জিবি হাসপাতালে ক্যান্টিন ভাড়ার ১ কোটি টাকা কোষাগারে জমা পড়েনি!!
সরকারী ডেন্টাল কলেজে এমডিএস কোর্স: মুখ্যমন্ত্রী!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-আগরতলা গভর্নমেন্ট ডেন্টাল কলেজে মাস্টার অব ডেন্টাল সার্জারি (এমডিএস) কোর্স শুরু করার জন্য রাজ্য সরকারকে অনুমোদন দিয়েছে ডেন্টাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া (ডিসিআই)।রবিবার আগরতলার প্রজ্ঞাভবনে ওয়ার্ল্ড ওরাল হেলথ ডে উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে একথা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ডা.মানিক সাহা। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন ও ইন্ডিয়ান ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশন রাজ্য শাখার যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানের সূচনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী হলেও আমি ডেন্টাল সার্জন হিসেবে আমার পেশাকে ভুলে যাইনি। এদিক থেকে তিনি বলেন, আমাদের অবশ্যই রোগীদের প্রতি যত্নশীল হতে হবে।একটা সময় স্বাস্থ্য দপ্তরের অবস্থা খুবই শোচনীয় ছিলো রাজ্যে। এ ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে বর্তমানে। তিনি বলেন, দন্ত চিকিৎসায় পুরনো শৈলীর জমানা শেষ হয়ে গিয়েছে।এখন আমরা নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করছি।এদিক থেকে এ যুগে দাঁড়িয়ে আমাদের অবশ্যই সমস্ত প্রয়োজনীয় জ্ঞান – অর্জন করতে হবে এবং রোগীদের সর্বোত্তম চিকিৎসা প্রদানের বন্দোবস্ত করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, গুটকা ও তামাক জাতীয় নেশাদ্রব্য সেবনের কারণে উত্তর-পূর্বে মুখের ক্যান্সার রোগীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচিতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যে রোগীরা আসেন তাদের অধিকাংশই ক্যান্সার রোগী। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ডেন্টাল ট্রিটমেন্টের জন্য একটি মোবাইল ভ্যানের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ডেন্টাল পরিকাঠামোর জন্য পিএম ডিভাইন প্রকল্পের অধীনে ২০০ কোটি টাকার অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ডেন্টাল কলেজে এমডিএস কোর্সের জন্যও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। একই সাথে তিনি বলেন, ডেন্টাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া এ জন্য রাজ্যের এই কলেজটিকে ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে। কলেজটির আসন সংখ্যা যেমন বাড়ানো হয়েছে তেমনি এই কলেজটি অবশ্যই একটি সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছে বলে তিনি মনে করেন। আরও বললেন, ইতিমধ্যেই আমরা সুপার স্পেশালিটি পরিষেবা চালু করেছি। কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট যেমন শুরু হয়েছে, লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট এর জন্যও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে রাজ্যে। এদিক থেকে পরিকাঠামোগত উন্নতির ফলে আগের তুলনায় বহিঃরাজ্যে গিয়ে চিকিৎসা করানোর প্রবণতা এখন অনেকটাই কমে গিয়েছে। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসাবে উপস্থিত স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রীদের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে সচেতন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন স্কুলগুলিতে স্কুল হেলথ প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। এছাড়াও তিনি মুখের স্বাস্থ্য রক্ষায় রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা সকলের সামনে তুলে ধরেন এদিন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তা ডা. সঞ্জীব কুমার দেববর্মা, ইন্ডিয়ান ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশন, ত্রিপুরা শাখার সভাপতি ডা. পার্থ রায় চৌধুরী, আগরতলা সরকারী ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. শালু রাই, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অধিকর্তা প্রশান্ত বাদল নেগী, সহ অধিকর্তা অরূপ দেব, ত্রিপুরা স্টেট ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতি এসএম আলী প্রমুখ।অনুষ্ঠানে ওয়ার্ল্ড ওরাল হেলথ ডে উদ্যাপন উপলক্ষে স্বাস্থ্য দপ্তরের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ সচিত্র প্রতিবেদনের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়।