজার চাকরি রয়েছে। কারণ ৪১৯৮৯ থেকে ৩৩৫১২ বাদ দিলে সংখ্যাটা দাঁড়ায় ৮৪৭৭টি। তবে সহজেই অনুমেয় এই তথ্য ভুল এবং লোকদেখানো। শুধু তাই নয়, তথ্যমন্ত্রীর দাবি, এখন পর্যন্ত নাকি ২৪ হাজারের উপরে সরকারী চাকরি হয়েছে। কিন্তু কোন দপ্তরে কত সংখ্যক চাকরি হলো, এই তথ্য নেই। নবারুণ দেবের দাবি বিজেপি সরকারের ৫৮ মাসে নিয়মিত পদে ৭ হাজারও সরকারী চাকরি হয়নি। এরা শুধুমাত্র ঠিকাদারি সংস্থা এবং আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে বেকারদের সরকারী চাকরি দিচ্ছে। আর এ ধরনের চাকরির কোনও নিরাপত্তা নেই। কিন্তু বিজেপি সরকার এই চাকরিগুলিকেও সরকারী চাকরি বলে প্রচারে ব্যস্ত। এমনকী এসপিও, পুলিশ সহায়ক পদে চাকরিকেও নিয়মিত সরকারী চাকরি বলে দিচ্ছে। অথচ প্রায় দেড় বছর আগে তথ্যমন্ত্রী বলেছিলেন কোথায় চাকরি? আমার বিধানসভা এলাকায় তো কোনও চাকরি নেই। যদিও প্রতিশ্রুতি ছিল বছরে ৫০ হাজার সরকারী চাকরি, পাঁচ বছরে ২ লক্ষ ৫০ হাজার চাকরি। আর এখন বলছেন পাঁচ বছরে ঠিকাদারি সংস্থা, আউট সোর্সিং ভিত্তিতে ১৭৯৯১জন মিলিয়ে নাকি ২৪ হাজার জনের সরকারী চাকরি হয়েছে। এর মধ্যে ডাই-ইন হারনেস পদের চাকরিও আছে। তবে সহজেই প্রমাণিত নিয়মিত পদে মাত্র সাত হাজার চাকরি হয়েছে।অন্যদিকে, ২০২১ সালের ৩১ আগষ্ট প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ২৩০০১ জনের নিয়মিত চাকরি হয়েছে। পাইপ লাইনে আছে প্রায় ৩৫ হাজারের উপরে চাকরি। শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন দুই ধাপে ২৫৩৮৭ জনের সরকারী চাকরি হয়েছে। পাইপলাইনে আছে প্রায় ২১ হাজার চাকরি! অথচ বিধানসভার তথ্য অনুযায়ী রাজ্যে বর্তমানে শূন্যপদ প্রায় ৬৫ হাজার কিন্তু নিয়োগ নেই। এখন এরা মিথ্যাচারে ব্যস্ত।

Dainik Digital

Recent Posts

মধুমেয় রোগ কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন!!

ডায়াবেটিস বা মধুমেহ আজকের সমাজে একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে পরিচিত।এই রোগটি ধীরে ধীরে বাড়ছে…

10 hours ago

রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারী মাসে করার উদ্যোগ!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পরীক্ষাসূচি এগিয়ে আনা হবে।২০২৫ সালে রাজ্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের মাধ্যমিক এবং…

11 hours ago

বিজেপি জমানায় রাজ্যে কৃষকদের মাথাপিছু আয় দ্বিগুণ : কৃষিমন্ত্রী!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠার পর রাজ্যের কৃষকদের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সরকারের…

11 hours ago

দর্শনধারী!!

গুণ-বিচার পরে, আগে তো দর্শনধারী!এই আপ্তবাক্য আজকের ডিজিটাল জেট যুগে একেবারে সর্বাংশে সত্য। দর্শন অথে…

11 hours ago

বিলোনীয়ায় স্টপেজ দাবি উপেক্ষিত, ক্ষোভ!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-ডবলইঞ্জিনের সরকারের ক্ষমতা ঠুনকো।কোনও প্রতিশ্রুতি পালন বা পদক্ষেপ নিতে পারছে না।অন্তত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস…

1 day ago

দেবভূমিতে গভীর খাদে বাস,, মৃত্য ২০!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-সোমবার উত্তরাখণ্ডের গারওয়াল থেকে কুমায়ুন এর দিকে গন্তব্য ছিল বাসটির। বাসে তখন কমপক্ষে…

1 day ago