দৈনিক সংবাদ অনলাইন || কর্মসংস্কৃতি ফেরাতে সরকারের আন্তরিক প্রয়াস ও প্রচেষ্টার কোনও খামতি নেই। তা সত্ত্বেও কর্মসংস্কৃতি ফিরছে কই? পঞ্চায়েত থেকে মহাকরণ, সর্বত্র একই হাল লক্ষ্য করা যাচ্ছে। একাংশ সরকারী কর্মচারী এবং শীর্ষ আমলার গতানুগতিক কর্মকাণ্ড ও ভাবলেশহীন, মনোভাবের কারণে সরকারের প্রয়াস বারবার মুখ থুবড়ে পড়ছে। এতে রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য অর্জন যেমন বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে, তেমনি সরকারের ভাবমূর্তিও নষ্ট হচ্ছে। শত চেষ্টা করেও আমলাতন্ত্রের বেড়াজাল থেকে প্রশাসনকে মুক্ত রাখা যাচ্ছে না। যে কাজ একদিনে হয়ে যাওয়ার কথা, সেই কাজ অযথা কোনও কারণ ছাড়াই বিলম্বিত হচ্ছে। লাল ফিতার ফাঁসেই দিনের পর দিন আটকে থাকছে সরকারের উন্নয়ন কাজকর্ম। যে প্রকল্পের কাজ এক মাসে শুরু হয়ে যাওয়ার কথা, সেই কাজ ছয় মাসেও শুরু করা যাচ্ছে না। জনকল্যাণমুখী কোনও প্রকল্পই হোক কিংবা পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজই হোক, প্রায় সবক্ষেত্রেই অকারণ বিলম্ব হওয়াটাই নিয়মে পরিণত হয়ে গেছে। সরকারী কাজের গতি নিয়ে এমনিতেই সাধারণ মানুষের মধ্যে একটি নেতিবাচক ভাবনা রয়েছে। এক টেবিল থেকে পাশের টেবিলে ফাইল যেতে মাসখানেক লেগে যায়। একাংশ কর্মচারীর ভাবখানাই এমন যেন তারা চাকরিটা ইচ্ছার বিরুদ্ধে করছেন। জোর করে তাদের সরকারী চাকরিতে রাখা হয়েছে। ফলে সরকারের উদ্দেশ্য মহৎ হলেও, প্রকৃতপক্ষে সাধারণ জনগণ, হয়রানির শিকার হন। সাধারণ একটি কাজের জন্য দিনের পর দিন, মাসের পর মাস সরকারী অফিসে চক্কর কাটতে হয়। সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে এবং জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে আমলাতন্ত্রের বেড়াজাল আজও সমান সক্রিয়। এই ক্ষেত্রে একটি উদাহরণ তুলে ধরলে হয়তো বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের এএমভিইউ প্রকল্পে নিযুক্ত সাতান্নজন কর্মী পাঁচ মাস ধরে বেতন পাচ্ছিল না। এই নিয়ে পত্রিকায় খবরও প্রকাশিত হয়। অর্থের ব্যবস্থা করে সেই ফাইল পাঠানো হয় প্রধান সচিবের টেবিলে। শুধুমাত্র একটি স্বাক্ষরের জন্য প্রধান সচিবের টেবিলে তিন সপ্তাহ ফাইল পড়েছিলো। শেষে খবরের জেরে, মুখ্যমন্ত্রীর দাবড়ানি খেয়ে ফাইলে স্বাক্ষর করেন প্রধান সচিব। এটাই কি কর্মসংস্কৃতি ? এই প্রশ্ন কিন্তু উঠছে। শুধু তাই নয়, রাজ্য প্রশাসনে পুনর্বাসনের প্রবণতা ঘিরেও জনমনে বড় ধরনের প্রশ্ন উঠেছে।২০১৮ তে রাজ্যে বাম সরকারের পতনের পর নতুন সরকার কর্মচারীদের নির্দিষ্ট বয়সের পর কর্মক্ষমতা যাচাই করার ঘোষণা দিয়েছিলো। সেই যাচাই তো দূরের কথা, বরং অবসরপ্রাপ্তদের পুনর্নিযুক্তি এবং পুনর্বাসন দেওয়ার প্রবণতা বেড়ে গেছে। বর্তমানে রাজ্য প্রশাসনে এমন একাধিক আমলা রয়েছেন যারা বছরের পর বছর পুনর্নিযুক্তি পেয়ে যাচ্ছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, অবসরপ্রাপ্তদের দিয়েই যদি প্রশাসন চালাতে হয়, তাহলে নতুন নিযুক্তির কী হবে?
অনলাইন প্রতিনিধি :-বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা 'এক দেশ, এক নির্বাচন' নীতির অনুমোদন দিয়েছে বলে খবর। চলমান…
অনলাইন প্রতিনিধি :-গত সোমবার ৫ বছরের ছোট্ট আরিয়ান মায়ের সঙ্গে বাড়ি থেকে মাত্র ১০০ মিটার…
অমৃতের স্বাদ আশা করে অমৃত না হোক,অন্তত কেউ যাতে বিষ পান না করেন তা নিশ্চিত…
অনলাইন প্রতিনিধি :-অর্থনৈতিক মন্দায় গোটা পৃথিবী যখন কাবু,বেশ কয়েকটি দেশে যুদ্ধের পরিস্থিতি রয়েছে, সারা পৃথিবীতে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-শীতেরঅগ্রহায়ণ মাস শেষের দিকে চলে এসেছে।বুধবার অগ্রহায়ণের ২৫ এবং ডিসেম্বরের ১১ তারিখ অতিক্রান্ত…
অনলাইন প্রতিনিধি :-কাঞ্চনপুরমহকুমার অন্তর্গত জম্পুই হিল ব্লকের ভাংমুন ফুটবল মাঠে বুধবার অনুষ্ঠিত হলো তৃতীয় ত্রিপুরা…