বিভৎস ট্রেন দুর্ঘটনা, ছিটকে গেল চলন্ত তিনটি মালগাড়ির কামরা!!
সরকারের কাছে দাবি না জানিয়ে জমি ক্রয়ের কোটেশন ঘিরে গুঞ্জন।।

অনলাইন প্রতিনিধি :- রাজ্য ক্রিকেটের উন্নয়নে এবার ক্রিকেট একাডেমি গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন।টিসিএর এই উদ্যোগটি নিঃসন্দেহে ভালো।এই নিয়ে সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই। কিন্তু প্রশ্ন তৈরি হয়েছে অন্য জায়গায়।ক্রিকেট একাডেমি গড়ার জন্য প্রয়োজনীয় জমি রাজ্য সরকারের কাছে না চেয়ে, নিজেরাই জমি ক্রয়ের জন্য কোটেশন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে টিসিএ’র বর্তমান পরিচালন কমিটি।টিসিএর এই বিজ্ঞপ্তি ঘিরে রাজ্যের ক্রিকেট মহলে জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে।গুঞ্জন এই কারণে যে, রাজ্য সরকার বহিঃরাজ্যের বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকে জমি দিচ্ছে।টিসিএ রাজ্য সরকারের কাছে ক্রিকেট একাডেমি করার জন্য জমি চেয়ে আবেদন করলে, সরকার কি মুখ ঘুড়িয়ে নিতো? এই প্রশ্ন এখন সবার মনে। রাজ্যে একটি অত্যাধুনিক ক্রিকেট একাডেমি গড়ে উঠলে তো রাজ্যের ছেলে মেয়েরাই সবথেকে বেশি লাভবান হতো। এই একাডেমি থেকেই গড়ে উঠতে পারতো জাতীয় মানের ক্রিকেট খেলোয়াড়। এই ক্ষেত্রে টিসিএও অনেক লাভবান হতো। বিশেষ করে আর্থিক ভাবে। কেননা, রাজ্য সরকার জমি বরাদ্দ করলে টিসিএ’র বিশাল পরিমাণ অর্থ বেঁচে যেতো। শুধু তাই নয়, যে পরিমাণ অর্থ দিয়ে টিসিএ জমি ক্রয় করতে চাইছে, সেই অর্থ ক্রিকেট একাডেমির পরিকাঠামো গড়ে তোলার ক্ষেত্রে খরচ করতে পারতো। তা না করে নিজেরাই জমি ক্রয়ের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।স্বাভাবিকভাবেই টিসিএর এই উদ্দেশ্য ঘিরে অনেকেই নানারকম সন্দেহ প্রকাশ করছেন। Notice Inviting quo-tation No.05/TCA/ AGT/ 2024-25 এই সেহামূলে গত ৮ ফেব্রুয়ারী একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে টিসিএর বর্তমান সচিব। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগরতলা শহরের ২০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে ২৪ একর থেকে ৪০ একর জমি (অর্থাৎ ৫০ থেকে ১০০ কানি) ক্রয় করতে চায় টিসিএ। জায়গায় সাথে ভালো সড়ক সংযোগ থাকতে হবে। জমির সঠিক মালিকানা থাকতে হবে এবং সমস্ত দায়বদ্ধতা পরিষ্কার থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট জমির কাছাকাছি হাসপাতাল, বিদ্যালয় জলের উৎস এবং মার্কেট থাকতে হবে। এছাড়াও জমির শ্রেণী উল্লেখ থাকতে হবে অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট জমি কৃষি অথবা উদ্যান পালন অথবা রাবার অথবা অন্য কোনও ব্যবহার হয় কিনা? নাকি খালি জমি?কোটেশনে তা স্পষ্ট উল্লেখ থাকতে হবে। এমন আরও একাধিক বিষয় রয়েছে। যেমন, রেজিস্ট্রেশন ফিস বাদে প্রতি একর জমির মূল্য কত? ইত্যাদি। কোটেশন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ হচ্ছে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারী বিকেল ৩টা পর্যন্ত। এ দিনই বিকাল ৪ টায় কোটেশন খোলা হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৬৮ সালে ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের জন্ম। দীর্ঘ ৫৭ বছরের পথ চলায় টিসিএ যেমন বহু সাফল্য কুড়িয়েছে, তেমনি ব্যর্থতার নজিরও রয়েছে। কিন্তু এই দীর্ঘ ৫৭ বছরের পথ চলায় টিসিএ বরাবরই রাজ্য সরকারের যাবতীয় পরিকাঠামো ব্যবহার এবং সহায়তা নিয়ে কাজ করে চলেছে। এখন হঠাৎ করে ক্রিকেট একাডেমি গড়ার নামে বিশাল পরিমাণ জমি ক্রয়ের বাসনা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেকেই এর পিছনে অন্য ধরনের গন্ধ পাচ্ছেন। জানা গেছে, টিসিএ তাদের ২০২৪-২৫ বাজেটে ক্রিকেট একাডেমির জন্য ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এর পিছনে অন্য কোনও খেলা নেই তো? প্রশ্ন ক্রিকেট মহলে। সরকার ইচ্ছে করলেই লিজে এই জমি টিসিএ কে দিতে পারে। কিন্তু টিসিএ ওই পথে হাঁটলো না কেন?