সরকারী হোমে লোক নিয়োগের দায়িত্ব এনজিও-কে, উঠেছে প্রশ্ন!!

 সরকারী হোমে লোক নিয়োগের দায়িত্ব এনজিও-কে, উঠেছে প্রশ্ন!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্য সরকারের সমাজকল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের অধীনে পরিচালিত নরসিংগড়স্থিত ‘হাফওয়ে হোমে’ লোক নিয়োগ নিয়ে বড় ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। পঞ্চাশ শয্যা বিশিষ্ট এই ওল্ড এজ হোমে লোক নিয়োগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ভলান্টারি হেলথ অ্যাসোসিয়েশন অব ত্রিপুরা নামে একটি এনজিও-কে। অভিযোগ,লোক নিয়োগের দায়িত্ব পাওয়ার পর ওই এনজিও কোনও প্রকার বিজ্ঞাপন ও ইন্টারভিউ ছাড়াই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ফেলেছে।এনজিও-এর পক্ষ থেকে নির্বাচিতদের গত সেপ্টেম্বর মাসে নিয়োগপত্র প্রদান করা হয়েছে।প্রশ্ন হচ্ছে, কোনও এনজিও কি এভাবে সরকারী দপ্তরে লোক নিয়োগ করতে পারে?খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,এনজিও-এর মাধ্যমে চৌদ্দজনকে বিভিন্ন পদে নিয়োগ করা হয়েছে।উল্লেখ্য, হাফওয়ে হোমের জন্য ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে রাজ্যের সমাজকল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তর সাতটি ক্যাটাগরির পনেরোটি শূন্যপদে কর্মচারী নিয়োগের জন্য আউটসোর্সিং সংস্থা থেকে দরপত্র আহ্বান করা হয়। কর্মচারী সরবরাহের বরাত পায় মধ্যপ্রদেশের আউটসোর্সিং সলিউশন নামক একটি সংস্থা।২০২২ -এর আগষ্ট মাসে ওই সংস্থা রাজ্যের সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরকে পনেরো জনের মধ্যে বারোজন কর্মচারী সরবরাহ করে।ওই সংস্থা থেকে নিয়োগপত্র পাবার পর কর্মীরা অভয়নগরের সমাজকল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরে তাদের জয়েনিং লেটার জমা দেয়। এমনকী প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও জমা দেয়। এখানেই শেষ নয়,যারা নিয়োগ পেয়েছে তাদের ভেরিফিকেশন সম্পূর্ণ হওয়ার পর রাজ্যের সমাজকল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তর ওই সকল কর্মচারীরা নিয়োগপত্র পাবার যোগ্যতা রয়েছে বলে একটা অর্ডার বের করে।প্রক্রিয়াটি ঠিকঠাক ভাবেই হচ্ছিল।এরই মধ্যেই গোল বাধে।অভিযোগ, শাসক দলের কিছু নেতা ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া বানচাল করতে মাঠে নামে।ফলে চাকরি পাবার পরেও রহস্যজনকভাবে ওই বারোজন কর্মচারীকে নরসিংগড়ের হাফওয়ে হোমে কাজে যোগদান করার অনুমতি প্রদান করেনি সংশ্লিষ্ট দপ্তর।এরকম পরিস্থিতিতে আউট সোর্সিং সলিউশন নামক সংস্থাটি ২০২৩ সালের ষোল জানুয়ারী মানবসম্পদ সরবরাহ চুক্তিটি বাতিল করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে আবেদন করে।এরপর পয়লা মার্চ সমাজকল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের সে সময়ের অধিকর্তা স্মিতা মল আউটসোর্সিং সলিউশনের মানবসম্পদ সরবরাহের বরাতটি বাতিল করে দেয়, রাজ্যে নির্বাচনি আচরণবিধি লাগু থাকা অবস্থায়।অভিযোগ,এরপরই বাঁকাপথে ওই হোমের জন্য মানবসম্পদ সরবরাহের দায়িত্ব দেওয়া হয় এনজিও-টিকে।স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে প্রথমে আউটসোর্সিং সলিউশন নামক সংস্থার দ্বারা নিয়োগপ্রাপ্তদের সকল কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর কেন তাদের ওই হোমে নিয়োগ থেকে বঞ্চিত করা হলো?এই নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই ব্যাপারে বঞ্চিতরা মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও দাবি করেছেন।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.