সরকারের অন্যতম লক্ষ্য পরিকাঠামোগত উন্নয়ন!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-জরাজীর্ণ পরিকাঠামোকে দূরে সরিয়ে দিয়ে রাজ্যে গড়ে উঠছে উন্নত নাগরিকবান্ধব সরকারী পরিকাঠামো। এরই অঙ্গ হিসাবে শনিবার রাজধানী আগরতলায় প্রায় সতেরো কোটি টাকা ব্যয়সাপেক্ষ সদর মহকুমা শাসক অফিসের অত্যাধুনিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা ভূমি পূজনের মাধ্যমে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। মূলত নাগরিক পরিষেবাকে সহজ ও স্বাচ্ছন্দবোধ করানোর লক্ষ্যেই সদর মহকুমা শাসক অফিসের নতুন এই ভবন নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের অনুষ্ঠান থেকে তিনি বলেন,পরিকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে এটি একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ।
রাজ্যের জনগণের সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি পরিকাঠামোগত উন্নয়নেও বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্য সরকার। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পরিকাঠামোগত উন্নয়নই বর্তমান সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। আর এ কারণেই রাজধানী আগরতলা সহ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে পরিকাঠামোগত উন্নয়নে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। রাস্তাঘাট এবং জল নিষ্কাশনী ব্যবস্থা সংস্কার, বাজার সংস্কার, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সহ নাগরিক পরিষেবার বিভিন্ন দিকগুলিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।মুখ্যমন্ত্রী এ দিন রাজ্যে সড়ক নির্মাণ, জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ, রেলওয়ে পরিষেবা উন্নতিকরণ, বিভিন্ন অফিসের নতুন ভবন নির্মাণ, স্টাফ কোয়ার্টার নির্মাণ, বাজার শেড নির্মাণ, ছাত্রছাত্রীদের জন্য হস্টেল, কৃষক বন্ধু কেন্দ্র নির্মাণ, আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত মোটরস্ট্যান্ড নির্মাণ, গো-ডাউন নির্মাণ বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেছেন। প্রসঙ্গত, গ্রামোন্নয়ন দপ্তর মোট ৪,২১৫ বর্গমিটার এলাকায় এই নতুন ভবনটি নির্মাণ করবে। ভবনটি নির্মাণে প্রায় সতেরো কোটি টাকা ব্যয় হবে।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, নাগরিকদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে রাজ্য সরকার মুখ্যমন্ত্রী স্যাটেলাইট টাউন ডেভেলপমেন্ট স্কিম এবং মুখ্যমন্ত্রী নগর উন্নয়ন প্রকল্প চালু করেছে। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের আর্থিক সহায়তায় মুখ্যমন্ত্রী নগর উন্নয়ন প্রকল্পে রাজ্যের মোট বারোটি পুর পরিষদ এলাকায় জল সরবরাহ, রাস্তা নির্মাণ, নিকাশি ব্যবস্থা ইত্যাদি উন্নয়নের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে আধিকারিকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, যে কোনও পরিকাঠামোগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগের পাশাপাশি কাজের গুণগতমান বজায় রাখার উপরও সচেতন থাকতে হবে তাদের। এ দিনের অনুষ্ঠানে রাজস্ব দপ্তরের সচিব ব্রিজেশ পাণ্ডে বলেন, প্রশাসন পরিচালনার ক্ষেত্রে মহকুমা শাসক অফিসের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে।এর মাধ্যমে প্রশাসনের সাথে জনগণের নিবিড় সম্পর্ক জড়িয়ে থাকে। নতুন এই অফিস বিল্ডিং নির্মাণের ফলে প্রশাসনিক সুযোগ-সুবিধা এবং স্বাচ্ছন্দ্যের ক্ষেত্রেও এটি একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ বলে মনে করেছেন তিনি।অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক ও সমাহর্তা ডা. বিশাল কুমার, অতিরিক্ত জেলাশাসক ও সমাহর্তা মেথা জৈন সহ সদর মহকুমাশাসক মানিক লাল দাস এবং অন্যান্য আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন।