সরকারের সাফল্যের খতিয়ান উঠে এলো রাজ্যপালের ভাষণে!!

 সরকারের সাফল্যের খতিয়ান উঠে এলো রাজ্যপালের ভাষণে!!
এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :- প্রথা অনুযায়ী নতুন বছরে রাজ্যপালের ভাষণের মাধ্যমে শুরু হলো ১৩ তম ত্রিপুরা বিধানসভার তৃতীয় অধিবেশন । তথা শীতকালীন অধিবেশন। ভাষণের শুরুতে প্রথমে ককবরক এবং পরে বাংলায় বিধানসভার সদস্য-সদস্যা ও রাজ্যবাসীকে ইংরেজি নতুন বছরের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। এরপর ইংরেজিতেই রাজ্যপাল তাঁর পুরো ভাষণ পাঠ করেন। ভাষণে রাজ্যপাল ২০২৩ সালকে দেশের জন্য উল্লেখযোগ্য বছর হিসাবে আখ্যায়িত করেন। কেন না, ২০২৩ সালে ভারত চাঁদে চন্দ্রযান-৩ পাঠিয়ে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ চতুর্থ দেশ হিসাবে নিজের নামলিখিয়েছে। শুধু চন্দ্রযানই নয়, ওই বছরই ভারত আদিত্য এল-১ মিশন শুরু করেছে সূর্যকে কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করতে। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর এই সাফল্য ভারতকে উচ্চ শিখরে নিয়ে গেছে। এদিন রাজ্যপাল তাঁর ভাষণে বর্তমান সরকারের নানা উন্নয়নমূলক কর্মসূচি এবং সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেন। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন জনকল্যাণমুখী প্রকল্পের বাস্তবায়নের সফলতাও তুলে ধরেন। রাজ্যপাল বলেন, বর্তমান সরকার অত্যন্ত সততা ও নিষ্ঠার সাথে জনকল্যাণে কাজ করছে। শুধু তাই নয়, দুর্নীতি মুক্ত প্রশাসন পরিচালনার ক্ষেত্রেও বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। রাজ্যের জনজাতি এবং দুর্বল শ্রেণীর জনগণের আর্থ-সামাজিক মান উন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের কাজের ভূয়শী প্রশংসা করেন। মহিলা স্ব-শক্তিকরণে সরকারের উল্লেখযোগ ভূমিকা রয়েছে বলে দাবি করেন। রাজ্যপাল বলেন, গবির মানুষের জন্য আবাস, পরিস্রুত পানীয় জল, স্বাস্থ্যবিধি শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিষেবা, পুষ্টি, টেলি যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, সড়ক ইত্যাদি ক্ষেত্রে সরকার অভূতপূর্ব কাজ করছে। কৃষি, প্রাণী সম্পদ, কৃষক কল্যাণেও সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে চলেছে। এতে ত্রিপুরার অগ্রগতি ত্বরান্বিত হচ্ছে। রাজ্যপাল বলেন, বর্তমান রাজ্য সরকার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রদর্শিত উন্নয়নের দিশায় মহৎ আত্মবিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে ত্রিপুরারাজ্যকে উন্নতির এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে
যাওয়ার জন্য দায়বদ্ধ। বর্তমান রাজ্য সরকারের দৃঢ় এবং মসৃণ নেতৃত্বের ফলে সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিকাঠামোগত সুবিধার মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে স্বচ্ছ পদ্ধতিতে দ্রুত অগ্রগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। আমার বিশ্বাস সরকার যে দিশায় পরিচালিত হচ্ছে, তাতে ত্রিপুরা সার্বিক ভাবে অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাবে। রাজ্যপাল আরও বলেন, আমি বিশ্বাস করি বিধানসভার বর্তমান অধিবেশন জনকল্যাণে গণমুখী নীতি ও পরিকল্পনা তৈরি করতে এবং মূল্যবোধকে
‘তুলে ধরতে সহায়ক ভূমিকা নেবে। রাজ্যপালের প্রায় এক ঘন্টা ভাষণের পর প্রথা অনুযায়ী এদিন পনের মিনিটে
জন্য সভা মুলতবি হয়ে যায়। পনের মিনিট পর সভা শুরু হলে এদিন আর ‘প্রশ্নোত্তর পর্ব ছেঁটে দেওয়া হয়। এরপর সদ্য প্রয়াদ বিধায়ক সুরজিৎ দত্ত বক্সনগরের বাম বিধায়ক শামসুল হকের প্রয়াণে স্মৃতিচারণ করে দুই মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এর পর রাজ্যপালের ভাষণের উপর সমর্থন প্রস্তাব আনেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী রতনলালনাথ। প্রস্তাবকে সমর্থন করেন বিধানসভা মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায়। তারপর মুখ্যমন্ত্রী বিধায়ক উন্নয়ন তহবিল বৃদ্ধি ঘোষণা দেন বিধানসভায়। বিরোধী দলনেতা অনিমেষ দেববর্মা এবং বাম বিধায়ক- দীপঙ্কর সেন বিধায়ক উন্নয়ন তহবিল এক কোটি করার দাবি জানালেও, এদি এই বিষয়ে আর কোনও আলোচনা হয়নি। এরপরই দুই বিধায়কের প্রয়াণে তাঁদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এদিনের জন্য সভা মুলতবি করে দেন অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন। আগামী সোমবার সকাল এগারটায় অধিবেশন শুরু হবে।

Dainik Digital

Dainik Digital

Leave a Reply

Your email address will not be published.